আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর জন্ম স্থান ছিল মক্কায়। আল্লাহর নির্দেশে ইসলাম প্রচার যখন প্রকাশ্য রূপ নেয় রাসূল (সাঃ) শত্রু দিন দিন বড়তে থাকে। সর্বশেষে রাসূল (সাঃ) মানষিক ভাবে প্রচন্ড ভাবে ভেঙে পড়েন যখন হযরত খাদিজা (রাঃ) মারা যান। মক্কার কাফিররা রাসূল (সাঃ) কে হত্যা করার জন্য দিন রাত পরিকল্পনা করতে থাকে। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশেই রাসূল (সাঃ) তাঁর অনুসারীদের নিয়ে জন্মস্থান ত্যাগ করে মদীনার পথ ধরেন। এভাবে নিজের প্রিয় জন্মস্থান, বাল্য, কৈশর ও যৌবন পার করা প্রিয় শহরকে যখন ছাড়তে হয় তখন রাসূল (সাঃ) এর মন ভীষন ব্যথীত ছিল। তিনি অজানা, অচেনা এক শহরে বসবাস করার জন্য স্বদলবলে পায়ে হেটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন। ইসলামী পরিভাষায় এটাই ছিল রাসূল (সাঃ) প্রথম হিজরত।
এই হিজরত ছিল আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপদে মদীনা থেকে ইসলাম প্রকাশের এক নতুন কৌশল মাত্র। আল্লাহ পাক জানতেন ইসলামের জয় হবেই এবং এই হিজরতকারীরা অবশ্যই তাদের জন্মস্থানে বীর দর্পে ফিরে যাবেন ইসলামের বিজয় মুকুট মাথায় নিয়ে।
বর্তমানের লংমার্চ কি এমন কিছু? কথাটা এজন্য বললাম, আমি ব্যক্তিগত ভাবে যদিও লংমার্চের সমার্থক তবে এটাকে হিজরত এর সাথে তুলনা করাকে আপত্তিকর মনে হচ্ছে। কারন আজকের লংমার্চ যারা করতে আসছেন তারা কি তাদের জন্মস্থানকে ত্যাগ করে ঢাকায় আবাস গড়তে আসবেন? তারা কি ইসলাম প্রচারের জন্য আসছেন? তারা কি ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে অত্যাচারিত হয়ে নিজ জন্মস্থান ত্যাগ করে ঢাকা মুখে আসতেছেন?
এতগুলো প্রশ্ন আমার মাথায় একযোগে ঘুরপাক খাচ্ছে। হয়তো আমার বুজের ভুল, তার জন্য ক্ষমা চাইব আল্লাহর দরবারে। যদি বুজের ভুল না হয় তাহলে তাদের অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে আল্লাহর কাছে।
হাতে গোনা কয়েকজন নাস্তিককে আমরা চরম ঘৃণা করি। যারা ৭১-এ এই দেশের সাথে গাদ্দারী করেছে, ধর্ষণ লুট এবং হ্ত্যার সাথে জড়িত তাদেরকেও ঘৃণা করি। তবে যদি কেউ ইসলামকে নিয়ে ভুল ফতোয়া দেয় এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের উচিত তওবা পড়ে ফিরে আসা।
এই পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি চাই। দেশ আজ চরম সংকটে, জানি আরো অনেক লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে, খালি হবে কোন মায়ের কোল। কেউ এর জন্য দায় স্বীকার করবে না। একজন আরেকজনের দিকে কাদা ছোড়া ছুড়ি করবে আর কান্নায় বুক ভাসাবেন নিহতের মা-বাবা!