নাহ! আর মাথায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না! এইবার উগলাইয়া দিলাম। এইবার শুনেন কাহিনি -

দেশে থাকতে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হত আমার ইউনিভার্সিটির বিভাগীয় অ্যাডভাইজারের সাথে। সবাই জানেন যে, এদের সাথে যোগাযোগ (সাধারণত মেইল) করতে কতটা ধৈর্য ধরে থাকতে হয়। বার বার মেইল করতে হয় তাদের। এরপর একদিন হঠাৎ তারা মেইলের উত্তর দেন।
উনার সাথে যোগাযোগ করে যা বুঝলাম উনি মধ্য বয়সী কোন ভদ্রমহিলা হবেন। আস্তে আস্তে আমার বিদেশে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছিল। সবকিছু ঠিকঠাক করে দেশ ছাড়লাম। ইউনিভার্সিটি খোলার আগেই ভদ্রমহিলার সাথে যোগাযোগ করে তার সাথে দেখা করার অনুমতি চাইলাম। উনি সময় দিলেন।
এই প্রথমবার তার সাথে দেখা করতে যাবো। মনের ভেতর আকুপাকু করছিল সাথে টেনশন ও হচ্ছিল। না জানি কেমন হবেন উনি! যোগাযোগ করে তাকে খুব হেল্পফুল মনে হয়েছিল আমার। মিটিং এর দিন কি নিয়ে কথা বলবো মনে করে গেলাম। দেখা করার দিন রেডি হয়ে ফুলবাবুটি সেজে তার অফিস রুমে পৌছালাম অবশ্যই অনুমতি নিয়া (অভদ্র ভাইবা বইসেন না আবার!!)।
আমার পরিচয় দিলাম। উনি বসার অনুমতি দিলেন। আমি তার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। যা ভাবিলাম তার থেকে পুরাই আলাদা উনি। অসাধারণ সুন্দরী মহিলা (নাকি মেয়ে নাকি বিবাহিত মহিলা নাকি!! ধুর মাথা আউলাইয়া গেসে) উনি। তার সামনে বসে কি বলবো সেটা বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম।

তার চোখে চোখ রেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারি নি সেভাবে। মনে হচ্ছিল চোখ থেকে কোন আভা বের হচ্ছিল।




উনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন। তাই খানিকটা জামা ঠিকঠাক করে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কাজের কথা। আমিও খানিকটা লজ্জা পেয়ে সংযত হইতে বাধ্য হইলাম বাধ্য ছেলের মত।

কাহিনি এখানেই শেষ হইতে পারতো। কিন্তু হইলো না। তার সাথে আবার ১/২ সপ্তাহ পর আর একটা মিটিং ফিক্স করে আসলাম।

কিন্তু কাহিনি যা ভাবিলাম তা হইলো না। আসলে যা ভাবিতে লাগিলাম তা হইলো না। নাকি তা হইলেও আমি বুঝিলাম না!


পরের মিটিং এ আমি বেশ প্রফুল্ল মন নিয়ে গেলাম তার কক্ষে। নাহ!! এইবার উনি সব ঢেকেই এসেছেন অফিসে বুঝিলাম (হয়তো আমার লুল দৃষ্টি থেকে রেহাই পেতেই)!!

বিঃদ্রঃ ১৮+ না হইলে আমার দোষ নাই।