মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু পুরোটাই দৃশ্যমান করে উত্তর বঙ্গের বিশাল মানুষের কল্যান করেছেন। এবার দূর্নীতিবাজদের দৃশ্যমান করে পুরো দেশের কল্যান করুন। নোয়াম চমস্কি এই সময়ের সেরা একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি-উনার মতে সরকার হলো তেজি ঘোড়ার মতো। আর বুদ্ধিজীবীদের কাজ হলো সরকারের প্রতি সমর্থন থাকলেও সেই ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরা। না হয় ঘোড়া বুঝতে পারেনা- সে কোন দিকে ছুটছে। বুদ্ধিজীবীদের কাজ শুধু সরকারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে না দিয়ে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকুক সেই সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি গুলো তোলে ধরা। এতে সরকারেরও মঙ্গল, দেশেরও মঙ্গল। কিন্তু এটা কে বুঝবে? প্রকৃত বুদ্ধিজীবীরা ঘুম থেকে ওঠে খুলে নিজের বিবেক। আর আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা ঘুম থেকে ওঠে খুলে তেলের শিশি।
আমার এক বন্ধুকে বললাম- এই যে এতো তেল মারিস। লজ্জা লাগেনা।
বন্ধু হেসে বলে- লজ্জার কি আছে। শৈশবে তৈলাক্ত বাঁশ আর বানরের অংক শিখেইতো বড় হয়েছি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানিস? বানরও বুঝে লাফ দিয়ে একেবারে উপরে ওঠে যেতে পারলে আর নামতে হবেনা। আমিও বন্ধু সেই লাফ দেয়ার অপেক্ষায় আছি। আর এতো সৎ থেকে লাভ কি। তেল মেরে জুনিয়ররা বড় হয়ে গেলে ওদেরকেইতো স্যার ডাকতে হবে। বিদেশে আছো। তেলের কি কদর সেটা বুঝবা না।
স্বর্গদূত স্বর্গে প্রবেশ করানোর আগে সবাইকে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এই যে চোখ খুলুন। বড় করে হা করুন। জ্বি সব ঠিক আছে। আপনি প্রবেশ করুন। আর এই যে -আপনি একটু সাইডে আসেন। আপনিতো বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী -তাই না?
জ্বি। কিন্তু আপনি বুঝলেন কিভাবে?
আপনার হা দেখে?
হা দেখেই বুঝা যায় - কে কোন দেশের বুদ্ধিজীবী।
বুঝা যাবেনা কেন? অতি সহজ। যে জিহবা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন- সেটাতো চাটতে চাটতে পুরোটাই ক্ষয় করে ফেলেছেন।