ফরাসী বিপ্লবের ১টি ফসল ছিলো, ইউরোপে 'সোস্যালিষ্ট' মনোভাবের মানুষজনের প্রভাব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি, এবং অবশেষে লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় তাদের ক্ষমতা দখল (১৯১৭ )। রুশবিপ্লব বিশ্বের গরীব মানুষদের মাঝে বিশাল উৎসাহের সৃষ্টি করে। কিন্তু ইহা বিশ্বকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বড় ২ ভাগে ভাগ করে ফেলে; ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর, এই ২টি ভাগ পরস্পর-বিরোধী প্রতিযোগীয় নেমে পড়ে; বিশ্ব ২টি কঠিন ব্লকে পরিণত হয়।
আমেরিকান ব্লকে ( ন্যাটো )দেশের সংখ্যা বেশী ছিলো; অন্য ব্লকে ( ওয়ার্শ প্যাক্ট ) মানুষের সংখ্যা বেশী ছিলো; একই সময়ে, তৃতীয় একটি ব্লক ছিলো, জোট নিরপেক্ষ ব্লক; পাকিস্তান ও ভারত এই নিরপেক্ষ ব্লকে ছিলো। সোভিয়েত ও আমেরিকা চেয়েছিলো ভারতকে নিজের দলে টানতে; কিন্তু পারেনি পারেনি।
পাকিস্তানের লোকজন ধর্মীয় কারণে সোভিয়েটকে পছন্দ করতো না; কিন্তু পুর্ব পাকিস্তানে সোস্যালিষ্ট মনোভাবের লোকজন ছিলো। আমেরিকা পাকিস্তানকে নিজেদের ব্লকে নেয়ার চেষ্টা করছিলো; কিন্তু আমেরিকান ব্লকে বৃটেন থাকায়, সবেমাত্র বৃটিশ কলোনী থেকে বেরিয়ে আসা দেশটিতে আমেরিকান ব্লকে যাবার উৎসাহ ছিলো না। আমেরিকা ৩য় বিশ্বের মানুষের সায়ের জন্য বসে থাকেনি; তারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অফিসারদের কিনে, সেনাপ্রধান, আইয়ুব খানের দ্বারা দেশে ক্যু ঘটায়ে উহাকে দখলে নেয় ১৯৫৮ সালে।
একই সময়ে তারা সামরিক ক্যু ঘটায়ে আফ্রিকা ও দ: আমেিকার অনেক দেশকে কন্ট্রোলে নিয়ে নেয়। ৭০ দশকে তারা ২ বছরের মাঝে চিলি ও বাংলাদেশকে কন্ট্রোলে নেয়: তারা চিলিতে জেনারেল পিনোচেটকে ক্ষমতায় বসায়, বাংলাদেশে জিয়াকে। জিয়ার পথের নতুন প্রশাসকরা হচ্ছেন, ড: ইউনুস ও দেশের সেনাপ্রধান।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কোনভাবেই আমেরিকার কুটনীতিবিদদের কন্ট্রোলমুক্ত হতে পারেনি আজো। পাকিস্তানের মানুষ তাদের জীবনটা এভাবেই কাটাতে চায়; কিন্তু বাংলাদেশে সমস্যা হচ্ছে স্বাধীনতার বিপক্ষ, এদের জীবন ভাবনাটা সামন্তবাদী ও বেদুইনী ধরণ্বের।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৫