[ নিজের সাক্ষাৎকার নিজেই নেবার আইডিয়াটা পাই বৈঠকখানা নামের একটা সাহিত্য পত্রিকায় কবি রিফাত চৌধুরীর একটি আত্নসাক্ষাৎকার "আমার কথারা" পড়ে। এর আগে আমি এ ধরনের কিছু পড়িটরি নাই। যখন নির্মাতা সাইফুল ওয়াদুদ এর ইচ্ছেটা বুঝতে পারলাম তখন মনে হল নিয়েই দেখি একটা আত্নসাক্ষাৎকার! আশা করছি ব্লগার লাল দরজার সাথে নির্মাতা সাইফুল ওযয়াদুদ হেলাল এর কথোপকথনটি পাঠক আগ্রহ নিয়ে পড়বেন। ]
আপনার ছবি "বাংলাদেশের হৃদয়" এবারকার বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। এই ছবি নির্মানের পটভুমিটা জানি, এই ছবি নিয়ে আপনি ঘুরে বেরিয়েছেন দেশ বিদেশ। অভিজ্ঞতা বলুন।
অভিজ্ঞতা তেমন ভাল না।
মানে! এই ছবি ও আরো বেশ কটি ছবি নিয়ে আপনারা আমাদের ছবি নামক একটা আন্দোলনমত করছেন। এরই অংশ হিসেবে অন্নান্য ছবিসহ আপনার ছবিটি'রও বেশকটি সফল শো হয়েছে দেশে ও বিদেশে। এর পর বলছেন অভিজ্ঞতা ভাল না! আসলে ব্যাপারটা কী?
বিস্তর কথা, বলার ইচ্ছে আছে বলতেও কম বলব না সমস্যা হল, বললেইত হবে না প্রশ্ন হোক আর উত্তর হোক কীবোর্ড চালিয়ে সেটা ত শব্দে শব্দে বাক্য রচনা করতে হবে? ঝামেলাত ঐখানে। এত কথা এক আঙ্গুল দিয়ে কতক্ষনে লিখা হবে! তাই ভাবছি, ফুটানি মেরে আত্নসাক্ষাৎকার দিতে বসে শেষেত লিখার ভয়ে আর তেমন করে বলা হবে না! অথচ কথা গুলি বলাটা দরকার।
বলেন না, অসুবিধা কী? অর্ধেক অর্ধেক করে করে ফেলব টাইপ। ব্যাপার না।
ধুরঅ মিয়া, এইখানে উদর আর বুদর ত এক জনই। লাভতো কিছু হবে না।
যাই হোক, কী বলে শুরু করব ভাবছি!
এই যে ছবি নিয়ে একটা সাক্ষাৎকার এটা তৃতীয় কেউ নিলে কত ভাল হত! অন্তত মন ভরে কটা কাজের কথা বলা যেত। এই জন্যই মনটা খারাপ হয়ে যায়। তাই বলছিলাম, অভিজ্ঞতা ভাল না। ভালনা বলতে বিভিন্ন যায়গায় শো করেছি সবখানে আশানুরূপ রেস্পন্স পাওয়া না পাওয়া না। বলতেগেলে রেস্পন্স ভালোই পেয়েছি। কিন্তু যেটা হল, মানুষ এখন কোন কিছুই আর সময় করে মন বসিয়ে দেখেতে পারে না। সেটা ক্ষুদ্র বৃহৎ যে ধরনের, যে মাধ্যম বা যে ফর্মের কাজই হোক না কেন? আসলে এই ইউটিউব, সোস্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষের মনোযোগ পাওয়া বা কোন কিছুতে নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগী হওয়া দিনকে দিন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। এটা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়। একটা ছবি করলাম তার পর ইচ্ছে আর সুবিধা মিলিয়ে কয়টা শো করলাম তার পর নিজেকে বললাম, ব্যাস হয়ে গেছে এবার নতুন কিছুর পিছনে ছুটতে থাক। দু'দিন পরে কারো আর মনেও করার দরকার নেই। এটা কোন এনজিও বা টিভি প্রজেক্ট হইলে এক ভাবে দেখার হয়ত অবকাশ থাকে কিন্তু আমি যে ধরনের কাজ করি যে বিষয় নিয়ে একেবারে শূন্য থেকে দস্তুরমত শূন্য নিয়ে শুরু করি সে ক্ষেত্রে আমি মোটেও ব্যাপারটাকে এইখানে এভাবে ভাবতে পারি না।
আপনার ভাবনাটা কি জানতে চাই।
মানুষে যেমন লেখালিখি করেন বই ছাপেন তেমনি আমি ক্যামেরা দিয়ে লিখি বা বলি। আমার চারপাশের যে জীবন, জীবন বোধ সেসবই আমার কাজের উপজীব্য। সিনেমানিয়া, আনিকার বাড়ী, অপরাজেয় বাংলা সর্বশেষ বাংলাদেশের হৃদয় সবকটা কাজই করেছি সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে। আমি নিজে নিজে কাজ করি। কাজ করতে করতে বিষয় খুজে পাই। এমন নয় যে একটা বিষয় আগে ভাগেই ঠিক করে রেখে তারপর গবেষণা ইত্যাদি করে খুব সচেতন ভাবে যা চাই তা বের করে আনলাম। আমার কাজের ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও সে ধরনের কিছু নয়।
হ্যা, তাতো জানি। কাজ দেখলেই সেটা আন্দাজ করা যায়।
হ্যা, সেটা আমার কাজে সোজাসাপ্টা ভাবেই আসে। কোন ভান ভনিতার বালাই নেই। বাংলাদেশের হৃদয়ের কথা দিয়েই বলি। ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখ সকালের নাস্তা করতে করতে রায়ের ব্যাপারে অবগত হই। ফেইসবুকের একটা ফীড দেখলাম শাহাবাগে ২ টা না ৩টায় যেন মানব বন্ধন জাতিয় কিছু একটা হবে। বাসা থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তা অবদি হেটে যাবার পর রিক্সা নিলাম। ঢকার রাস্তায় মনে হল কারফিউ! জামায়াতের ডাকা হরতাল রাস্তাঘাট দোকানপাট মানুষজন মনে হচ্ছে সবাই ভেতরে ঢুকে গেছে। চারপাশে কেমন যেন একটা থমথরম ভাব। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল জামায়াত হরতাল দিলে সবাইকে এমন লেজ গুটিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে হবে কেন? কী আশ্চর্য্য! বিএনপি হরতাল ডাকলে দিব্যি দোকানপাট গাড়ীঘোড়া সব চলে অথচ জামায়াতকে কিসের এত ভয়!
শাহাবাগে নেমে মনে হল সবাই যা ভেবে ছুটে এসেছে আমিও তাই ভেবেছি। সরকার এই বিচার নিয়ে রাজনৈতিক গুটিবাজী করেছে। কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন জেল মানে কয়দিন আরাম আয়েসে জেলে কাটিয়ে পাপ হতে নিস্কৃতি নিয়ে বেরিয়ে যাবে সে। অন্য সবার সাথে আমিও তখন রাস্তায় বসে যাই। কিসের ক্যামেরা কিসের কী! বাংলাদেশের জন্ম যারা একদা স্বীকার করে নাই, যারা এখনো একাত্তরের কৃতকর্মের জন্য বিন্দুমাত্র দুঃখিত, লজ্জিত নয় যাদের নেই কোন অপরাধবোধ। যারা স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। এনিওয়ে, তার পরের দিনগুলি আমার জীবনকে যারপর নাই নাড়িয়ে দিয়েছে। এত বিষদ আর এই পরিসরে বলব না। শাহাবাগের দিনগুলিকে আমার মত করে ক্যামেরার তুলে রাখতে চেয়েছি। ছবি হবে কী হবে না, কী ছবি তুলব ঠিকঠিকানা ছিল না। আন্দোলনের ভেতর থেকে যখন ছবি তোলার সত্বা নিয়ে কাজ করি তখন মনে করেছি এই ফাঁসি ফাঁসির একই ছবি এত তুলে হবেটা কী? আবার ক্যমেরা ছাড়া থাকতেও পারছি না! টিভি অলারা যা তুলছে যা দেখাচ্ছে আমার কাছে মনে হল একটা সময় এলে টিভি অলারা ঠিকই চলে যাবে, ছুটবে নতুন কিছুর পিছু। রয়ে যাবে যেখানের শাহাবাগ সেখানে আর রয়ে যাবে শাহাবাগে আসা নানা মানুষের নানা গল্প। না দেখা, না বলা হয়ত না বোঝাও ছোট ছেট মানুষের ছোট ছোট কত কথার কোন উল্লেখই রবেনা আর! ঠিক যেন খানা আতার লেখা ঐ গানের মত, হয়তোবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লিখা রবে না। বড় বড় লোকেদের ভীড়ে জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে, তোমাদের কথা কেউ কবে না! ... সে জন্যই শাহাবাগের গনআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, শাহাবাগের ক্যানভাসে আমি ইতিহাসে নাম না ওঠা মানুষের ছবি আঁকতে চেয়েছি। সেকারনেই এত বড় বিশাল জনস্ত্রেতের ভেতর হতে অন্য কোথায়ও নয় পথ শিশু দশ বছরের হৃদয়ের কাছে এসে আমার ক্যামেরা থমকে যায়। দেশ কাঁপানো দুনিয়া ছড়ানো এই আন্দোলনের মাঝ হতে শিশু হৃদয় আমাকেই বরং কাঁপিয়ে দেয় এক প্রকার। হৃদয়কে দেখে শাহাবাগে ওর মশাল হাতে মিছিল করা দেখে আমার ৬৯ এর গনআন্দোলনের সময় রশীদ তালুকদার এর তোলা সেই আইকনিক ছকিটার কথা মনে পড়ে যায়। আমরা কেউ সেই শিশুটির নামটি পর্য্যন্ত আর জানি না থাকতো ওর বাড়ীঘরের ঠিকঠিকানা, মা/বাবার পরিচয়। একদম এই ভাবনা থেকেই আমার হৃদয়ের ঠিকানা খোঁজ করা খুজতে খুজতে ওর বাড়ী পৌছে যাওয়া। আমি তখনো বুঝিনাই হৃদয়ের গল্প আমাকে এমনটাই চমকে দেবে!
তখন শাহাবাগের গনজাগরণ নিয়ে টিভি টকশো গুলোতে জমজমাট বাকবিতন্ডা। শহর দখলের ঘোষণা করেছে হেফাজত এ ইসলাম। যেই শাহাবাগে অন্তত একটিবার না আসতে পারলে বদন খানি মলিন হয়ে যাবে ভেবে ছিল দেশের মানুষ সেই শাহাবাগের বিপরীতে শহর ভেসে গেল লাখো তৌহীদি জনতার প্লাবনে। মুক্তি যুদ্ধের ৪৩ বছর পর আবারো সেই একই কথা, আবারো নাস্তিক/আস্তিক বিতর্কে লিপ্ত হওয়া। আবারো ধর্মভিত্তি রাষ্ট্র চিন্তা বনাম রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার দ্বন্দ সংঘর্ষ। এমন একটা পরিস্থিতিতে হৃদয় নামক দশ বছরের বাড়ী ছাড়া এক পথশিশুর খোঁজ নেয়া কারো কাছে জরুরী কোন বিষয় নয়। কে খবর রাখে, ২০১৩ সালের বাংলাদেশে হৃদয় নামের শিশুটির জন্য কোন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে! এই শিশুটির মা/বাবা কি শেষমেষ ওকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিবে? শিশুটি কি এ দেশের কোন অবৈতনিক শিক্ষার নাগালের ভেতর পৌছাতে পারবে? নাকি ঢাকা শহরের হাজারো ঠিকানা বিহীন শিশুর মত পথই হয়ে যাবে ওর ঠিকানা। বড় হয়ে ও কি হবে? শাফী হুজুরদের অনুসারী? টোকাই হৃদয়? জুতার কারখানার কোন শ্রমিক? নাকি এর কিছুই না, একদিন মিছিল করতে গিয়ে অপঘাতে মারা পরবে সে!
আমার কাছে মনে হয়, স্বাধীনতার সুফল আমরা অনেকেই গত ৪৩ বছর যাবত একটু একটু করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিলেও এদেশে ধনী গরীবের পার্থক্য প্রকট হয়ে উঠেছে। ধনী আরো অনেক ধনী গরীব আরো তস্য গরীব হয়েছে। শহরে আকাশে ইদানীং প্রায়শই চোখ ধাঁধানো আতশবাজী পোড়ে ওড়ে রঙ্গীন অনেক ফানুস। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবেসে বুকে হাত রেখে কি শোভা কি ছায়াগো গাই অথচ ৪৩ বছর পর হৃদয়দের ভবিষ্যৎ কি হবে আমরা বুকে হাত দিয়ে কেউ তা বলতে পারি না। কথা ছিল একটি ফুলকে বাঁচাবার। ফুলের মত জীবন বেচবার নয়। কথা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের। বিলাসী আলোর কোন মায়াপুরী নয়। আমরা আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ রাখি, কিন্তু বাংলাদেশের হৃদয়ের খবর আমরা কতটুকু রাখি? সত্যি করে রাখতে চেয়েছি কি কোনদিন?
বাহ, জানা হল আপনার ছবির কথা। ছবি নির্মানের মনস্তত্ব। এই ছবিটার তো বেশ কটি স্ক্রীনিং হলো, জিজ্ঞাসা ছিল কেমন রেস্পন্স পেলেন? আপনার অভিজ্ঞতা। ভালো হল ছবি নির্মাণ নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনা জানা হয়ে গেল। আশা করি পাঠকও বুঝতে পাবেন ছবিটা কেন কি চিন্তা থেকে নির্মীত হল।
হ্যা এই জন্যই বলেছিলাম অভিজ্ঞতা তেমন ভালো না। গড়পরতা দর্শকদের ধারনা শাহাবাগ গণজাগরন নিয়ে ছবি, এর মথ্যে হয়ত এক মুঠ ফাঁসি ফাঁসি থাকবে এক চিমটি দালালী থাকবে ব্যাস এই নিয়ে আমাদের ঘোলা রাজনৈতিক মনষ্কতায় ঘুটাঘুটি করা কিছু। তার পর ছবি দেখে একটু ধাক্কা খায়। তখন দু'চারটা কথা হয়ত বলে তারপর ওই ঘোলাজলের স্যালাইন মার্কা বিতর্কেটা না পেয়ে চুপ মেরে যায়। আমি মনে হয় এর মাঝে উল্লেখ করেছি যে এখন সময়টা 'দৌড়ের উপর' মার্কা একটা সময়। হাতে স্মার্ট ফোন, ইউটিবের ছোট ছোট ক্লীপ, টুইটারে দুই চার শব্দে টুইট, ফেইসবুক এর স্ট্যাটাস আপডেট, ইভেন্টস্, গ্রুপ্স, এর মাঝে আবার কাধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে দল বেধে টুরে যাওয়া ... মানুষকে ধরে এনে ছবি দেখিয়ে তার পর ছবি নিয়ে তার কাছ হতে রেস্পন্স শোনার জন্য আশা করা বেশী বেশী আবদার হয়ে যায়। তাই বলেছি ওই কথা। মানুষ ছবি দেখে দৌড়ের ওপর থাকে। মানে, আচ্ছা ঠিক আছে দেখছি এখন আমার দৌড়াতে হবে, দৌড়ের উপর জীবন। হৃদয় বাড়ী থেকে বার বার পালিয়ে চলে আসছে। কারখানার ওই ডিম আলোর স্যাতস্যাতে শৈশব ও চায় না, মাদ্রাসার কঠোর নিয়ম কানুন বাধা জীবনটাও সে বরণ করতে চায় না। ও বারে বারে শাহাবাগে ছুটে আসে একটু স্বাধীনতার আশায়। আমরা যদি এই শিশুদের ভবিষ্যৎ উপেক্ষা করে প্রাইভেট কারে, বাসে, সিএনজি উঠে আপন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দৌড়ের উপর থাকি তবে ২০০ টাকার বিনিময়ে কেউ যদি আমাদের দিকে কোন দিন প্রেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে সেই অপরাধের দায় আমরা কাকে দেবো?
অনেক কথা বলেছি। আশা করি যা চাওয়া তা পেয়ে গেছেন। এই বার দরজা থেকে বিদায় নেই। ধন্যবাদ এমন একটা সাক্ষাৎকারের কথা চিন্তা করার জন্য। ঢাকাতে বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ২০১৪ এ ৩১ মার্চ সন্ধ্যে ৭টায় পাবলিকলাইব্রেরীর অডিটরিয়ামে ছবিটি দেখাবে। সেই সুবাদে এই কথা গুলো শেয়ার করা গেল। ছবিটা প্রথম যখন এডিট করে শো করা শুরু করি তখন তাড়াহুড়ায় করা একটা রাফ ভার্শন দর্শকরা দেখতে পেয়ে ছিলেন। এবার দেখানো হচ্ছে ফাইনাল কাট। এতে বেশ কিছু যোজন বিয়োজন আছে। আছে কটা নতুন সিকোয়েন্স। ছবিটা ট্রিমিং করে আরো টানটান করা হয়েছে, বেড়েছে এর দৈর্ঘ। যুক্ত হয়েছে সাবটাইটেল। আমি এখানে এসে নিউইয়র্ক আর অটোয়ায় দুইটা শো করে বিরতি দিয়েছি। শাহাবাগের নাম শুনলে মানুষ মুখ পানসে করে ফেলে। এজ ইফ শাহাবাগ হতে লাভের কিছু নাই। আমি বলে রাখি শাহাবাগ যা দেখিয়ে গেছে, শাহাবাগ যা দিয়ে গেছে সেটা ধারন করতে আমাদের আরো বহু সময় যাবে।
মানে শাহাবাগ নিয়ে আপনি আশাবাদ রাখছেন।
অবশ্যই। শাহাবাগ নিয়ে কেবল আশাবাদ নয়, শাহাবাগ আমাদের আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় এক অর্জন। এটা এখন টের না পেলেও স্বীকার না করলেও এক দিন বাংলাদেশের মানুষ শাহাবাগের অর্জন নিয়ে শ্লাঘা বোধ করবে।
বাহ্! এর পর আজ আর কথা না বাড়াই। অনেক অনেক সাধুবাদ আপনাকে, আপনার কাজকে। অপনার কাজের আমি এক জন নিবেদিত অনুসারী। আপনার সকল কাজের সঙ্গী থাকবার অঙ্গীকার করি। কথা হবে আজীবন। আপনার মত করেই বলি, জীবনের জয় হউক, জয় জীবন। চীয়ার্স!
হুম, চীয়ার্স! জীবনের তরে সকল উল্লাস!!!
✊ জয় বাংলা!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৩