ঘন কালো চুলে একটা কাধ ঢাকা পরে গেছে। আরেক পাশের কাধ, গলা আর মুখের ছবি। পাথরে খোদাই করা অপূর্ব কোন সুন্দরীর ছবি না। নিতান্তই সাদা মাটা বাঙালি ঘরের এক তরুণী মায়ের ছবি। খুব সুসাস্থ্যের ছিলেন বলে মনে হলো না। শ্যামলা একহারা গড়ন। চোখ দুটো উজ্জল মায়াময়। তাতো হবেই। নয় ভাইবোনের সবচেয়ে ছোট বোন্। স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। আমেরিকা দুতাবাসে চাকরী করেন। তিন সন্তান। সুস্থ। ছেলে। আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের কথা চলছে।
সব স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটলো আগুনের লেলিহান শিখায়।
গণ মাধ্যমে জেনেছি পরিবারের পাচ সদস্যের মধ্যে চারজনই চলে গেছে ওপারে। তবে কোন মাধ্যমেই বাড়িওয়ালার খবর অথবা সাক্ষাত্কার দেখলাম না। তার বাড়ির গ্যাস লাইন দিয়ে যমদূত বের হচ্ছে -ভাড়াটিয়া এ তথ্য জানানোর পর তিনি কি করলেন বা করলেন না। শুধু ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করলেন কোন দায়িত্ব নিলেন না। আমি জানি না শোক তপ্ত পরিবার তার নামে মামলা করবে কিনা।
বাড়ির বাকি ভাড়াটিয়াদের মনোভাব ও জানতে পারি নাই।
শুধু এটুকুই জেনেছি যে জ্বলন্ত পরিবারটি যখন চিৎকার করে নামছিল তখন তারা নাকি দরজা খুলে আবার বন্ধ করে দিয়েছিল।
একি সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪০