জ্যোৎস্নার ভেতর কর্তিত প্রজ্ঞার পতন। কোথাও কোনো দর্শন-চিহ্ন নেই। তার ভ্রমণবিলাসী কণ্ঠস্বর আমায় বিহ্বল করে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগেও তার অনির্বাণ কথামালা ডেকেছিল। ডেকেছিল বৃক্ষের পাণ্ডুলিপি হাওয়ায় হাওয়ায়। অথচ হৃদকৌটায় রোগমুক্তির শল্যবিদ্যা গোপন রাখে সে। কোথাও কিছু অবশিষ্ট নেই। তবু, একবার বিন্যস্ত হতে চাই। বিপরীত অন্তর ধুয়ে ফিরে এসো। তুমিই তো সেই প্রজ্ঞাবান পাখি। উঁচু হতে নেমে এসো মর্ত্যে পুনর্বার। অতঃপর জেনে রাখো, কুয়াশা পাঠচক্রে সব বৃক্ষের ডাকে সাড়া জাগে না।
০২
কতোকাল প্রতীক্ষায় আছি। প্রাণটুকু ধরে আছি হাতের মুঠোয়। মনোবিকলন কেন্দ্রের পথটুকু চিনে নাও। গলার রশিটা ক্রমশ গেঁথে যাচ্ছে তীর্থঙ্কর! তুমি ছুঁয়ে দিলেই তো নিশ্চিন্তে মরে যাই..
০৩
ভোর এলো। বহুদিন বহুদিন পর এলো
যেন জোর করেই দখল নিলো আমার সমস্ত দিনের খেরোখাতায়। অথচ, আমি আরো কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। কেননা, জেগে থাকলেই তোমার কথা মনে পড়ে। বাতাসে ভেসে আসে তোমার সৌরভ
বিহ্বল আমি কিছুই না বুঝে তার পেছন পেছন হাঁটতে থাকি। জেগে থাকলেই ইচ্ছে হয় তোমার হাত ধরে বসে থাকি রবীন্দ্র সরোবরে। ইচ্ছে হয় টুক করে ইনবক্সে লিখি, যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো...
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩২