এশিয়ার বৃহত্তম এবং প্রাচীন বটগাছটি কালীগঞ্জ শহর হতে ১০ কিঃমিঃ পূর্বে মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলী মৌজায় অবসিহত। বটগাছটি বর্তমানে ১১ একর জমি জুড়ে বিদ্যমান। সুইতলা-মল্লিকপুরের বটগাছ নামে এটি বিশেষভাবে পরিচিত।গাছটি দুশো বছরের পুরনো। রাস্তার ধারে ডাল-পাতায় পরিপূর্ণ গাছটি জনবিরল স্থানে পথিকের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল। বটগাছটি একের পর এক ঝুরি নামিয়ে বিরাট আকার ধারণ করেছে। এ স্থানটির মালিক ছিলেন রায় গ্রামের জোতদার নগেন সেনের স্ত্রী শৈলবালা সেন। পরবর্তীতে এটা খাস হয়ে যায়। পূর্বে তিথি অনুযায়ী এখানে পাঠা বলি হতো। এ গাছের নিচে একটি স্থায়ী কালীপূজার আসন স্থাপিত হয়েছে। এখনও মানুষ এখানে মানত করে। বিশ্বব্যাপী গাছটির পরিচিতি ঘটে ১৯৮২ সালে বি,বি,সি (BBC) র সংবাদ ভাষ্যের মাধ্যমে গাছটি এ এলাকার আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে। বহু দেশী-বিদেশী পর্যটক এখানে আসে।
ঝড়ে গাছটির ডালপালা বহুবার ভাঙলেও, মূল গাছটির নাতি পুতিরা এখনো দাপটের সাথে রাজত্ব করছে।
বর্তমানর জায়গাটি বন বিভাগের আওতাধীন। বন বিভাগ একটা রেস্ট হাউজ নির্মান করেছে এবং পিকনিক স্পট ও পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সময় পেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঝিনাইদহ জেলা সদর হতে ২৫ কিমি দূরের এই বটগাছ হতে। ভিডিওতে আরো কিছু তথ্য পাবেন।
দীর্ঘ বছর খানেক পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সবাই।
https://youtu.be/urZbMFioH_k