প্রথম পর্বে ধারণা দিয়েছিলাম 'ক্রিপ্টোগ্রাফি' কি, কাকে বলে, কোথা থেকে আসল ইত্যাদি সম্পর্কে। আজ আলোচনা করব ক্রিপ্টোগ্রাফ কি করে তৈরি করা যায় এবং কিভাবে পাঠউদ্ধার করা যায় সে সম্পর্কে।
ভাল করে বোঝার জন্য প্রথম পর্ব পড়ে নিতে পারেন এখান থেকে
ক্রিপ্টোগ্রাফির কত্ত যে ধরন রয়েছে, ইয়ত্তা নেই তার। যেমন সাধারণ ইংরেজি বর্ণমালা হচ্ছে ABCDEFGHIJKLMNOPQRSTUVWXYZ। যদি অ্যালিস শুধু প্রথম বর্ণটি শেষে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে তার তৈরি বর্ণমালা দাঁড়ায় এমন -BCDEFGHIJKLMNOPQRSTUVWXYZA । এখন যদি APPLE শব্দটি লেখা হয় এই নতুন বর্ণমালা অনুযায়ী, তাহলে তা দাঁড়াবে BQQMF । অর্থাৎ, এখানে A=B, P=Q, L=M, E=F !
সহজ কিছু কায়দা আছে। যেমন ইংরেজি ভাষায় তৈরি গোপন কোনো বার্তায় যে চিহ্নই ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে যদি একক বর্ণের কোনো শব্দ দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে ওই চিহ্নটি হলো (এ) (A) অথবা ( আই ) (I) । সবচেয়ে বেশি ব্যবহিত ইংরেজি বর্ণ হচ্ছে 'ই' (E); তারপর 'টি' (T), 'এ' (A), এবং 'ও' (O)। অর্থাৎ, বেশি বেশি যে চিহ্ন দেখা যাচ্ছে, সমূহ সম্ভাবনা যে ওই চিহ্নটি হয় 'ই', 'টি', 'এ' অথবা 'ও' ।
ইংরেজিতে তৈরি কোনো শব্দ দেখা গেলে প্রায় সব ক্ষেত্রে একটি বর্ণ ভাওয়েল বা স্বরবর্ণ, অন্যটি কনসোন্যান্ট বা ব্যাঞ্জনবর্ণ। আর দুই অক্ষরের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা শব্দ হচ্ছে 'অব' (OF), 'টু' (TO), 'ইন' (IN), 'ইজ' (IS) ও 'ইট' (IT) - এগুলো উল্টেপাল্টে বসালে মিলে যেতে পারে সংকেতের অর্থ।
তারপর ধরা যাক বাংলা স্বরবর্ণ অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ । একে যদি ধরি অ=১, আ=২, ই=৫ এমন করে, তাহলে অ আ ই কে লেখা যাবে ১৩৫ হিসাবে। কিংবা ধরা যাক 'পবাংপলা' শব্দটির অর্থ কি কিছু বোঝা যাচ্ছে! যাচ্ছে না। আসলে খুব সহজ - অপ্রয়োজনীয় দুটি 'প' বসানো হয়েছে 'বাংলা' শব্দটির মধ্যে। মজার না?
আপনারা ইচ্ছে করলে এই রকম ভাবে হাজার হাজার উপায়ে একান্ত ব্যক্তিগত কোড তৈরি করতে পারেন।
'রআরমারর রসোরনারর রবাংরলা, রআরমি রতোরমারয় রভারলরবারসি'----- কি কিছু বুঝলেন?
তথ্য সাহায্যঃ কিশোর আলো এবং উইকিপিডিয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৯