সাইপ্রাসের এক তরুন ভাস্কর ছিল পিগম্যালিয়ন। তিনি ছিলেন চরম নারী বিদ্বেষী। সংকল্প করেছিলেন কখন বিয়ে করবেন না। বড় বড় পাথর কেটে মূর্তি তৈরী করাই ছিল তার কাজ। অনেক নারী তার রূপ এবং প্রতিভা দেখে তাকে ভালোবাসতে চেয়েছিল। কিন্তু পিগম্যালিয়ন প্রত্যাক্ষান করতেন সকল নারীকে। তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন এক নারী মূর্তি তৈরীতে, যাতে উপস্তিত থাকবে সে সকল গুনাবলী যা আমরা প্রতিনিয়ত সকল নারীর মাঝে দেখতে পাই না।
তিনি তার সকল প্রচেষ্টা দিয়ে তৈরী করলেন তার শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য। তার তৈরী নারী মূর্তির প্রেমে পরলেন পিগম্যালিয়ন। মূর্তিটা পিগম্যালিয়নের শৈল্পিক হাতের স্পর্শে এতটাই সুন্দর হয়েছিল যে সেটা দেখে কেউ বিশ্বাসই করতে পারল না যে এটা একটি পাথরের মূর্তি। কিন্তু হায, পিগম্যালিয়ন সেই মূর্তিকে চুম্বন করলে বা আলিঙন করলে কোনো সাড়া মিলল না।
পিগম্যালিয়ন তার মূর্তির জন্য বিভিন্ন প্রকার উপহার নিয়ে আসতেন যে গুলো পছন্দ করে রক্ত মাংসের নারীরা।মুর্তিকে শুইয়ে দিতেন উষ্ণ ও আরামদায়ক বিছানায়। পিগম্যালিয়ন রাতে স্বপ্ন দেখতে যে মূর্তিটি তার এই ভালোবাসার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
এই অদ্ভুদ আবেগ আফ্রোদিতির
পিগম্যালিয়ন বুঝলেন এটা অবশ্যই আফ্রোদিতির কাজ। আফ্রোদিতির প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করে পিগম্যালিয়ন।পিগম্যালিয়ন তার কুমারী প্রেমিকার নাম রাখে গ্যালাতীয়।পিগম্যালিয়ন ও গ্যালাতীয়র বিয়েতে আশীর্বাদ করে আফ্রোদিতি। তাদের পূত্র সন্তানের নাম প্যাফোসের।
(গ্রীক মিথলজী)