দিল্লিতে ধর্ষণকারীর ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ আর আমাদের দেশে ধর্ষনের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ!!! কোন দেশে বাস করছি আমরা?
খুন, হত্যার পর এবার একটি ধর্ষণের মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার আসামি রাশেদুল বেপারী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক; বর্তমানে শরীয়তপুর জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৩০তম সভায় এ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামে একটি ধর্ষণের ঘটনায় ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পালং থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামি করা হয় একই গ্রামের আবুল হোসেন বেপারীর ছেলে রাশেদুল বেপারীকে। রাশেদুল বেপারী তখন শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, মামলাটি দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েটির মামা কাশিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মোল্যা। পালং থানা পুলিশ ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাশেদুল বেপারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জেলা কমিটি ২০০৯ সালের ২ আগস্টের সভায় মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সভার সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণী ও মামলার যাবতীয় নথি ৭ সেপ্টেম্বর ৬১২ নম্বর স্মারকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।