শব্দরা সব আপন মনেই চোখের তারায় ঘুরে
নিকোটিনের ছোঁয়াতে আজ রূপ নিয়েছে সুরে;
গীটার নিয়ে ঝড় তুলেছে অশান্ত দুই হাত,
ছন্দ আগুন পুড়িয়ে চলে ইনসোমনিয়াক রাত।
মাল্টিচ্যানেল স্মৃতির ট্র্যাকে অভ্রের চিক মিক
রাতপাখিদের করতে পারে ভীষণ নস্টালজিক!
গানের স্রোতে ভাসবে যখন ভালোবাসার রেখা,
সেই তারাটির আলোয় পাবে নেফারতিতির দেখা।
অভিমানী আকাশটা আজ মাতাল হতে চায়,
রাস্তা ছুঁয়ে চাঁদের আলো একলা হেঁটে যায়।
জোনাকপোকার ঘুম ছুটেছে, মন বসে না কাজে,
পরী তোমার দৃষ্টি উদাস, ভাসবে মেঘের ভাঁজে।
নিয়ন আলোয় স্বপ্ন ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া,
প্রবাস থেকে সেই তো আবার রাতের কাছে ফেরা।
পাখীর ডানায় কবিতা গুলো ডাক পাঠালো কাকে?
ঘাসের উপর গানের শিশির পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে!
গান ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জীবনের সুখ বা দুঃখের সময় নির্বিশেষে গান ছেয়ে থাকে আমাদের মনের আকাশ। একটা সুন্দর গান তার কথা, সুর আর কণ্ঠ নিয়ে প্রবেশ করে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে। কিন্তু একটা গান তৈরির পেছনে যে সৃজনশীলতার যন্ত্রণা থাকে, দীর্ঘ অধ্যাবসায় থাকে, অনেক কণ্টকাকীর্ণ পথ হাঁটা থাকে সেটা অজানাই থেকে যায়। এটা অত্যন্ত আনন্দের যে এখানে আমাদের সাথেই আছেন একজন কবি এবং লিরিসিস্ট, প্রিয় ব্লগার নস্টালজিক। অনেক গান তিনি রচনা করেছেন, তার সাথে ভীষণ ভালো লাগার এবং গর্বের যে, বাংলায় বিশ্বকাপের থিম সং এর মত মন মাতানো ঝোড়ো লিরিক তিনিই রচনা করেছেন।
এই ছোট্ট কমপ্লিমেন্টটা রইল তাঁর জন্য। আশা রাখি নস্টালজিকের কবিতা এবং লিরিকের স্রোত চিরদিন এমন ভাবেই বয়ে যাবে।
ছবিটা মহাবিশ্বের তোলা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২১