somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেইভ এবং ষ্টোন ফরেষ্ট,কুনমিং(চায়না)

২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নাস্তা খেতে বসলাম। মেন্যু-ডিম ভাজা,বুটের ডাল দিয়ে হাসের মাংস,চা সাথে রুটি।আমরা বের হলাম ১১টার দিকে।ড্রাইভারের নাম বিল্লু।চায়নিজ তবে বাংলা বুঝে এবং বলতে পারে। গত ১১ বছর ধরে বাং্গালীদের সাথে আছে।হোটেল থেকে কেইভ যেতে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে। অসাধারন জায়গা।চারিদিকে ছবির মত পরিবেশ।পাহাড়ী এলাকা আশে পাশে।খুব সাজানো গোছানো।যাই হোক আমরা বিল্লুকেও সাথে নিলাম।টিকিট নিল ১২০আরএমবি করে।গেইট দিয়ে ঢোকার মুখে প্রত্যেককে একটা করে পানির বোতল দিল।তারপর লিফট দিয়ে নিচে নামানো হল ।নিচে নেমে কিছুক্ষন রোয়িং হল।তারপর গুহাতে প্রবেশ। প্রচন্ড গতিতে পনি পড়ছে পাহারের গা ঘেসে। শব্দ হচ্ছে।দেখার মত পরিবেশ।প্রচুর পর্যটক।তবে বেশি ভাগই চায়নিজ।শুরু হল সিড়ি ধরে নিচে নামা ।পাহাড়ের গায়ে মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।আছে লাইটের মায়াবী আলে।আছে সিসি ক্যামেরা।কখনও নিচে নামছি আবার কখনও উপরে উঠছি।সৃষ্টির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে একবারে বাক্যহারা। গুহার প্রায় মাঝখানে বিশাল বড় হল রুমের মত একটা জায়গা।এখানে কিছু প্রাচীন পাথর,গুহা বাসীর বসবাসের ম্যুরাল।রেষ্ট নেওয়ার জন্য বসার জায়গা,ওয়াসরুম আছে। আরও উপরে উঠার অনেক সিড়ি আছে কিন্তু আমরা আর পারছিলাম না। ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।বলতে পারেন মাইনকার চিপার ভিতর আছি। বের হতে গেলেও আরও ঘন্টা দেরেক এই রকম চড়াই উতরাই পার হতে হবে। আবার হাটা শুরু কখনও নিচে আবার কখনও উপরে খাড়া সি িড় বেয়ে্ উঠছি।ধৈর্যহারা হয়ে যাওয়ার মত াবস্তা।এক জায়গায় দেখলাম কিছুলোক বসে আছে পালকি নিয়ে।খাড়া সিড়ি।ওখান থেকে উপরে নিয়ে যাবে প্রতিজন ৬০ আরএমবি করে। মানে বাংলাদেশী টাকায় ৭৮০ টাকার মত। টাকার কথা চিন্তা করে ওদিকে আর পথ মারালাম না।নিজের পায়ের উপর ভরসা করেই আস্তে আস্তে রেস্ট নিয়ে উপরে উঠতে লাগলাম। অবষেশে ফেরার জন্য ক্যাবল কারের স্পটে পৌছালাম।এখান থেকে ক্যাবল কার করে যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেইখানে নিয়ে যাবে। ক্যাবল কারে চড়ে মজাই লেগেছে।তবে ব্যাপারটা ইনসিক্যুরড।চারিদিকে খোলামেলা,নিচে গাছের ঘনসারি।বন জঙ্গল।মিনিট দশেক লাগে ওপারে পৌছাতে।তারপর নেমে কিছুক্ষন রেষ্ট এবং স্থানীয় দোকান থেকে কেনাকাটা করে ষ্টোন ফরেষ্ট এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম।বেশীক্ষন লাগলো না ।বড়জোর আধা ঘন্টা।
ষ্টোন ফরেষ্ট এসে টিকিট কাটলাম সম্ববত ২০০ আরএমবি করে।তারপর ওদের গাড়ী করে নিয়ে গেল গেটের কাছাকাছি। এখানও চায়নিজ পর্যটক।হেটে গেট পার হয়ে আবার হাটা।চারিদিকে শুধু পাথর এর পাথর।লেকের মাঝখানেও পাথর।ডাঙ্গায় পাথর জলে পাথর।দেখছি আর হাটছি।সমস্য একটাই কোথাও ইংরেজিতে সাইন নাই যে কোথা দিয়ে যেতে হবে কোথা যেয়ে শেষ হবে।কাউকে জিগ্যোস করলে কিছুই বলতে পারে না।পুরাই ফাপরে।নিজেদের মত নিজেরাই ঘুরছি আরকি।প্রাকৃতিক পরিবেশ অতীব চমতকার।ছবি তুলছি আর হাটছি।হেটে হেটে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে বের হবার রাস্তা খুজতেছি। সেখানেও বিপত্তি ।কেউ কিছু বলতে পারে না।আল্লাহর উপর ভরসা করে হাটা শুরু করলাম এবং অবশেষে কামিয়াব হইলাম।সেদিন পায়ের দফারফা হয়ে গেছে।একদিনে এতকিছু বলাচলে একেবারে উপর্যপরি।যাইহোক অবশেষে হোটেলের দিকে প্রস্হান।পরদিন আবার সাফারী পার্ক।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮



ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে।যারা এখনো শুনেন নাই তাদের জন্য লিংক দিয়ে দিচ্ছি শুনেন ,কসম খোদার বেপক বিনোদন পাবেন।আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় অফিসে টোকাইরা হাগু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×