যার ভিতরের অবস্থা বাহ্যিক প্রকাশ্যের বিপরীত তাকে নিফাক বলে। যার মধ্যে নিফাক রয়েছে সে মুনাফিক। মুনাফিকের পরিচয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
তরা যখন ঈমানদার লোকদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি। কিন্তু যখন নির্জনে তারা তাদের শাইতানদের সাথে মিলিত হয় তখন তারা বলে, আসলে আমরা তোমাদের সাথেই রয়েছি, আর আমরা তাদের সাথে ঠাট্টাই করি মাত্র। (সূরাঃ আল-বাকারাহ-১৪ আয়াত)
তাদেরকে যখন বলা হয় যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেই দিকে এবং রসূলের দিকে এসো। তখন মুনাফিকদের দেখতে পাবেন যে, তারা আপনার নিকট আসতে ইতস্তত করছে ও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। (সূরাঃ আন নিসা- ৬১ আয়াত)
হে নাবী ! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। আর তাদের পরিণতির হচ্ছে জাহান্না এবং তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান। (সূরাঃ আত তাওবাহ- ৭৩ আয়াত)
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থান করবে। আর আপনি তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাবেন না। (সূরা- আন নিসা-১৪৫ আয়াত)
মুনাফিক পুরুষ ও নারী এবং কাফিরদের জন্য আল্লাহ তা'আলা জাহান্নামের আগুনের ওয়াদা করেছেন। তাতে তারা চিরদিন থাকবে, ওটাই তাদের উপযুক্ত স্থান। তাদের উপর আল্লাহর লা'নাত এবং তাদের জন্য চিরস্থায়ী আযাব রয়েছে। (সূরাঃ আত-তাওবাহ- ৬৮ আয়াত)
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে উক্ত স্বভাবগুলোর কোন একটি থাকে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকীর একটি স্বভাব থেকে যায়- ১) তার কাছে কোন আমানত রাখলে সে তার খিয়ানত করে; ২) সে কথা বললে মিথ্যা বলে; ৩) ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে; ৪) ঝগড়া করলে গাল-মন্দ করে। (বুখারী- ১ম খন্ড, মুসলিম- ১ম খন্ড)
ইবনু উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ এ উম্মাতের ব্যাপারে এমন সব মুনাফিক সম্পর্কে আমার ভয় হয় যারা কথা বলে সুকৌশলে, আর কাজ করে যুলুমের সাথে। (বায়হাকী)
হুযাইফাহ বিন ইয়ামা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ নিফাক বা মুনাফিক নাবী (সাঃ) এর যুগে ছিল। আজকের দিনেও আছে, আর সেটা হল ঈমানের পরে কুফরী করা অর্থাৎ ঈমান প্রকাশ করে আল্লাহর দীনের বিরোধী কাজ করা। (বুখারী ২য় খন্ড ১০৫৪পৃঃ)