somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের পাঠাশালার নববর্ষের আয়োজন দেখে মুগ্ধ

১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোথাও যাবার ইচ্ছে ছিল না। শেষমেষ ভাবলাম আমাদের পাঠশালায় যাই। হেলতেদুলতে গিয়ে যখন পৌঁছুলাম তখন র‌্যালী শুরু হয়ে গেছে, মানে দশটা বেজে দশ। হেডমাস্টার রুবেলের বন্ধু, স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মীরা নববর্ষের প্রধান আকর্ষন হিসাবে এটাকে বেছে নিতে শুরু করেছে সম্ভবত।

ফেস্টুন, ব্যানার আর বাচ্চাদের পোষাকে বর্ণীল রঙের ছটা। দরিদ্রঘরের বাচ্চাদের দেখে বোঝার উপায় নাই। চোখে মুখে উপচে পড়া উচ্ছ্বাস, উৎসাহী দর্শক ও পথচারীদেরও ছুঁয়ে যায়।

র‌্যালী শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেজন্য তৈরী হয়েছে মঞ্চ। বাচ্চারা অভিনয় করলো, গান গাইলো। খোলা আকাশকে ঢেকে একটা সামিয়ানা, তার ভেতরে শিশুদের কলকাকলী, মুখরিত আহবান, আমরা করবো জয়।

ফিরোজের সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো। স্কুলের যাবতীয় ব্যায় পাবলিক ডোনেশনের উপরে নির্ভরশীল। মাসে প্রায় ৮০/৮৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গান, নাচ, ছবি আঁকার জন্য আলাদা ক্লাস, যতটুকু সম্ভব এই ক্ষুদ্র রিসোর্সের মধ্যে করা সম্ভব। পুরো অনুষ্ঠানের আয়োজন, ব্যাপ্তি, পরিকল্পনা দেখে আন্দাজ করা যায় স্কুলের কারিকুলাম। মাত্র গুটিকতেক মানুষ যদি এত সুন্দর একটা স্কুলের মডেল তৈরী করতে পারে তবে সরকারী স্কুলগুলা এত হতদরিদ্র কেন হয় বুঝতে পারি না। শিশুদের জন্য এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে যে পুরা আয়োজন কেবল তাদের উদ্দেশ্যে ডিজাইনকৃত। আমাদের পাঠশালার মত যদি এদেশের প্রতিটা সরকারী প্রাইমারী স্কুল বাচ্চাদের দিকে নজর দিত!
























সবশেষে ছিল বরাবরের মতই অরুপ রাহীর গান। এই অসামান্য উদ্যোগটিকে সামনে এগিয়ে নেবার জন্য রুবেল সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছে। ফান্ডিং থেকে শুরু করে বই, পরামর্শ সবই প্রয়োজন। যোগাযোগ করতে পারেন এই ওয়েবে প্রদত্ত ঠিকানায়।
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আহত আততায়ী

লিখেছেন রাজীব নুর, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩০



সভ্য নগরের মানুষ যেনবা বনমানুষ।
মানুষকে মানে না মানুষ;
আর মানুষের হানাহানি দেখে হাসে বনের মানুষ।

পথে না বেরোলে জানতামই না-
কতটা রপ্ত করেছি আমরা অবজ্ঞা অবহেলা ও পরচর্চা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ টাকার চাল ইতিহাসের সেরা দাম (এখন ৮৫), এই দামে ওনাদের চোখে পানি আসেনা৷

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

আমার বাবা সরকারি চাকরী করছে, একাই বিশাল যৌথ ফ্যামিলি চালাইসে৷ যার ফলে প্রচুর ঋণ হইসে৷ কিন্তু কোনোদিন চুরি করেন নাই৷ গ্রামীন ব্যাংক থেকে বাবা ১০ হাজার টাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস ওয়ান ম্যান আর্মি!!!!!

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩২

ইন্টারিম সরকারে প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এর চমক দিয়ে যাচ্ছেন ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস। ভঙ্গুর, মেরুদন্ডহীন শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু, গৃহযুদ্ধের কাছাকাছি চলে যাওয়া একটি দেশের দায়িত্ব কাঁধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্রিল্যান্সারদের রক্ত-ঘামে অর্জিত অর্থ আটকে রাখার ষড়যন্ত্র: পেপ্যাল চালু না করার পেছনে কাদের হাত?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

ফ্রিল্যান্সারদের রক্ত-ঘামে অর্জিত অর্থ আটকে রাখার ষড়যন্ত্র: পেপ্যাল চালু না করার পেছনে কাদের হাত?

পেপ্যাল লোগোটি বিবিসি ওয়েব পেইজ থেকে সংগৃহিত।

ভূমিকা

বিশ্বের প্রযুক্তিনির্ভর শ্রমবাজারে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা এখন এক অনস্বীকার্য শক্তি। আপওয়ার্ক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় সার্কাস দল!!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৫

আওয়ামিলীগ আমলে আওয়ামি মন্ত্রী এম্পিরা বিনোদনবঞ্চিত :( এই দেশের জনগনকে বিনোদিত করত তাদের বিভিন্ন মন্তব্যের দ্বারা। এখন এই স্থান একছত্রভাবে দখল করেছে বিএনপি !! দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×