সাধারণ ও দরিদ্র বাঙালি সন্তানদের জন্য যে স্কুল তেমন একটা প্রাইমারী স্কুল কল্পনা করুন। ক্লাস ওয়ান। পঞ্চাশের উপরে বাচ্চাকাচ্চা। একটা বেঞ্চিতে ৭ থেকে ১০ জন বসে আছে। শিক্ষিকার আওয়াজ সব বাচ্চাদের কানে পৌছায় না। রোল কল শুরু হয়েছে...১ - ইয়েস ম্যাডাম, ২.....প্রেজেন্ট ম্যাডাম, ৩....ইয়েসসসসসসসস!
প্রথম ক্লাস বাংলার। ধরি আজকের পড়া কবিতা। ম্যাডাম মুখস্ত করতে দিয়েছিলেন...জিজ্ঞেস করতে শুরু করলেন। চার লাইন। কেউ পারলো, কেউ পারলো না। যারা পারলো না তাদের হাতে বেতের বাড়ি পড়লো।
একজন ম্যাডামকে মনে হয় দূর গ্রহের বাসিন্দা। আসল পড়াটা হয় বাসাতেই। কিন্তু বাসায় যাদের পড়ানোর মত কেউ নাই, বাবা রিকশা চালায়, মা অন্যের বাসায় কাজ করে...তাদের জন্য এমন শিক্ষক, স্কুল যথেষ্ট নয়। তাদের জন্য যেমন স্কুল দরকার তাও অবশ্য আছে। যেখানে প্রতিটা বাচ্চাকে আলাদাভাবে কেয়ার করা হবে, শিক্ষক তার পড়া তৈরী করতে ও বুঝতে সহায়তা করবে। কিন্তু সেসব স্কুলে বাচ্চাদের মাসে মাসে যে পরিমাণ বেতন দিতে হবে তার অর্ধেকও সারাবছর একজন দিনমজুর অথবা রিকশাচালক উপার্জন করেন না।
ঠিক এ কারণেই বাচ্চারা স্কুল থেকে ঝরে যাচ্ছে। দুদিন আগে বারোশো মানুষের একটা বস্তিতে গিয়ে খুবই ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। ঐ বস্তিতে ১৫/১৬ এর নিচে রয়েছে প্রায় তিনশ বাচ্চা-কাচ্চা, কিন্তু মাধ্যমিক স্তুরের স্কুলে যায় মাত্র বিশ/পচিশ জন। অথচ এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তিন-তিনটে!
এসব বিষয় মাথায় রেখে মানসম্মত শিক্ষা একদম নামমাত্র খরচে সরবরাহের জন্য রুবেল একটা স্কুল করেছে। সেখানে নিয়োজিত হয়েছে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক অল্প পারশ্রমিকে। কারণ তারা এই শিক্ষা প্রদানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে ভাবছে।
সাদিকের পোস্টের সূত্র ধরে চলে আসুন যাই পাঠশালায়। যত্ন নেবার চেষ্টা করি সেই শিশুদের যাদের দিকে পৃথিবী প্রসন্ন দৃষ্টিতে তাকায় না।
আমাদের পাঠশালার ঠিকানা হচ্ছে:
বাড়ি ৪০, লাইন (লেন) ২৫, ব্লক ডি, সেকশন ১২ (প্রচলিত নাম সাড়ে এগারো), পল্লবী, মিরপুর। ঢাকা।
রুবেলের ফোন নাম্বার: ০১৭২১৬২৩৬২৭।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২