পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নাস্তা খেতে বসলাম। মেন্যু-ডিম ভাজা,বুটের ডাল দিয়ে হাসের মাংস,চা সাথে রুটি।আমরা বের হলাম ১১টার দিকে।ড্রাইভারের নাম বিল্লু।চায়নিজ তবে বাংলা বুঝে এবং বলতে পারে। গত ১১ বছর ধরে বাং্গালীদের সাথে আছে।হোটেল থেকে কেইভ যেতে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে। অসাধারন জায়গা।চারিদিকে ছবির মত পরিবেশ।পাহাড়ী এলাকা আশে পাশে।খুব সাজানো গোছানো।যাই হোক আমরা বিল্লুকেও সাথে নিলাম।টিকিট নিল ১২০আরএমবি করে।গেইট দিয়ে ঢোকার মুখে প্রত্যেককে একটা করে পানির বোতল দিল।তারপর লিফট দিয়ে নিচে নামানো হল ।নিচে নেমে কিছুক্ষন রোয়িং হল।তারপর গুহাতে প্রবেশ। প্রচন্ড গতিতে পনি পড়ছে পাহারের গা ঘেসে। শব্দ হচ্ছে।দেখার মত পরিবেশ।প্রচুর পর্যটক।তবে বেশি ভাগই চায়নিজ।শুরু হল সিড়ি ধরে নিচে নামা ।পাহাড়ের গায়ে মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।আছে লাইটের মায়াবী আলে।আছে সিসি ক্যামেরা।কখনও নিচে নামছি আবার কখনও উপরে উঠছি।সৃষ্টির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে একবারে বাক্যহারা। গুহার প্রায় মাঝখানে বিশাল বড় হল রুমের মত একটা জায়গা।এখানে কিছু প্রাচীন পাথর,গুহা বাসীর বসবাসের ম্যুরাল।রেষ্ট নেওয়ার জন্য বসার জায়গা,ওয়াসরুম আছে। আরও উপরে উঠার অনেক সিড়ি আছে কিন্তু আমরা আর পারছিলাম না। ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।বলতে পারেন মাইনকার চিপার ভিতর আছি। বের হতে গেলেও আরও ঘন্টা দেরেক এই রকম চড়াই উতরাই পার হতে হবে। আবার হাটা শুরু কখনও নিচে আবার কখনও উপরে খাড়া সি িড় বেয়ে্ উঠছি।ধৈর্যহারা হয়ে যাওয়ার মত াবস্তা।এক জায়গায় দেখলাম কিছুলোক বসে আছে পালকি নিয়ে।খাড়া সিড়ি।ওখান থেকে উপরে নিয়ে যাবে প্রতিজন ৬০ আরএমবি করে। মানে বাংলাদেশী টাকায় ৭৮০ টাকার মত। টাকার কথা চিন্তা করে ওদিকে আর পথ মারালাম না।নিজের পায়ের উপর ভরসা করেই আস্তে আস্তে রেস্ট নিয়ে উপরে উঠতে লাগলাম। অবষেশে ফেরার জন্য ক্যাবল কারের স্পটে পৌছালাম।এখান থেকে ক্যাবল কার করে যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেইখানে নিয়ে যাবে। ক্যাবল কারে চড়ে মজাই লেগেছে।তবে ব্যাপারটা ইনসিক্যুরড।চারিদিকে খোলামেলা,নিচে গাছের ঘনসারি।বন জঙ্গল।মিনিট দশেক লাগে ওপারে পৌছাতে।তারপর নেমে কিছুক্ষন রেষ্ট এবং স্থানীয় দোকান থেকে কেনাকাটা করে ষ্টোন ফরেষ্ট এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম।বেশীক্ষন লাগলো না ।বড়জোর আধা ঘন্টা।
ষ্টোন ফরেষ্ট এসে টিকিট কাটলাম সম্ববত ২০০ আরএমবি করে।তারপর ওদের গাড়ী করে নিয়ে গেল গেটের কাছাকাছি। এখানও চায়নিজ পর্যটক।হেটে গেট পার হয়ে আবার হাটা।চারিদিকে শুধু পাথর এর পাথর।লেকের মাঝখানেও পাথর।ডাঙ্গায় পাথর জলে পাথর।দেখছি আর হাটছি।সমস্য একটাই কোথাও ইংরেজিতে সাইন নাই যে কোথা দিয়ে যেতে হবে কোথা যেয়ে শেষ হবে।কাউকে জিগ্যোস করলে কিছুই বলতে পারে না।পুরাই ফাপরে।নিজেদের মত নিজেরাই ঘুরছি আরকি।প্রাকৃতিক পরিবেশ অতীব চমতকার।ছবি তুলছি আর হাটছি।হেটে হেটে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে বের হবার রাস্তা খুজতেছি। সেখানেও বিপত্তি ।কেউ কিছু বলতে পারে না।আল্লাহর উপর ভরসা করে হাটা শুরু করলাম এবং অবশেষে কামিয়াব হইলাম।সেদিন পায়ের দফারফা হয়ে গেছে।একদিনে এতকিছু বলাচলে একেবারে উপর্যপরি।যাইহোক অবশেষে হোটেলের দিকে প্রস্হান।পরদিন আবার সাফারী পার্ক।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০০