সেই ছোট্টবেলা বিজয় দিবসের র্যালীতে যেতাম। স্কুলবেলায়। সকাল বেলা, মানে সাত সকালেরও আগে, পাচ বা তিন সকালে, আমাদের যখন ঘর থেকে বের হবার বিষয়ে পিতামাতার স্বৈরাচারী শাসনের মধ্যে যাপন করতে হতো, ১৬ ডিসেম্বর একধরণের মুক্তির বার্তা নিয়ে আসতো। মুরগী ডাকা ভোরে, সূর্যের ঘুম জেগে চোখ কচলানো আভাতে, আমরা কতিপয় বখাটে শিশুক সেদিন র্যালীতে যাবার জন্য স্কুলের পথে বিশ্বের সকল অপরাধগুলো করে ফেলতে পারতাম। মানে তখন যা আমাদের চোখে ছিল মহাভারত, মহাআরব অশুদ্ধ করার মত অভিশাপ। যেমন তখন আমরা কয়েকজন সব বাসার কলিং বেল চেপে দৌড়ে পালাতে পারতাম, আর বিশ্বপুরুষ আতিক তার ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া গার্লফ্রেন্ডের বাসায় কলিং বেল চেপে ঝুলে থাকতো যতক্ষণ না বাসার সকল সদস্য রণসাজে বারান্দায় হাজির হয়।
র্যালীতে যেতে চাই। বিজয় দিবসের র্যালী। কে কে আসছেন হাত তোলেন, পা তোলেন, চোখ তোলেন, ভ্রু খোলেন....একটা জমজমাট আড্ডা ও ছাগুর কাচ্চি বানানোর রেসিপি নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপনের কড়কড়ে সুবাস পাচ্ছি।