গত ক'দিন কি হয়েছে এই দেশের মানুষের সাথে সেটার ব্যাখ্যায় আর না-ই বা গেলাম। অনেকেই সেসবের বর্ণনা নিজের মতো করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেশকে পরিচালনার জন্য যে একটি সর্ব গ্রহণ যোগ্য সিস্টেমে তোলা দরকার সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। বিগত ১৫+ বছর ধরে এই দেশে যেভাবে দুষ্টের পালন আর শিষ্টের দমন চাষ হয়েছে. তা থেকে পরিত্রানের উপায় দ্রুত খুঁজে বের করে বাস্তবায়ন করতে হবে। সিভিল প্রশাসন , পুলিশ, বিচার বিভাগ, ভুমি মন্ত্রণালয়, জন প্রশাসন, কর, তিতাস, ওয়াসা, রেল, বিমান সহ সর্বত্র যে দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে, সর্বাগ্রে এই সরকারি অর্গান সমুহকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তা না হলে ছাত্রদের এই বিজয় অচিরেই আঁস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চলমান যে সার্কাস, অচিরেই তা বন্ধ করে সঠিক রাস্তায় আনতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটা সেক্টরের সিমাহীন দূর্ণীতি আর খামখেয়ালিপনা দূর করে ল এ্যান্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন নয় যে বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের পূর্বে দূর্নীতি হয়নি। অবশ্যই হয়েছে। সে সকল বিষয় মাথায় রেখেই এমন একটি ব্যবস্থায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, যেখানে দূর্নীতিবাজরা থাকবে ভাগাড়ে। তাদের দেখা মাত্র মানুষ থুথু ছিটাবে।
এই দেশের সাধারণ মানুষ যেনো আর নৌকা - ধানের শীষ ব্লা ব্লা নিয়ে বিতর্ক করে নিজেদেরে মাথা নিজেরা না ফাটায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। মুুজিব বা জিয়া কে নিয়ে যেনো আর বিতর্ক না করে। সবাই যেনো সবাইকে মূল্যায়ন করে, আমাদেরকে তেমন একটি জাতি গঠন করতে হবে। সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক কোন্দল করে আর নেতারা কোটি কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে বেগম পাড়া তৈরী করে- এমন পরিবেশ আর হতে দেয়া যাবে না।
যদিও এই আশা অনেক বড়, তবে লক্ষ্য থাকলে ঠিকই একদিন তা পূরণ হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেনো আর বিদেশে গিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহি না হয়ে তার এই মাতৃভুমিকেই ভালো বাসতে পারে-সেই উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়।