গুলজার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর একটা সাক্ষাৎকার 'প্রথম আলো' পত্রিকায় বের হয়েছে।
বাঙালি রাখিকে বিয়ে করেছেন, বাংলাকে ভালোবেসে দুজনে মিলে সন্তানের নাম রেখেছিলেন মেঘনা। তাই মেঘনা নদী দেখার আকুলতা ছিল। এমন অনেক কিছু। তবে অবাক হলাম আন্ধি ছবিটির উল্লেখ না থাকাতে।
এই ছবিটি ইন্দিরা গান্ধীর জীবন নিয়ে। যদিও গুলজার জানিয়েছেন যে তিনি আধুনিক ইন্ডিয়ান রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে ইন্দিরা গান্ধীর জীবন মডেল হিসাবে নিয়েছেন এর বেশি কিছু না।
মুখ্য ভূমিকায় বৈজন্তিমালা রাজি না হওয়াতে সুচিত্রা সেন অভিনয় করেন। বৈজন্তিমালা পরে আক্ষেপ করেন ছবিটি না করার জন্য। ইন্দিরা গান্ধীর জীবণের ছায়া থাকাতেই তিনি ছবিটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সুচিত্রা সেন বাংলার বাইরে হাতে গোনা কিছু হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তার মধ্যে আন্ধি উল্লেখযোগ্য।
১৯৭৫ এ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেস ক্ষমতা হারালে ক্ষমতাসীন জনতা পার্টি ছবিটি সরকারী টেলিভিশনে মুক্তি দেয়।
সুচিত্রা সেন ২৩তম ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ডে নমিনী হন। ছবিটি Filmfare Critics Award for Best Movie জিতে। গুলজার Best Director এবং Best Lyricist হিসাবে নমিনী হন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬