হুমায়ুন আহমেদের এলাকার ছেলেরা প্রেমে পড়বে কিন্তু উপন্যাস লিখবে না, সেটাকি হয়?
তোমায় দেখিনি অাজ কতদিন!
তবু তুমি হও নি স্মৃতি থেকে অমলিন,
মস্তিসকে গাঢ় হচ্ছো তুমি, দিন দিন।
আর আমিত বোবা! কথা বলতে পারিনা,তাই লিখি এবং লিখেই যাই। আর মনে হয় যেন তোমার সব ভালো লাগা আমার মন খারাপের সমানুপাতিক।
তোমার ওই চোখের দিকে তাকিয়ে নিশ্বাস কতটুকু উঠা নামা করছে সেটাও মাপে দিতাম আমি।
আরে আমিতো সেই নাবিক যে তোমার চোখের জল মেপে চলি।
ধানমন্ডি লেকের পাড় ঘেঁষে পা ঝুলিয়ে বসতাম প্রায়ই, ওই লেক পাড়ে একজন সিকিউরিটি মহিলা প্রায়ই উকি ঝুকি মেরে বলত ডিস্টেন্স বজায় রেখে বসতে, তাই তুমি ওই মহিলার নাম দিয়েছিলে ডিস্টেন্স ওয়ালা মহিলা।খুব মজা করতাম ওই মহিলাকে নিয়ে। ওই দিনগুলোর কথা আজও মনে পরে আমার, খোলা চুলে তোমায় বেশ ভালো লাগত। চুলের গন্ধটা আমায় পাগল করে দিত বার বার।ঠোটের বাকা হাসিটায় যেন মায়া পড়ে গিয়েছিল আমার।
সেই ললনা আজ কোথায় কেমন আছে কে জানে? সেই ঝক ঝকে দিন গুলোর স্মৃতিরা যেন আজও বিদ্যুৎ খেলে যায় আমার সারা শরীরে। বিকেলে ললনার দেহের ভাজে যেন মেঘের ভাজ পরত।
বৃিষ্টিতে ভিজার পর তোমার শরীর আর জামার লেপ্টে যাওয়ার দৃশ্য গুলো আজও মনে পড়েলে যেন মূহুর্তেই আমার সমস্ত স্নায়ু সতর্ক হয়ে যায়। কি স্পর্শ ! কি অনুভব!! ,উতলা প্রান তোমার মৌচাকে আমি পিপাসু মৌমাছি ।
খুব কষ্ট হয় যখন তাকে তার হোস্টেলের সামনের চায়ের দোকানের সামনে ঠিক ২টার সময় খুজতে যেয়ে দেখি সে নেই, যেখানে সে থাকার কথা সেখানে আশ্চর্য শূন্যতা। যেখানে সে নাই সেখানে তাকে খুজতে যাই কি কারনে কে জানে। হয়তবা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
সে যেন কখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিমূর্ত কোন জিনিস ছিলো না যেন অসহায় ছোট একটা শিশুর মত ছিল-যেন বুকে মাথা রেখে বলা যায়, ভয় কি তোমার আমি তো আছিই। আহ! কি আশ্চর্য অনুভূতি? কিন্তু আমি পারি নি।ব্যর্থ হয়েছি।
শুনেছি বিশ্বাসের বস্তু নাকি হারায় না, বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তবে কি আমি...নাহ-না... আমিই কি তাহলে সেই বিশ্বাস ঘাতকদের দলে?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪২