যেটা মনে হচ্ছে, তিনি মসনদ ছেড়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু সমনদের খায়েস তিনি ত্যাগ করেন নাই। ছলে বলে কৌশলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে, রেখে যাওয়া অসভ্য হারুন, মনিরুল, নানক, আরাফাত সহ হাজার হাজার খুনি দিয়ে সে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে ঠিকই পৌছাতে চেষ্টা করবে। ১৫ বছর ধরে পুলিশ, বিচারালয়, সিভিল প্রশাসন সর্বত্র তিনি যে বিষ পুতেছেন, তা নির্বিষ করতে না পারলে, ভবিষ্যৎ আমাদের পুরাই অন্ধকার। পাশে আছেন আমাদের প্রতিবেশী দাদা। তাদের দংশণ আর কূটচাল আমাদের জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকবে। ইতিমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় শাহবাগে এসে গেছেন, হট্টগোলের সূত্রপাত করতে। পাশের দেশে হয়তো হিন্দু -মুসিলিম রায়োট বাঁধানোর নীল নক্সা তৈরী করছেন, হসিনাকে আবারো এই দেশে পাচার করার জন্য। কারণ এটা এখন পরিষ্কার যে, সে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নেই বদ্ধ পরিকর। একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্র প্রধান কিভাবে বিক্রি হয়, সেটা তাকে না দেখলে বোঝা যায় না। বিদায়ের আগ মুহূর্তে তিনি ভারতীয় সৈন্য চেয়ে নিজেকে সেভ করতে ব্রত ছিলেন।
এই যে আমাদের দেশে ভারতের নগ্ন পদচারণা, এটা একমাত্র শেখ হাসিনার জন্যেই সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশের গনতস্ত্র, সার্বভৌমত্ব সব কিছু বিলীন হয়ে গেছে ওনার জন্য। পিলখানা, শাপলা চত্তর, ইলিয়াস আলী, সাগর রুনী, মেজর সিনহা সহ হাজারো গুম খুন অপকর্মের মূল ইন্ধন দাতা ভারত বলে অনেকেই বিশ্বাস করে। লাখ লাখ ভারতীয় এই দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত। এসব কিসের আলামত জনগন তা জানতে পারেনি কোনদিন। জানার চেষ্টা করলেই আয়না ঘরে যেতে হয়েছে। এসব কিছুর সুষ্ঠ তদন্ত প্রয়োজন। তবে তা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে।
এই অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের উচিৎ হবে দ্রুত আওয়ামিলীগের ঐ সকল অপরাধী নেতা কর্মি ও সরকারী অফিসের তাদের সহযোগি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দকে অবিলম্বে চাকুরীচ্যুত ও বিচারের মুখোমুখি করা। তা নাহলে এই অর্জন বিফলে যেতে বাধ্য। নিয়মের রাস্তায় লীগ কখনো চলে না, সুতরাং তাদের সাথে আইনি লড়াই করতে গেলে সময় ক্ষেপন হবে। ৭১ সালে বংগবীর যেমন বেয়োনেট দিয়ে রাজাকার মেরেছিলেন। ওটাই ভালো ছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩০