মজার একখান খবর দেইখ্যা নিজের কথাই মনে পইড়া গেল কত যে স্কুল ফাকি মাইরা গেমস গেলতে গেছি ।তার হিসেব নাই ।কখনো ক্রিকেট খেলার জন্য কখনো সিনেমা দেখার জন্য কথনো ভিডিও গেমস খেলার জন্য ।তবে ভিডিও গেমস এর জায়গাটা এখন কম্পিউটার নিয়ে নিয়েছে এখনো মাঝে মাঝে সাইবার ক্যাফেতে গেলে দেখি কত পুলাপাইন স্কুল ফাকি দিয়া গেমস খেলতে চলে আসে ।যাদের বাসায় কম্পিউটার নাই তাদের হারই বেশী।তবে বাংলাদেশেও মাঝে মাঝে এই্ ধরনের অভিযান করা উচিত।তবে বর্তমানে পুলিশ বাহিনী চিরুনী অভীযানে আছে এই চিরুনির মাঝে কে কথন আটকায় তার ঠিক নাই।
ইন্দোনেশিয়ায় সাইবার কাফেতে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ডজনখানেক স্কুল শিক্ষার্থীকে স্বল্প সময়ের জন্য আটক করে পুলিশ৷ স্কুল পালিয়ে তারা সাইবার কাফেতে বসে কম্পিউটার গেমস খেলছিল৷ নয়ত অনলাইনে বন্ধুবান্ধদের সাথে চ্যাট করছিল৷
পশ্চিম জাভার বান্দুং-এ এই অভিযান চালায় পুলিশ৷ শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গিয়ে ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করছে, বাবা-মা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এরকম অভিযোগ পেয়েই স্থানীয় পুলিশ সক্রিয় হয়, জানিয়েছে বান্দুং-এর পুলিশ কর্তৃপক্ষ৷
বান্দুং শহরের পুলিশ অফিসার সুপর্ণ জানান, তারা ২৩ টি ইন্টারনেট কাফেতে হানা দিয়ে ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে৷ তাদের অনেকেই স্কুলের ইউনিফরম পরে ছিল৷ তিনি আরও বলেন, স্কুলের সময়টা তাদের স্কুলে থাকার কথা অথচ তারা সাইবার কাফেতে বসে গেমস খেলছিল, অনলাইনে চ্যাট করছিল এবং ফেসবুক দেখে সময় কাটাচ্ছিল৷
স্কুল পালানো এই শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ১৩-১৪ বছর বয়সের৷ তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷ সুপর্ণ জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের এই অভিযানে ভয় পেয়ে যায়৷ তাদের কেউ কেউ অপরাধ স্বীকার করে তাদের ছেড়ে দিতে বলে৷ আর কখনও স্কুল পালিয়ে গেমস খেলবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে৷
ইন্দোনেশিয়ায় যে সব সাধারণ মানুষের কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য সাইবার কাফেগুলো অনেক কম মূল্যে ওয়েব সাইট ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে৷ সেখানে মানুষের আয় কম এবং ইন্টারনেটের পরিকাঠামো দুর্বল হলেও বিশ্বে ফেসবুক-এর মত সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের দিক দিয়ে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে এই দেশটি৷
গর্হিত অথবা সহিংসতার ইন্ধন যোগানো বলে বিবেচিত ইন্টারনেট সাইটগুলো থেকে সমাজকে রক্ষার সঙ্গে বাকস্বাধীনতা ও তথ্যক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের বিষয়কে কীভাবে মেলানো যায় তা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার ভিতরে চলেছে জোর বিতর্ক৷ তারই মাঝে সাইবার কাফেতে ঘটল এই পুলিশি
হানা৷
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩৬