এটা গত বছরের কথা। এক বছর পর মাহতাবের একটা লেখা পড়ে চমকে উঠলাম। ভাবছিলাম, এই মাহতাব কি সেই মাহতাব? পুরানোর সহকর্মীদের কাছে খোজ নিয়ে জানলাম, হ্যা। বাবার পিছনে পরিবারের সব টাকা পয়সা খরচ হয়ে যাওয়ায় মাহতাব পত্রিকায় কাজ শুরু করেছিলো। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার পরিবারের সমস্ত সঞ্চয়, বোনের বিয়ের জন্য জমানো টাকা সহ ধার করা লাখ খানেক টাকাও দীর্ঘ গাঢ় কালো নিশ্বাসের সাথে বের করে নিয়ে গেছে। আপনারা চাইলে ওর লেখাটি পড়তে পারেন-
বাংলানিউজ২৪ ‡ খবর২৪ ‡ হ্যালো-টুডে ‡ রংপুর ওয়েব
আসলে মাহতাব, কিংবা মাহতাবের বাবার অসুস্থতার জন্য এ ব্লগটি লিখতে বসিনি। এ ব্লগটি লিখতে বসেছি সমাজের কিছু ঘৃণ্য পশু, তাদের পাশবিক মনোবৃত্তি ও তার প্রতিহিংসা নিয়ে।
মাহতাবের যখন অবশিষ্ট কিছুই রইলো না, সে পত্রিকাগুলিতে লেখা দিলো। ফেসবুকে কিছু পেইজ আছে, যাদের হাজার হাজার মেম্বার, সেরকম কিছু পেইজের এডমিন এর সাথে ওর ভালো পরিচয় ছিলো, তাদের অনুরোধ করলো ওর বাবার খবরটি ছড়িয়ে দিতে, যেন সে বাবাকে হেল্প করতে পারে। এর মাঝে অনেকেই উদ্যোগী হয়ে নিজেরাই বিভিন্ন পেইজের এডমিন এর সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। এরকমই একটি ফেইসবুক পেজ ভৌতিক অভিজ্ঞতা ( Paranormal Experience ) {দাঁড়ান, আগে লাইক দিয়েন না}
এই পেইজের এডমিন তখন এটি প্রতারণা বলে স্ট্যাটাস দেয় এবং যোগাযোগ করেন এই বলে যে, তাকে টাকা দিতে হবে। এই যে তার স্ক্রীণশট-
(বড় করে দেখতে চাইলে পোস্টের নিচের দিকে ছবির উপর ক্লিক করলে বড় হবে)
কথোপকথন টি এরকম-
টুটুল আজিজঃ আমি প্যারানরমাল এডমিন, টাকা দিতে হবে।
মাজেদুল ইসলামঃ মানে!
টুটুল আজিজঃ টাকা দাও তাহলে সব ডিলিট করে দেবো না হলে আবার পোস্ট, নিউ পোস্ট।
ভাগা ভাগি
মাজেদুল ইসলামঃ একটা মানুষের চিকিৎসার জন্য টাকা কালেকশন করা হচ্ছে, এটা তো ভাই ব্যাবসা না যে টাকার ভাগ দেবো। আর অনেক টেনশনে আছি, আমাকে এখন বাইরে যেতে হবে। আজই মাহতাব এর বাবার চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আমি পরে এসে একবার কথা বলবো। আমি সত্যি খুব অবাক হয়েছি কিভাবে মানুষ এতো অমানবিক হয়।
টুটুল আজিজঃ আমি বুঝছি ব্যাবসা না অন্যকিছু। কিছু খাও, আমাকেও কিছু দাও। না হলে তো দেখছোই কি করেছি। পেজ এ দেখো কি অবস্থা।
উল্লেখ্য, মাজেদুল ইসলাম মাহতাব এর এলাকার বড়ো ভাই। উনি যখনি এই স্ক্রীণশট টা সবাইকে দেখিয়েছেন, তখনই উনাকে ব্লক করে দিয়ে টুটুল আজিজ নাম চেঞ্জ করে হয়ে যায় সাব্বির আহমেদ।
প্রমাণ-
এখন তার পেজ থেকে ক্রমাগত মিথ্যাচার চলছে মাহতাব এর নামে। ভৌতিক অভিজ্ঞতা পেজে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। উপরে লিংক আছে। যে ছবিটি দেয়া হচ্ছে সে ছেলেটি রাশিয়ায় থাকে ।
দেখুন তার স্বীকারোক্তি-
এই অমানুষটি(টুটুল আজিজ/সাব্বির আহমেদ) নাকি এআইইউবি তে পড়ে। একজন মরণাপন্ন বাবাকে বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আবেদন ঐ হারামজাদাটা প্রচার করছে প্রতারণা হিসেবে। তারপর করছে টাকা দাবি। এই ধরণের সামাজিক শুওরদের কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?
¶ যদি চান, তাহলে ঐ ফেসবুক পেজটাকে রিপোর্ট করতে পারেন। না চাইলে এড়িয়েও যেতে পারেন। টুটুল আজিজদের সুযোগ করে দিতে পারেন মরণাপন্ন বাবাদেরকে নিয়ে ব্যাবসা করার, টাকার ভাগাভাগি করার।