মানুষটির চোখে আজ দুদিন ধরে ঘুম নেই। নাকের অগ্রভাগে চশমাখান বসানো। পড়তে গেলে তাকায় নিচ দিয়ে , দেখতে গেলে দেখে চশমার উপরদিয়ে। ঠিক নাকের নিচ পরিপাটি করে বসানো আছে সজারুর কাঁটার মতো এক ফালি মোচ।মোচ তো নয় যেন জুতোর ব্রাশ থেকে এক গুচ্ছ চুল এনে তার নাকের নিচে আঠা দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে টেবিলে ঝিম মেরে বসে আছে রানীক্ষেতে আক্রান্ত মুরগির মতো।
ভাবছে নিষ্পাপ,অবুজ ছেলেটির কথা।খুব মায়া হয় ছেলেটির রক্তমাখা মুখটি দেখলে।কেমন শান্ত ,ভদ্র রক্তমাখা শরীর নিয়ে হাসপাতালের বেড়ে কাতরাচ্ছে নিষ্পাপ বদরুল ছেলেটি। এই
বয়সে এদের মতো বয়সী ছেলেগুলো দ্বীন ধর্মের কথা বলে তরুণ সমাজ কে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আনকালচার্ড হয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে দুনিয়া প্রেম ভালোবাসা বিমুখ হচ্ছে। আর এই অবুঝ নিষ্পাপ ফুলের মতো ছেলেগুলো ভালোবাসা আদায়ের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রাখছে। বুকের কোথায় এসে একটা সুতীব্র টান লাগে হুনুমান সদৃশ মানুষটির।
লেজবিহীন হনুমানটি ভাবে ছেলেগুলো এমনি শিশুতোষ,এমনি বোকা,তার বয়স্কা বৌকে একবার পরীমনি ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টান মেরে শরীর থেকে শাড়ি খুলে ফেলেছিলো পাগল ছেলের দল !এই বোকার হদ্দগুলো যুবতী নারী আর বুড়ির তফাৎ বুজেনা। এমন পাগল ছেলে ওরা অঝোর বৃষ্টিতে কাকভেজা করেছিল তাকে। ওদের পাগলামিতে লজ্জা আর শরমে এই হনুমান মানবটি গলায় দড়ি দিয়ে মরার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিল একবার।
আজ ওদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত ধর্মান্ধ শক্তি গুলো এক হয়ে ফেসবুকে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয় এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলো প্রেমভালোবাসা কে কবর দিতে ৭১ সালে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলো ।
নাহ বদরুলদের মতো নিষ্পাপ ছেলেগুলো থাকতে প্রেম ভালোবাসাহীন বাংলাদেশ আমি কল্পনা করতে পারিনা। প্রয়োজনে প্রেম ভালোবাসা বুজেনা এমন হাজারো খাদিজাকে কোপানো হবে। চাপাতির কোপ দিয়ে জোর করে ভালোবাসা আদায় করে মুক্তিযুদ্ধের মহান শাবাগী চেতনা এই বদরুলরাই প্রতিষ্ঠা করবে।
হয়তো এই বদরুলদের পাশে এখন কেউ থাকবেনা।ওরা রাস্তার বেওয়ারিশ কুত্তার বাচ্চা হোক নো সমিস্যা, আমি ষাঁড় তাদের জন্য আছি । ওদের জন্য কলাম লিখবো
"তোমরা যারা প্রেম বুজনা"
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭