মাজার সর্ম্পকে প্রথমে কিছু সহীহ হাদীস আপনাদরে খদেমতে পশে করলামঃ
০১) জাবরি (রাঃ) হতে র্বণতি; তিনি বলনেঃ রসূলুল্লাহ (সঃ) কবর চুনকাম অর্থাৎ-পাকা করতে কবররে উপর বসতে এবং কবররে উপর গুম্বুজ তৈরী করতে নষিধে করছেনে। (মুসলমি ১ম খন্ড ৩১২ পৃঃ, আবূ দুউদ ২য় খন্ড ৪৬০পৃঃ)
০২) আয়িশাহ (রাঃ) হতে র্বণতি; তিনি বলনে, উম্মু সালামাহ রসূলুল্লাহ (সঃ) এর নকিট একটি গির্জার কথা উল্লখে করলনে। যা তিনি হবাসাহ (আবসিনিয়া) দখেছেনে। আর ঐ গির্জার মধ্যে অনকেগুলো ছবি রয়ছে। অতঃপর নবী (সঃ) বললনেঃ এরা ঐ সমস্ত লোক যখন তাদরে মধ্যে কোন সৎ ব্যক্তি বা সৎ বান্দা মারা যায় তখন তারা তার কবররে উপর মসজদি (ইবাদাতখানা) বানিয়ে নেয় এবং তাতে এ ছাবগুলো তারা তৈরী করে। আল্লাহ নকিট এরাই হল সবচেয়ে নৃকৃষ্ট সৃষ্টি জীব। এরা দু'টি ফতিনার মধ্যে একত্র হয়ছে। কবররে ফিৎনাহ এবং মূর্তীর ফতিনাহ। (বুখারী, মুসলমি)
০৩) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে র্বণতি; তনিি বলছেনেঃ রসূল (সঃ) কবর যয়িারাতকাননিী মহলিাদরেকে এবং যারা কবরকে মাসজদিে পরনিত করে (র্অথাৎ কবরে যারা সালাত পড়)ে আর যারা কবরে বাতি জ্বালায় তাদরেকে লা'নত করছেনে। (তরিমযিী, আবূ দাউদ ২য় খন্ড ৪৬১ পৃঃ, নাসায়,ি ইবনু মাজাহ)
এবার দেখি হানাফী মাযহাবরে ফতোয়া এবং ইজমা কয়োস ভত্তিকি আলোচনায় কি আছে মাজার সম্পর্কেঃ
০১) আল্লাম হলবী হানাফী (রঃ) লখিনে- কবরকে (পাকা) বানানো এবং লপেন করা মাকরূহ এবং ইমামগণরেও এতে একই মত। তারপর বলনে, হযরত ইমাম আবু হানীফা (রঃ) থেকে বর্ণিত আছে কবরে ঘর নির্মাণ করা অথবা গম্বুজ অথবা তার মত কোন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা মাকরূহ। (কাবীরী ৫৯৯ র্বণতি হাদীস হল সহ এর দলীল)
০২) কবরকে বড় বানাবে না। কারণ হুজুর (সাঃ) কবরকে পাকা বানানো, চান্দরি পানি দ্বারা অলংকৃত এবং তার উপর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করাকে নষিধে করছেনে। (কাযীখান ৯২)
০৩) হাফজে ইবনে হুমাম হানাফী লখিনে- হুজু (সাঃ) কবরকে চার কোণা বশিষ্টি এবং বড় (পাকা) করা থকেে নষিধে করছেনে। (ফতহুল কাদীর ৪/৪৭২)
০৪) ফতোয়ায়ে আলমগীরীর মধ্যে আছ-ে কবরকে উটরে কুজরে ন্যায় বানাত,ে আর তা উঁচু আধ হাত পরমিাণ হবে এবং চার কোণা বশিষ্টি বানাবে না। বড়ও বানাবে না পাকাও করবে না এবং তার উপর সৌধও নর্মিাণ করবে না। কারন এগুলো মাকরূহ। (আলমগীরী, ১/১৭৬)
০৫) কবররে উপর সৌধ, গম্বুজ ইত্যাদি করাকে কেউ জায়জে বলছেনে তা আমার জানা নেই। (ফতোয়ায়ে শা'মী)
০৬) কাজী ছানাউল্লাহ পানপিতি সাহবে হানাফী লখিনে- ওলীগণরে কবররে উপর যে সৌধ নির্মান করা হয় এবং বাতি জ্বালানো হয় এ জাতীয় সমস্ত কাজই হারাম। ন্যায় অনুযোগ সুদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি এবং সত্যান্বষেণকারীর জন্য র্বণতি নরিটে স্বল্প দললিই যথষ্টে। অবশ্য একগুঁয়েমী স্বভাবী ও বক্র প্রকৃতরি মানুষরে জন্য দললিরে স্তুপও অকেজো। মোট কথা আউলিয়াগণ এর কবরে সৌধ নির্মাণ করা এবং গম্বুজ নির্মাণ করার ব্যাপানে কোন সহীহ রওয়েয়াতে এবং আকলী দললিও নেই। বরং তার বপিক্ষে দললিরে স্তূপ বদ্যিমান।
এবার আপনারা বলুন পীর সাহবেদরে মাজার কিভাবে তেরী করা হয় ?
এতোগুলো মাজার বিরোধী হাদীসরে পরেও আমরা বর্তিক করতে পিছপা হই না। কারন মাজারগুলো সাধারণত পীর সাহবেদরে হয়ে থাকে। এই পীররে যারা খাদমে ও মূরীদ রয়ছেনে তারা কিছুতেই একথা মানতে রাজি নন যে তারা যা করছে এটা ঠকি নয়। তাদরে মগজ এমনভাবে ওয়াশ করা হয় যমেন জিন্সের প্যান্টকে স্যান্ড ওয়াশরে মাধ্যমে তার আসল রং উঠিয়ে তৈরী করা হয় এক নতুন ডিজাইন। যার পাছার কাছে একটু সাদা বা হাটুর কাছে একটু জ্বলা ইত্যাদি। পীর সাহবেরা কিভাবে তার মুরীদদরে ব্রনে ওয়াশ করে তার কিছু নমুনা আপনাদরে সামনে তুলে ধরছি।
ছারছীনী পীর সাহবেরে কিছু পীরগরিরি আইনঃ
"তা'লিমে মা'রফোত" বইয়রে কভার পেজে লিখা; মরহুম আমিরুশ শরয়িৎ,মোহিয়ে সুন্নাৎ, হাদিয়ে জামান, হযরত মাওলানা শাহ সুফী হাজী মোহাম্মদ আবুবকর ছিদ্দিকী হানাফী সাহবেরে অনুমোদনক্রমে বাকরেগঞ্জ জেলার ছারছীনী নিবাসী সুপ্রসদ্ধি আল্লামা কুতুবে রব্বানী মাহবুবে ছোবহানী হাদীয়ে জমান হযরত শাহ সুফী আলহাজ মাওলানা নেছারুদ্দিন সাহেব কতৃক প্রণীত।
এই বহু বিশেষণে বিশেষিত একজন পীরের অনুমোদিত বহু বিশেষণে বিশেষিত একজন পীরের লেখা উক্ত তা'লীমে মা'রেফাত কেতাবের ৬৭ নং পৃষ্ঠায় লিখিত মুরীদানদের প্রতি আরোপিত ১২ নং আইনটি হচ্ছেঃ
১২) “পীরের কোনও কথাই অদুল (অমান্য) করিবে না; যদিও মুরীদের কথাই সত্য হয় তথাপি পীরের গলৎ কে নিজের সহীহ হইতে উত্তম মনে করিবে।”
৬৬ নং পৃষ্ঠার ১১ নং আইনঃ
১১) “পীরের আওলাদ-ফবজন্দকে পীরের জাত হিসাবে পীরের তুল্যই সম্মান করিতে হইবে। তাহাদের যোগ্যতা কামেলিয়াৎ বিচার করিবে না।ঃ
৬৪ পৃষ্ঠার ৬ নং আইনঃ
৬)“পীর যাহা আদেশ করেন বিলম্ব না করিয়া তখনই তাহা পালন করিবে; কাজ সম্পন্ন করিবার পূর্বে কোনও প্রকার প্রতিবাদ করিবে না।”
৬৫ পৃষ্ঠার ২নং আইনঃ
২) “পীরের কাছে অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খেলাফ।”
৬৩পৃষ্ঠার ৫নং আইনঃ
৫) “মুরীদ এমন স্থানে দাড়াইবে না যাহাতে পীরের শরীর কিংবা কাপড়ের উপর মুরীদের ছায়া পতিত হয়।”
৬৩ পৃষ্ঠার ৬নং আইনঃ
৬) “পীরের জায়নামাজের উপর পাও রাখিবে না; তাহার অজু গোছলের স্থানে অজু গোছল করিবে না; পায়খানা পেশাব খানা সম্বন্ধেও এইরূপ জানিবে।”
৬৩ পৃষ্ঠার ১০নং আইনঃ
১০) “পীরের সকল কাজ ভাল মনে করিব। যদিও প্রকাশ্যে উহা ভাল মনে না হয়। কেন না কামেল জীর আল্লাহ তা’তালার তরফ হইতে “এলহাম” প্রাপ্ত হইয়া কাজ করিতে থাকেন।”
৬৩ পৃষ্ঠার ১১ নং আইনঃ
১১) “খানা পিনা ও লেবাছাদি পরিধান করা ইত্যাদি ছোট বড় সব কাজে পীরের অনুসরণ করিবে। এই প্রকার নামাজ পড়াও পীরের ত্বরিকা মতে আমল করিবে।”
৬৬ পৃষ্ঠার ৭ নং আইনঃ
৭) “জান মাল সন্তান সন্ততি সবই পীরের প্রতি কোরবান করিবে।”
প্রতিবাদঃ
আবু দাউদ শরীফের হাদীসে রয়েছে জনৈক ব্যক্তি এসে রসূল (সঃ) কে বললেন, “আপনাকে আমার আব্বা সালাম দিয়েছেন।ঃ শুনে আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন, “ওয়া আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম।” বুখারী শরীফের হাদীসে আছে, ওমর (রাঃ) তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ (রাঃ) মারাফত মা আয়েশা (রাঃ) এর কাছে সালাম পৌঁছে দিয়ে কবরের ঐ জায়গাটুকুর জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন।
তা’হলে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর কাছে অপরের সালাম পৌঁছে দেয়া আদবের খেলাফ হল না; মা আয়েশার (রাঃ) কাছে ওমর (রাঃ) এর সালাম পৌঁছে দেওয়া আদবের খেলাফ হল না, আর পীরের কাছে অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খেলাফ হয়ে গেল ? এবার চিন্তা করুন পীরগিরি কাকে বলে।
একজন মানুষের ছায়া একজন মানুষের গায়ে পড়তে পারবেনা এমন আইন ইসলামে আছে কি ? পীরকি মাহানবী (সাঃ) এর থেকেও বড়? নবী (সাঃ) তো এমন কথা কোন সাহাবীকেও বলেননি; তাহলে পীর সাহেব কি খুব অহংকারী ?
নবী (সাঃ) যেখানে ওযু করতেন, পায়খানা পেশাব করতেন সেখানে কোন সাহাবী বা অন্য কারো প্রবেশ করা নিষেধ ছিল এমন কথাতো কোন হাদীসে শুনি নাই। তাহলে পীর সাহেব নিজেকে কি প্রমান করতে চাইছেন ? আর তার মুরীদরা কি এজন্য ভাবছেন তিনি আল্লাহর পাঠানো স্পেশাল কেউ ? আসলে ওনারা বড়ই স্পেশাল !!
মহান আল্লাহ বলেন, “যারা আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করে, তাদের থেকে অধিক যালেম কে হবে ? অথবা বলে যে, আমার প্রতি ওহী হয় (ইলহাম আসে, ফয়েজ আসে) অথচ তার প্রতি কিছুই ওহী করা হয় না, অথবা যে বলে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন আমিও অনতিবিলম্বে অনুরূপ নাযিল করব, (ফায়েজ দান করব)। আর আপনি যদি দেখতেন ! যখন যালেমরা মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর, তখন ফেরেশতাগণ তাদের হাত বিস্তার করে বলবে তোমরা তোমাদের আত্মা বের কর, আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি দেয়া হবে, যেহেতু তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য কথা বলতে।” (সুরা আনআম, আয়াত-৯৩)
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ “আল্লাহ তা’আলা ফিরিশতাগণ ও মানুষের মধ্যে থেকে রাসূলগণকে মনোনিত কনের।” (সুরা হজ্জ্ব, আয়াত-৭৫)
অথচ পীরগণ দাবী করে বসলেন, আল্লাহর তরফ থেকে “এলহাম” আসে, অর্থাৎ ইসারা আসে, ফায়েজ আসে, নির্দেশ আসে। আল্লাহ নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েই নাকি পীর সাহেবগণ সমস্ত কর্ম-কান্ড করে থাকেন বলে দাবী করেন। নবী-রাসূল এবং ফিরিশতাগণ ছাড়া আল্লাহর প থেকে কারো নিকট কোনকিছু আসে না। পীর সাহেব কি নিজেকে ফিরিশতা বা নবী বলে দাবী করেন ? যেমন গোলাম আহাম্মদ কাদীয়ানী নিজেকে আল্লাহর নবী বলে দাবী করেছিল, যার পরীপেেিত বাংলাদেশের সমস্ত মুসলিমগণ তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কাদীয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষনা করে তাদের সমস্ত প্রচারনা বন্ধ করে দেবার জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন।
পীর সাহেবগণ যে দাবী করেন উনাদের নিকট আল্লাহর নির্দেশ, এলহাম, ফায়েজ, ইসারা বা অহী আসে তার জন্য বাংলাদেশের মুসলিমগণ পীর সাাহেবগণকে অমুসলিম ঘোষনার জন্য সোচ্চার না হয়ে, মহান আল্লাহর দাসত্ব ছেড়ে পীর সাহেবগণের দাসত্ত করে চলেছেন তার রহস্য বুঝা বড় কঠিন।
আল্লাহ বলেন আমার রাসূলের অনুসরণ কর, আর পীর বলেন, “তোমরা আমার অনুসরণ কর।’ পীরগিরির কি চমৎকার আইন !
মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ “হে ঈমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহর অনুগত্য কর এবং রাসূলের অনুসরণ কর, আর তোমাদের আমলগুলি বিনষ্ট করিও না।” (সুরা মোহাম্মদ, আয়াত-৩৩)
আল্লাহর আদেশ অমান্য করে পীরের আদেশ মানলে, আল্লাহর স্থানে পীরকে বসানো হলো, এটাই মুরীদদের আল্লাহর সাথে পীরকে শরীক করা। এতে করে মুরীদানগণ মুশরেক হয়ে গেল।
সর্বশেষ ৬৬ পৃষ্ঠার ৭নং আইনে পীরতো এমন কিছু দবী করল যা আল্লাহ দাবী করেন। এই আইন মানলেই মুশরেক, আর কোরবান করার প্রয়োজন পড়বে না। জান মাল কোরবান আল্লাহ উপভোগ করেন না; পান্তরে পীর সাহেবগণ মুরিদানদের কোরবান স্বপরিবারে ভণ করেন। যদি কেউ পীরগিরির ফাঁদে পা দেয় তাহলে একদিন সে নিজেই কোরবান হয়ে যাবে !
এত কিছুর পরও দেখবেন এক শ্রেণীর উম্মাদ আছে যারা মাজারে গিয়ে মাথা ঝাকিয়ে পীর সাহেবের কাছে ফরিয়াদ করে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বা বললে মারতে পর্যন্ত উদ্যত হয়। আল্লাহ এদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। যত হাদীসই দেখান না কেন তার কোন মূল্য তাদের কাছে নেই। পীরদের দেওয়া যুক্তিকে সম্বল করে নবীর সহীহ হাদীসকে খন্ডন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত। যদিও আল্লাহ এদের হেদায়েত দিবেন না তার পরও তাদের জন্য দোয়া করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৭