সাংবাদিক: তাড়াতাড়ি আসেন।
সাহারা খাতুন: গলার টোন এত উচা কেন ?
সাংবাদিক: এই মাত্র প্রেসক্লাবে ক্যাচাল করে আসছি । কর্মসূচি তে আগে আপনেরা হাতাহাতি করতেন। এখন আমরা আউলা চোপাড় দিতেছি।
সাহারা: বাবা রা, শান্ত হও । তুমারে তো টিভি তে দেখি....নাম মমিন না ?
সাংবাদিক: আমার নাম হ্যাডার মামুন।
সাহারা: হ্যাডার কেন ? জ.ই.....
সাংবাদিক: জ ঝ ঞ এখন অতীত। আমি এখন হ্যাডার। কারন আমার হ্যাডম ও আছে, আমার ভিতরে জ্বলন্ত ক্যাডার ও আছে । খালি ধারালা কিছু নাই।
শান্ত হও বাবা, আইন শৃঙ্খলা মনে হয় কারো নিয়ন্ত্রনে আছে....
সাংবাদিক: কিয়ের শান্ত, চাপাতি টা নাই খালি, নাইলে আইজকা....
সাহারা: কস কি মমিন....
সাংবাদিক: নাম ঠিক করে বলেন, মামুন।
সাহারা: আচ্ছা বাবা, আমি বলছি যে সাগং রুনির হত্যাকারী ৪৮ ঘন্টার ভেতর শাহবাগের মোড়ে আসবে .... কন্ডেন্স মিল্কের চা খাবে, চিনি ছাড়া । তখনই আমরা তাকে ধরে ফেলবো।
সাংবাদিক: আরে হত্যাকারী এখন কোন পাগলে খুনী ?
সাহারা : তবে ?
সাংবাদিক: মাহফুজ ভাইয়ের মত একজন মহান শিল্পী কে হেনস্তার প্রতিবাদ জানাই।
সাহারা: জ্বী, মাহফুজের গান শুনছি, চমৎকার গলা । শুধু আমার পোষা কুত্ত টা রে আর পাচ্ছি না ।
সাংবাদিক: লীগের মেশিন কেমন আছে আপনের বাসায় ? কয়েকটা চাপাতি আর রামদাও হবে ?
সাহারা খাতুন: কেন!!!
সাংবাদিক: ভাতেছি যাওয়া টাইমে প্রেসক্লাব হয়ে যাবো । যেই গুলা রে পামু এলোপাতাড়ি কোপ। রাত্রে পেমেন্ট ভাগাভাগির ব্যাপার আছে । মেশিন ছাড়া গেছি শুনলে স্যার রাগ করবে ।
সাহারা: বাবা, তোমারেই তো দরকার. তুমি অফিসে আসো একটু।
সাংবাদিক: কেন?
সাহারা: চাপাতি রামাদা এবং শিক্ষার অপূর্ব সংমিশ্রন । তুমি তো ইচ্ছা করলে নমিনেশন চাইতে পারো । এছাড়া প্রভুভক্ত ইয়ের অনেক দরকার আছে ।
সাংবাদিক: ইয়ে টা কি ?
সাহারা: আরেকদিন বলবো, আজ তোমার মাথা বিলা আছে । আমার এমনি তেই পা টা ভাঙা.... বুঝোই তো...
সাংবাদিক: আচ্ছা, ব্যাপার টা দেইখেন ।
সাহারা: ওকে মমিন, তুমি আমাদের সুনজড়ে আছো।