১
হেডিঙের ‘আ’ লেখার সময়টাতেই পৃথিবীতে অভ্যুদিত হলো
ক্ষণজন্মা আলট্রামডার্ন কবিতা
কবিতার ইতিহাসে হিরণ্ময় অক্ষরে ক্ষোদিত হলো ১০ মে ২০০৯
সময় হিসেবে রাত ১০:৫২ মিনিট- এর ঠিক আগের মুহূর্তটাতে মাথার উপরের সিলিং ফ্যানের শোঁ শোঁ শব্দে আলট্রামডার্ন কবিতার অর্গাজ্ম ঘটেছিল
মডার্ন আর পোস্টমডার্নের যুগও শেষ হলো সেই সাথে
বিদগ্ধ কবিসকল, তুমুল করতালি যোগে এ মহান কবিতাকে স্বাগত জানান প্লিজ- প্লিজ
আমরা কি বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি না মডার্ন আর পোস্টমডার্নের যন্ত্রণায়? ওগুলোকে
প্লিজ এবার নিষ্কৃতি দিন- প্লিজ- প্লিজ
মানবীয় প্রেমাবলি আর দাম্পত্য গেরস্থালি- এসব তো কবিতা থেকে কবেই উবে গেছে
এবার আমরা অসহায় প্রাণীকূলের পানে সদয় দৃষ্টি দেব- তাদের প্রাত্যহিক ভুবন, ঘরসংসার ইত্যাদি- এমনকি তাদের সাথে আমাদের প্রেম ও পরিণয় এবং
সঙ্গম সম্ভাব্যতাও প্রধানতম বিষয় হয়ে উঠতে পারে আলট্রামডার্নে- আপনারা লিখুন আপনাদের কলমে হীরাফুল ফুটবে হলফ করেই বলতে পারি
এই দেখুন না, বলতে না বলতেই পকেটে কলিংবেল, আম্রপত্রে হলুদ হেলিকপ্টার
প্রিন্সেস ডায়ানা ইশারায় ডেকে ডেকে খুন। আমাকে জড়িয়ে ঘরের গৃহিণী
অশীতিপর নিদ্রায় গান গেয়ে ওঠে। কিভাবে প্রেমিকার পরকীয়া মন রাখি হায়, এমন নিদানের কালে!
আমি আলট্রামডার্ন লিখি। আগে যা লিখেছি ধুলোবালিছাই। ‘আ’ লেখার সময় থেকেই পৃথিবীতে আলট্রামডার্ন হাঁটতে শুরু করলো
কবিতার ইতিহাসে হিরণ্ময় অক্ষরে ক্ষোদিত হলো ১০ মে ২০০৯
সময় হিসেবে রাত ১০:৫২ মিনিট- এর ঠিক আগের মুহূর্তটাতে মাথার উপরের সিলিং ফ্যানের শোঁ শোঁ শব্দ থেকে আলট্রামডার্ন কবিতার উৎপত্তি, স্বপ্নে পাওয়া মহৌষধের মতো। হিরণ্ময় কবিতা লিখিত হলো। আর কবির নাম হিসেবে কার নাম দেব? একজন আলট্রামডার্ন পাঠকের হাতেই সে ভার ছেড়ে দিলাম কবিকে খুঁজে নেবার।
২
আলট্রামডার্ন কবিতার কোনো অর্থ থাকে না, মনোহর ঝনঝনানি আর কারুকার্যতায় অভূতপূর্ব বিনোদন ও তৃপ্তিতে প্রভূত মুগ্ধ হবেন যদিও। মূলত অর্থহীনতা হলো গভীর আলট্রামডার্নিজমের বিশুদ্ধতম বৈশিষ্ট্য।
আপনার যদি কদাচিৎ মনে হয় আলট্রামডার্নিজম আপনি বুঝে ফেলেছেন, তাহলে ধৃষ্টতা মার্জনা করবেন জনাব, আপনি আলট্রামডার্নিজমের সংজ্ঞাই বোঝেন নি।
আলট্রামডার্ন কবিতার অর্থ থাকে না। এটা কোনো বোঝার বিষয়ও নহে।