১। হৈচৈ হচ্ছে আসামীদের মাথায় আইএস এর টুপি এল কোত্থেকে, আমার প্রশ্ন হল এরা আইএস এর টুপি পরে আদালত চত্তরে ঘোরার সুযোগ পেল কিভাবে? দুই পাশে পুলিশ, সাংবাদীকরা ফটো তুলছেন, কেউ ওদের থেকে টুপি কেড়ে নিল না! কোন আঁতেল যদি বলেন টুপি খোলা গুনার কাজ, তাহলে কোনটা আইএস এর টুপি, আর কোনটা সাধারন টুপি এটা না চিনা এই জামানায় কবিরা গুনার কাজ। এরা টুপি পরে হেটে এসে প্রিজন ভেনে উঠে গেল! এদের উদ্দ্যেশ্য ছিল টুপি দেখানো, একটা বার্তা পৌছানো। যে তরিকায় এই টুপি যোগাড় হয়েছে, একিই তরিকায় এই টুপি প্রদর্শনের ব্যবস্থা হয়েছে। সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে মনে হচ্ছে আর তা যদি হয়ে থাকে, এটা একটা ভয়ানক ব্যাপার!
২। আরেকটি সমস্যা যেটি মাথায় আসে তা হল ইউটিউব, ফেইসবুকে নানান হুজুর আর বন্ধু বান্ধবদের দেখি ধর্মীয় নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে, কিন্তু এসব জন্গীদের নিয়ে কেউ কথা বলেনা। আমার মনে হয় উনারা ভাবেন মৌনাতা সন্মতির লক্ষন, কিন্তু এই মৌনাতাও ভয়াবহ। আমাদের কঠিন ভাবে বার্তা পৌছে দিতে হবে এই জন্গীরা মুসলীম ত দূরের কথা, এরা নিকৃষ্ট কাফের। আমরা যারা পান্জাবী টুপি পরা সাধারন মুসলমান, তাদের মাঝে এদের স্থান নেই। এদের ফাঁসীতে মুসলমান, বিশেষ করে যারা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লিখতে বা বলতে পছন্দ করেন তাদের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বার্তা পৌছাতে হবে। এভাবেই নতূন প্রজন্ম জানবে,বুঝবে আর শিখবে। প্রচারেই প্রসার। আপনি মৌন থেকে প্রচার করছেন না, জন্গীবাদের নিভৃত প্রচার নিরবে প্রসার করছে নাতো! প্লিজ ধারনাটা উড়িয়ে দেবেন না, হোলি আর্টিজানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৬