আমার সাজ সজ্জার ঘরে..
একটি আরশী লুকানো আছে।
সকালে শিশিরে পা ভেজাতে গিয়ে...
আমি পেয়েছি এটা।
লুকিয়ে রেখেছি কেন স্বযতনে ?
ওতে যে অনেকের মুখ দেখা যায়।
আমি আমাকে দেখতে গিয়ে ...
আরশীতে দেখি ..
এক ডানা ভাঙ্গা পরীর মলিন মুখ।
ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে...
রক্ত চক্ষু যুগলে ছল ছল জল।
আমি শুধাই
কে তুমি ? কি হয়েছে ?
সে বলে আমার ডানা ভেঙ্গেছে বলে...
ছেড়ে গিয়েছে আমার জোড়।
আমি কদাকার হয়ে গেছি বলে..
সে আমাকে পরিহাস করেছে।
না না ..তুমিও আমাকে দেখনা।
এ বলে সে চলে যায়।
আরশীতে..ভেসে..ওঠে
এক দুঃখিনী গায়ের বধুটির ছবি।
কলসি পাশে রেখে জলের মাঝের
ছায়ার সাথে কথা বলে একা একা।
হাতে এক গুচ্ছ ফুল...
যার পাপড়ি গুলো ছিড়ে ছিড়ে....
তার বিদেশে থাকা বরের জন্য
ভাসিয়ে দিল।
কাজল কালো চোখ ভরা জল...
তার ভালবাসার স্বামী
খুব তাড়াতাড়ি আসবে বলে
আর আসেনি কত বছর পেরিয়ে গেল।
হাত ভরা কাঁচের চুরি আজও
সে পরে আগের মতই।
আরশিতে আসে
এক সদ্য বিবাহিত নারীর মুখ.।
ভালবাসার জন্য ছেড়েছে ঘর...
সবটুকু বিশ্বাস নিলামে তুলে দিয়ে...
পুরুষ্কারে তাকে দেয়া হল ..
সহস্র বছরের বন্দী জীবন।
কোন ভাবে কাঁদলে কষ্ট কমে..?
বোবা-নিরব-ফুপিয়ে..কোন ভাবে ?
প্রশ্নের উত্তর জানতে না জানতেই ..
আরশীতে ভেসে ওঠে
আমারই অবরুদ্ধ মুখচ্ছবি।
তানিয়া হাসান খান
সময়: রাত্রি: ১২:২৯ মি.
তারিখ: ২৭/০৭/২০১৩ইং