
ইসলামী সভ্যতার স্মারক হিসেবে হিজরী সালের প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে ‘খাজনা' আদায়সহ রাজকার্যের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবর হিজরীর পাশাপাশি বাংলা সালের প্রবর্তন করেন এবং অগ্রহায়ণের পরিবর্তে বৈশাখ থেকে বর্ষ গণনা শুরু করেন। বাংলা মাস পায় রাজকীয় মর্যাদা। এর আগে এই ভূ-খন্ডে মহাধুমধামের সাথে ‘নওরোজ' উৎসব পালিত হতো। বাংলা সালের গননা শুরু হয় ঈসায়ী ১৫৫৬ সালের ১১ এপ্রিল থেকে।
'বাঙ্গালী সংস্কৃতি' শব্দটি আমরা এদিন কম শুনিনা কিন্তু একজন মানুষ যখন কোন ধর্ম গ্রহন করে তখন সে তার সাথে তার পরিনতিও গ্রহন করে। হিন্দু ব্যক্তি মুসলমান হলে সে তার সকল দিক ইসলামী হুকুমত অনুসারে পরিবর্তন করে বলেই সে মুসলমান হতে পারে। তাই বলা যায় ধর্মের পরিবর্তন তার সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটায়। সে কখনও আগের সংস্কৃতিতে ফিরে যায় না বা তা সমর্থন করেনা, যদিও তা সে সমর্থন করতে পারেনি বলেই ধর্ম পরিবর্তন করেছে।
তাই বলা যায়, সংস্কৃতি কোন মতেই কোন দেশীয়, রাষ্ট্রীয় বা ভাষাগত হয়না। হয় ধর্মীয়। কেননা ধর্মগুলোর মধ্যেই সাংস্কৃতিক ভিন্নতা আছে।
আর যেহেতু এ উৎসবটির প্রবর্তন হয় মুসলীম শাসন আমলে তাই এটি আমাদের আদিম সংস্কৃতি নয়, যার কারনে আমাদের পুরুষদের ধুতি!-পাঞ্জাবী আর মেয়েদের শাড়ী পরতে হবে!
মুর্তির পাখি, পুতুল ইত্যাদি নিয়ে প্রভাতফেরীর মিছিল করতে হবে!
নতুন দিনের আগমনের জন্য সূর্যকে পূজা করতে হবে!
গান আর নাচের আসর করতে হবে!
রং মেখে সং সাজতে হবে!
পান্তা-ইলিশ খা্ওয়ার ধুম ফেলতে হবে(যদিও এদিনে পান্তা খা্ওয়ার প্রচলন শুরু হয় ১৯৮৬ সাল হতে)!
ছেলে মেয়েদের মধ্যে অবাধ মেলামেশার জোয়ার তুলতে হবে!
এগুলোই আমাদের সংস্কৃতি?????????
যারা বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে এসব অপসংস্কৃতি এ উৎসবে প্রবেশ করিয়েছেন তাদের আমাদের সংস্কৃতির প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধা আছে তা আবার বিচার করে দেখতে হবে আর যারা বুঝে না বুঝে এ লোকদের অনুসরণ করছেন তাদের নিজ সংস্কৃতির প্রতি কতটুকু ভালবাসা আছে তাও ভেবে দেখার বিষয় নয় কী???????????????
আমরা এ উৎসবে হিন্দু সংস্কৃতির মিশ্রন দেখতে চাই না।।।।।
চাই না পূজায় ঢাকের শব্দে যেমন দেবীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা চলে তেমনি ঢাকের তালের মন্ত্রনায় সূর্যকে বরণ করা হোক....যাতে প্রভাতি হোক আমাদের সন্তানেরা।।।।
চাইনা মানুষ হয়ে, সব জীবনের শ্রেষ্ঠ হয়ে পশুর মুখোশ পরে নিজেদের পশুত্বের বিকাশ সাধন করতে।।।।

চাইনা দেবী-মুর্তি পুজা শেষ হলে যেমন তা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন গলি প্রদর্শন হয় তেমনি মুর্তি নিয়ে প্রভাতফেরীর মিছিল করতে।।।
ভুলতে চাই না এ দিনের গোড়ার ইতিহাসকে.....
হারাতে চাইনা আমাদের পরিচয়......
চাইনা বিকৃত হোক আমাদের এ ঐতিহ্যকে।।।।
আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ অন্য সংস্কৃতি থেকে ধার করা কোন বিষয় আমাদের এ উৎসবে যুক্ত হোক তা আমরা চাইনা।।।
শ্লীলহীন কোন আচার কিভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে, আমাদের সংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আমরা এ উৎসব পালন করতে চাই.......
চাই সেই ‘নওরোজ' উৎসব এর পরিমন্ডলে ফিরে যেতে......।
============================
অন্ধ বলেই কি আমরা শুধু হোচট খাচ্ছি,
নাকি তা শুধুই বেখেয়ালে......????????