আমরা বসবাসের জন্য বিভিন্ন নকশার সুন্দর বাড়ি তৈরি করি। যেখানে অনন্য স্থাপত্য শৈলীর ছাপ থাকে। তবে প্রাণীকূলে শুধু আমরাই সুন্দর বসতি তৈরির ক্ষেত্রে দক্ষ নই। প্রকৃতিতে অনেক পোকামাকড়, পশু-পাখি আছে যারা নিজেদের বাসা গড়ার শৈল্পিক দক্ষতার পরিচয় দেয়। তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখে আমরা সবাই অবাক হই।এই লেখা তেমনই উইপোকার অপূর্ব সুন্দর শিল্পকর্মের বাসা নিয়ে এবং তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের বাস্তব ভবন নির্মাণ কে নিয়ে।
উইপোকা হালকা হলুদ বা ফ্যাকাশে রঙের নরম দেহবিশিষ্ট Isoptera বর্গের এক দল সামাজিক পতঙ্গ। এটি প্রধানত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশসমূহে বাস করে। উইপোকার টাওয়ারের মত বাসাকে বলা হয় উইয়ের ঢিবি । শত সহস্র এমনকি লক্ষ কোটি উইপোকা থাকতে পারে একটি ঢিবিতে। উইপোকারা জন্মান্ধ হলেও একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ সঙ্কেত অথবা নিজেদের গা থেকে ফেরোমোন হরমোন বের করে গন্ধ সৃষ্টি করে এবং সেই গন্ধ শুঁকেই সবাই কাজকর্ম চালায়। উইয়ের ঢিবিতে সবাই মিলে পরিশ্রম করে টানেল, কক্ষ গড়ে ও সেখানে বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে এদের সামাজিক পতঙ্গ বলা হয়। উইপোকা বিপদে পড়লে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এলোমেলো হয়ে ছুটাছুটি করে না। বরং তারা খুব শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে ধীরে ধীরে স্থান ত্যাগ করে। সারির শুরুতে থাকে দলনেতা আর তার পেছনে কর্মী উইপোকারা। পথ চলতে গিয়ে কোনো কর্মী যদি দলছুট হয়ে যায় তবে সে আবার ফিরে না আসা অব্দি পুরো দল শান্তভাবে অপেক্ষা করে।
কর্মী উইপোকাররা কারিগরি দক্ষতায় নয়নাভিরাম বাসা তৈরি করে। এই বাসা গুলো বাহির থেকে দেখতে পিরামিড বা উঁচু টাওয়ার সদৃশ লালচে রঙের ঢিবির মতো মনে হয়। একেকটি বাসা যেন দক্ষ স্থপতির নিপুণ হাতে গড়া অসাধারণ স্থাপত্যকর্ম। আর্দ্র মাটির নিচে, আবার কেউ কেউ শুকনা মাটির উপরিভাগে এই বাসা বানায়। উষ্ণ এলাকার অনেক প্রজাতির মূল বাসা থাকে মাটির তলায়, তা অনেক সময় মাটির উপরে উঠে নানা টাওয়ার আকৃতি নেয়। প্রজাতি ভেদে ঢিবি হতে পারে বিভিন্ন আকারের, নানা পরিমাপের; বাসা তৈরীর কলাকৌশলও অতি বিচিত্র। তারা অতি উন্নত প্রযুক্তিতে এই জটিল কাঠামো গড়ে তোলে । এদের লালা ও বিষ্ঠা উইয়ের ঢিবির মাটিকে আবদ্ধ করে রাখে। উইদের বেঁচে থাকতে প্রচুর আদ্রতার প্রয়োজন হয়, তারা তাদের ঘরে এই আদ্রতা রক্ষা করে, এমন কি মরুময় পরিবেশেও তাদের ঘরে প্রায় ৯০ শতাংশ আদ্রতা বজায় রাখতে হয়। সেইজন্য উইয়ের ঢিবিতে সুন্দর ভাবে আলো-বাতাস প্রবেশ করে তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে। বেশিরভার উইপোকার ঢিবিগুলোই উত্তর দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে, এটা সত্যিই অবাক করা বিষয়। উইপোকার দিক ঠিক করার বিশেষ ক্ষমতা সবাইকে অভিভূত করে। উত্তর দক্ষিণ মুখী হওয়ায় সূর্যের আলো এবং বাতাস দুটোই পর্যাপ্ত পরিমাণ পেয়ে তাদের প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ও আদ্রতা রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও উইদের কমপ্লেক্সে থাকে অসংখ্য ছোট ছোট কক্ষ, কড়িডোর, বহুমুখী সুড়ঙ্গ পথ; যাতে করে বায়ু প্রবাহের সহজ পথ থাকে এবং কার্বনডাইঅক্সাইড বের হয়ে যেতে পারে। ফলে ঢিবিগুলো দিনের বেলায় ঠাণ্ডা থাকে আর রাতে থাকে উষ্ণ। এই বিশাল আকৃতির টাওয়ারে ছোট ছোট কুটুরী ছাড়াও থাকে ছত্রাক চাষাবাদের জন্য বাগান ও রানীর জন্য বড় পরিচর্যা কেন্দ্র। বাগানে কর্মী উইপোকারা এক বিশেষ ধরনের কাঠ থেকে ছত্রাক উৎপাদন করে এবং পোকাদের বিষ্টা ছত্রাক চাষে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চাষাবাদে উৎপন্ন ছত্রাক থেকে উইপোকারা ওদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে। এ ছাড়াও ছত্রাক ঢিবির ভেতরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিচের বিবিসি প্রোগ্রামে আসুন দেখি বিজ্ঞানীরা কিভাবে উইদের স্থাপত্য নকশা উদ্ধার করেন।
একজন রাজা এবং একজন রানীর দ্বৈত-শাসনে উইপোকার রাজপ্রাসাদ শাসিত হয়। উইপোকার বিশেষ সৈন্যবাহিনী রাজপ্রাসাদকে পাহারা দেয়। সৈন্য-উইপোকারা যেমনি দক্ষ তেমনি হিংস্রও।শত্রু এলেই সম্মিলিতভাবে সৈনিকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শত্রুকে তাড়িয়ে দেয়। শ্রমিক উইপোকার সারাক্ষণ সক্রিয় পরিশ্রমে মুখরিত থাকে রাজ্য। তাদের যেন কাজের শেষ নেই। নতুন নতুন সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ করা, কক্ষ এবং প্রাচীর নির্মাণ করা ছাড়াও তারা খাদ্য জোগানোর বাগানটির পরিচর্যা করে রাজা, রানী, শিশু-উইপোকা, সৈন্য সবার খাবার জোগান দেয়াও তাদের কাজ। এমনকি রানীর ডিমগুলিকেও তাদের যত্ন নিতে হয়। একমাত্র ডিমপাড়া ছাড়া রানী-উইদের কোনো কাজ নেই। একটি রানী-উই দিনে চল্লিশ হাজারেরও বেশি ডিম পেড়ে থাকে। আর এই বড় কাজটি করতে গিয়ে রানীকে সারাক্ষণ খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে হয়। বেশি বেশি খাবার খেয়ে রানী মেদবহুল এবং আকারে বড়ো হয়ে পড়ে। এত ভারী শরীর নিয়ে রানীর পক্ষে নড়াচড়া করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।উইদের শ্রম-বণ্টন প্রক্রিয়াও তাদের বাসা বোনার স্থাপত্যকলার মতনই বিস্ময়কর। উইপোকাদের জগৎ সমন্ধে আরো জানতে আসুন আমরা নিচে বিবিসির আরেকটি ভিডিও দেখি।
অত্যন্ত ক্ষুদে প্রাণী হয়েও অন্ধ উইপোকাদের বাসা তৈরির অদ্ভুদ শিল্পকর্ম ও কারিগরি দক্ষতা দেখিয়ে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে তা সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষকেও হার যেন মানায়। এতেই আশ্চর্যের শেষ নয়। মানুষের গড়া রাজত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্রাজিলের উত্তর- পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিল তিল করে প্রায় চার হাজার বছর ধরে সুপার-কলোনি গড়ে তুলেছে।
--------------------------------------------- চিত্র : ব্রাজিলে উইদের সুপারকলোনি -----------------------------------------
মনে হয় , এক দিকে মিশরে পিরামিড তৈরি হচ্ছিল, অন্য দিকে ব্রাজিলে সুপার-কলোনি বিস্তার করা শুরু করেছিল উইপোকারা। এই কলোনি প্রায় গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের সমান। উল্লেখ্য , গ্রেট ব্রিটেনের আয়তন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার। কলোনিতে প্রায় প্রায় ২০ কোটি উইপোকার ঢিবি আছে। এক একটি ঢিবি গড়ে প্রায় আড়াই মিটার উঁচু ও নয় মিটার চওড়া। উইপোকার এই সুপার কলোনিকে দূর থেকে দেখে মনে হবে পরিপাটি ভাবে সাজানো অসংখ্য ছোট ছোট টিলা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ভুলটা ভাঙে অবশ্য কাছে যেতেই। টিলার মতোই সেগুলো, তবে পাথুরে নয়, সেগুলো এক একটা বিশাল কাঠামোর উইয়ের ঢিবি । নিন্মের ভিডিওটিতে আসুন সুপার কলোনিটি দেখি।
এখন আমরা দেখি উইদের টাওয়ার তৈরির পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষ কিভাবে নিজ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার ভবন নির্মন করে। জিম্বাবুয়ের হারারে শহরের ইস্টগেইট সেন্টারের নকশা করেন স্থাপত্যবিদ মেক পিয়ার্স। এই নকশা করার ক্ষেত্রে পিয়ার্সের চ্যালেঞ্জ ছিল এমন একটি ভবনের নকশা করা যেখানে খুবই কম খরচে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকবে।
ছত্রাকের সুষ্ঠু জীবন বিকাশের জন্য ৮৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা প্রয়োজন, কিন্তু জিম্বাবুয়ের রাতগুলি হয়ে থাকে বরফশীতল, ৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট, আর দিনগুলি ছড়ায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উত্তাপ। এরকম বৈরী পরিবেশেও চমৎকারভাবে সঠিক তাপমাত্রাটি বজায় রাখে উইপোকারা, দিনের বিভিন্ন সময়ে ঢিবির গায়ে উষ্ণ এবং শীতল রন্ধ্রপথ ক্রমাগত খুলে দিয়ে। তাপ প্রবাহের পরিচলন প্রক্রিয়ায় , ঢিবির নিচের রন্ধ্রপথগুলি দিয়ে বাতাস ভেতরের দিকে যায়; তারপর মাটির দেয়ালের ভেতর বানানো নিঃসরণ পথের মধ্য দিয়ে তা উপরের দিকে প্রবাহিত হয়। ঢিবির বিভিন্ন প্রকোষ্ঠ থেকে তাপ গ্রহণ করে ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়ে উঠে বাতাস, এবং এক সময় বেরিয়ে যায় চূড়ার উষ্ণ রন্ধ্রের ভেতর দিয়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পরিশ্রমী উইপোকা প্রতিনিয়ত খুঁড়ে চলে নতুন নতুন রন্ধ্রপথ, আর বুঁজে দেয় পুরাতন পথ। এই ভাবে সেখানে উইপোকা এমন বিল্ডিং তৈরী করে যেন এনার্জি খুব কম প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আমি আপনি যে বিল্ডিংয়ে থাকি সেই বিল্ডিং কিন্তু আমাদের বিল্ডিং এর তাপের প্রয়োজন আছে আলোর প্রয়োজন আছে গরম লাগলে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশন এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু উইপোকার বিল্ডিং এ এসবের কিছুই প্রয়োজন পড়ে না। প্রফেসর স্কট টার্নার উইয়ের ঢিবিতে বাতাস চলাচলের কৌশল গুলো বিস্তারিত ভাবে মাইন ভেন্টিলেশন আফ্রিকা ২০১১ কনফারেন্সে -এ উপস্থাপন করেন। যেসব পাঠক এই বিষয়ে আরো অধিক জানতে আগ্রহী তাদের জন্য নিম্নে সেটির ভিডিও সংযুক্ত করা হলো।
মেক পিয়ার্স উইপোকার বাসায় এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুকরণে বায়োমিমিক্রি নীতি প্রয়োগে ইস্টগেইট সেন্টারের নকশা করে ফেললেন। জিম্বাবুয়েতে সমান আকারের একটি গতানুগতিক ভবনের চেয়ে ইস্টগেইট সেন্টারে ৩৫% শক্তি কম ব্যায় হয়। গতানুগতিক কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই ভবনটিতে, কিন্তু সারাবছরই এটি থাকে তাপীয় নিয়ন্ত্রিত। সবুজ স্থাপত্য এবং বাস্তুসংস্থানগত অভিযোজনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটি। ইস্টগেইট সেন্টার, যা মূলত কংক্রিট দিয়ে তৈরি, কাজ করে উইপোকার ঢিবির মতো। ভবনটির নিচতলার অল্পশক্তির পাখাগুলি বাতাস চুষে নিয়ে উপরের তলার দিকে ছুঁড়ে দেয়, মেঝের ভেতরের ফাঁপা জায়গার সাহায্যে। সেখান থেকে বেসবোর্ড ছিদ্রের মধ্য দিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে প্রতি তলায়। সবশেষে বেরিয়ে যায় ছাদের চিমনির মধ্য দিয়ে। ঋতুর পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে ভবনটিতে বায়ুপ্রবাহের হারেরও তারতম্য করা হয়। নিচের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিও থেকে আসুন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখি।
আমরা হয়তো ভাবতে পারি পৃথিবীতে আমরাই সবচেয়ে সুদক্ষ আর্কিটেক্ট। ৪ মিলিমিটার আকৃতির উইপোকারারা একত্রিত হয়ে প্রায় ৮ মিটারের সুউচ্চ উই টাওয়ার নির্মাণ করতে পারে অর্থাৎ তারা তাদের আকৃতির চেয়ে প্রায় ২০০০ গুন বড় উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করতে পারে। আমাদের গড় আকার ১.৬ মিটার হলে ,আমরা এখনো ২০০০ * ১.৬ = ৩২০০ মিটার বা প্রায় ৩ কিলোমিটার উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণ করতে পারি নি।
খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাবো যে প্রকৃতি থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের পরিচিত পরিবেশে একটি উইপোকার ঢিবি দেখে খুব নগন্য ও বিরক্তিকর কিছুই মনে হতে পারে । কিন্তু তা থেকে অসাধারণ শিক্ষা নিয়ে যে আমরা আমাদের আবাসস্থলকে আরো প্রশান্তিময় করে তুলতে পারি সেটা হয়তো কখনো ভাবা হয়নি। সামান্য একটি মাটির ঢিবি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের এনার্জি সেভিং ও পরিবেশবান্ধব সিস্টেম গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে, বিষয়টা ভাবতেই বিস্ময়কর লাগে। ছোট্ট একটি পোকা এত জটিল কাঠামো তৈরি করতে পারে তা হয়তো আমাদের স্বাভাবিক ভাবনার বাইরে ছিল। এই ক্ষুদ্র উইদের আবাসস্থল নির্মাণ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে স্থাপত্যকলায় এক নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে, তেমনটি ভাবলে হয়তো অত্যুক্তি হবেনা।
তথ্যসুত্র ও কৃতজ্ঞতাঃ
[১] ছবি - ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
[২] উকি - উইপোকা
[৩] উপরের ইউটিউব ভিডিওগুলো
[৪] Inhabitat - Biomimetic Architecture: Green Building in Zimbabwe Modeled After Termite Mounds
[৫] American Society of Civil Engineers (ASCE) - Journal of Structural Engineering - Termite Mounds: Bioinspired Examination of the Role of Material and Environment in Multifunctional Structural Forms.
* ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে মানুষজন যেমন বিভিন্ন নকশার বাড়িঘর নির্মাণ করে, তেমনি উইপোকাদের বাসস্থানের ক্ষেত্রেও অঞ্চলভেদে বিভিন্নতা দেখা যায়। প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এই বিষয়ে আমার পরবর্তী পোস্টের লিংক "বৈচিত্র্যময় উইয়ের ঢিবি - ছবি ব্লগ" সংযুক্ত করলাম। পোস্টটিতে উই শিল্পীদের কারুকাজে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ঢিবিগুলোর ছবি দেখতে পাবেন।
** উইপোকারা ভূগর্ভের বিভিন্ন স্তর থেকে মাটি তুলে এনে ঢিবি নির্মাণ করে। কাজেই তাদের ঢিবির মাটিতে ভূ -অভ্যন্তরে মূল্যবান খনিজ ও ধাতব পদার্থর খনি খুঁজে পাওয়ার পথচিহ্ন থাকতে পারে। প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এই বিষয়ে আমার পরবর্তী পোস্টের লিংক "মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উইপোকা" সংযুক্ত করলাম। পোস্টটিতে উইয়ের ঢিবির মাটির বৈশিষ্ট্য জেনে কিভাবে আমরা নতুন খনির সন্ধান পেতে পারি তার বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৮