আমি বাস্তবিক চিন্তা করি, বাস্তবতা দেখে আমি শিখি এবং সাবধান হই।
নেংটা হয়ে নাচানাচি করা যায়, বাস্তবিক হতে হলে সাবধান হতে হয়। বাস্তবে কী হচ্ছে তা থেকে শিখতে হয়। আমরা মানুষ। অন্য সব জীবের মতন আমরা জীব। মানুষের বিবেক আছে, আছে বুদ্ধি। অনেকের বিবেক বিকৃত হয়। মানুষের মাঝে অনেক নির্বোধ আছে। সবচাইতে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, অদৃশ্য শত্রু। যে শত্রুকে আমরা দেখি না, এমনকি অনুভবও করতে পারি না। আমাদের দেহে ষড়রিপু আছে। ষড়রিপুকে অদৃশ্য শত্রু নিয়ন্ত্রণ করে, যা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাই না। হাঁইহুই হুজুগে কোনো কাজ হয়নি এবং হবেও না। আত্মশুদ্ধি করতে হলে ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
“তুই আমার ধর্মের মা আমারে ছাইড়া দে।” এই সংলাপ আমি একদিন বলেছিলাম। খুলে বললে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। আমি তখন ক্যাবিং করতাম। দিনের ১ টায় চার নারী আমার গাড়িতে উঠেছে তাদেরকে ওয়েস্টএন্ড পৌঁছে দিতে হবে। আমি চালাতে শুরু করলে হঠাৎ একজন আমাকে পিছন থেকে জড়ি ধরে খিলখিল করে হাসতে শুরু করে। আমি চিৎকার করি এবং পলকে রেডিও হাতে লয়ে বলেছিলাম, এই বেটা, ইতাইনতে আমারে হাতাইলার।
কন্ট্রলার খিলখিল করে হেসে বলেছিল, মাইনষে পায়না আর তুমি চিল্লায়রায়নি?
তার কথার জবাব না দিয়ে হেঁকে বলেছিলাম, আমার গায়ে আবার হাত দিলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে চেঁচামেচি শুরু করব।
বুড়ির ঘরের বুড়ি খিলখিল করে হেসে বলেছিল, এটা লন্ডন শহর। তোর কী হয়েছে?
আমি তখন দাঁত কটমট করে বলেছিলাম, আমার বউয়ে জানলে কল্লা কেটে ফেলবে। এখন গাড়ি থেকে বেরিয়ে যা।
অন্য নারীরা সবিনয়ে বলেছিল, দয়াকরে আমাদেরকে পৌঁছে দাও আর ঢং করবে না।
তা নাকি ঢং ছিল?
এখন আমার প্রশ্ন, বুড়ি না হয়ে আমি জড়িয়ে ধরলে কী হতো?
দেশে আসলে কী হচ্ছে তা বুঝতে হলে কয়েক হায়ন যাবে। দেশে এখন হুজুগ এবং হিড়িক চলছে।
আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। একসাথে স্কুল কলেজে লেখাপড়া এবং কাজ করা এক বিষয়। রাতের বেলা একসাথে আড্ডাবাজি এবং ক্লাবিং অন্য বিষয়।
মনে রাখবে, ক্রাক কোকের অনেক দাম। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। ক্লাবিং করে থানায় যেয়ে ধর্ষণের মামলা করলে থানার লোকরা হাসাহাসি করবেই। কারণ, ষড়রিপুর এক রিপুর নাম কাম!
মারামারি করলে নাক ফাটে দাঁত ভাঙে। ধর্ষিত হলে একটা জীবন নষ্ট হয়। বিকৃত বিবেকের মানুষ অসহায়ের সর্বনাশ করে। আবালবৃদ্ধবনিতারা অসহায়। মানা না মানা তা অন্য বিষয়। আবালবৃদ্ধবনিতার নিরাপত্তার জন্য আইন, কিন্তু আজকাল অপরাধিরা আইন ব্যবহার করে। সমাজ সবার জন্য হলেও সুশীলরা হলো সমাজের হর্তাকর্তা। সু শীল শব্দের অর্থ হলো সুন্দর ক্ষুর।
ধর্ষিতরা মামলা করতে গেলে চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ দিতে হয়। কেমনে কী হয়েছে তা বিশ্লেষণ করতে হয়।
আপনাদের মত আমিও চিৎকার করে বলতে চাই, ধর্ষণের বিশ্লেষণ কেমনে করবে? আমিও ধর্ষককে হত্যা করতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, ধর্ষকের চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায় না, কিন্তু হত্যার চাক্ষুষ সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যায়।
অবশেষে বলতে চাই, আমার বোন, ভাগনি, মেয়ে নাতনি আছে। আমার মেয়ে সপ্তায় দুইদিন কাজ করে। আমি কাজ ছেড়ে মেয়েকে এগিয়ে আনার জন্য যাই। আধুনিকতায় আমি বিশ্বাস করি না। আমি আল্লাহে বিশ্বাস করি।
আমাকে বকাবকি করে কোনো লাভ হবে না, সাবধান হলে সবার মঙ্গল হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫