আমাকে ঢেকে ছিল ধূয়ার চাদর
পাখিদের বিনিদ্র কলস্বর
তবু রাতের নিষিদ্ধ প্রহরে
শেষ বারের মতো জোসনার রোদ
গায়ে মাখব বলে
দরোজা খুলে দাঁড়াই...
এমন রাত কখনও আসেনি
এমন তীব্র গন্ধময় রাত
কী এক হিম উষ্ণতা রাতের শরীরে
আর আমি এক বেভুল বালিকা-
যার তালুর পদ্মে নাচে একশ নর্তকী
আমি সেই ছান্দসিককে দেখব বলে
রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙি
অসচকিত বাইরে আসি...
হেঁটে যাই রাত্রির পেছন পেছন....
হায়! আমার এই জলসন্ধিঘোর...
জলের শার্শিতে অপলকে নিজেকেই দেখি
আমূল পুড়ে যাই নিজেরই জোসনায়...
তাহলে এখনও হাতের মুদ্রায় ফোটে বিরল পদ্ম
এখনও ধ্রুপদ জড়িয়ে ধরে অলৌকিক মায়ায়!
১.১২.০৮
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫