চারদিকে টান টান উত্তেজনা। হাতে সদ্য শান দেয়া ধারালো অস্র হাতে ক্রলিং করে এগিয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। গায়ে লম্বা জুব্বা মাথায় পাগড়ি, মুখভর্তি সাদা কালো দাড়ি। হা সবকিছু কেমন যেন মিলিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকা তো এভাবেই গেরিলার বর্ণনা দিয়েছিল। এনিইই তো সে আফগানিস্তানের তোরাবোরা পাহাড়ে ট্রেনিং নেয়া ভয়ংকর জঙ্গি।
দু হাত মাটিতে গেড়ে এক পা দু পা করে সন্তর্পনে এগিয়ে আসছে লক্ষ্য পানে। চিক চিক করছে কোমরে ঝুলানো ধারালো অস্র। দেখলেই কলিজা হিম শীতল হয়ে যায়। আর ওদিকে লক্ষ্য বস্তু কে টার্গেট করে ধারালো অস্র ধারী জঙ্গির সাহায্যকারী হিসেবে এগিয়া আসছে আরও চার জন সেমি গেরিলা। ওরা এগিয়ে আসছে সুরংগ পথ বেয়ে এমবুশ করে।
যে কোনো সময় সম্মিলিত গেরিলা হামলা। টার্গেট সন্নিকটে যেকোনো সময় যৌথ গেরিলা আক্রমন। ক্রলিং করে এগিয়ে আসা গেরিলাটি মাটি থেকে উঠে দাড়ালো। কোমরে ঝুলানো চিক চিক করা অস্র টি তাক করলো টার্গেট পানে। এইবার অপেক্ষা, তার সহযোগী চার গেরিলা এখনি ঝাপিয়ে পড়বে আক্রমনের টার্গেট লক্ষ্য করে। চারদিকে পিন পতন নিরবতা। অস্র ধারী গেরিলার চোখের ইশারায় চার গেরিলা একসাথে ঝাপিয়ে পড়ল পশুটির উপর।
ঠিক যেন এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন সশ্রু মন্ডিত অস্র ধারী গেরিলাটি। কোমর থেকে একটানে বের করে আনলেন চিক চিক করা ধারালো অস্র। আল্লাহু একবার বলে অস্র টি চালিয়ে দিলেন পশুটির গলায়। পশুটির গলা বেয়ে রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই যেন ইথার থেকে ভেসে এলো এক স্বর্গীয় বার্তা। হে আমার প্রিয় বান্দা আমার খুশির নিমিত্তে তোমার দেয়া কোরবানী আমি আল্লাহ কবুল করে নিলাম। গেরিলা গুলো যেন ইথার থেকে ভেসে আসা স্বর্গীয় বাণী উপলব্দি করলো তাদের পবিত্র মনন দিয়ে। পাচ জোড়া চোখ তখন মহান প্রভুর শুকরিয়ার জন্য দূর আকাশের দিকে নিবদ্ধ হলো।
জি বন্ধুরা এটি একটি গেরিলা কোরবানির কল্প কাহিনী। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর লোকজন নাকি গেরিলা স্টাইল এ কোরবানী দিবে বলে সংবাদ প্রকাশ । হয়ত বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে প্রতিটি অঞ্চলে এই গেরিলা কায়দায় কোরবানী করবে জামায়াত শিবির এর লোকজনেরা। পরবর্তী আপডেটের জন্য ওই পত্রিকার অপেক্ষায়।
হায়রে মিডিয়া কবে তোরা মানুষ হবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭