
এক বুক অভিমান ছুঁয়ে আজ লিখতে বসেছি। অনেক অনেক অনেক দিন পরে। শব্দ থেমে ছিলো কতদিন বুকের পাজরে। আচ্ছা, শব্দ কি থেমে থাকে? শব্দের কি পথ চলতে হয়? কত শত প্রশ্ন বুকের ভেতরে থম ধরে পরে রয়!
রৌদ্র ঝকমিত কিশোরী সুখের চঞ্চলা উল্লাসিত চোখমুখের দীপ্তি আজ সহসা দৃশ্যমান হয়না। অভিমান ভরে দু’চোখ ভরে আসে জল। কদাচিৎ এক দু’টো শব্দ ফুঁড়ে আসে হৃদয় কপাট খুলে। বহুদিন বাদে অন্ধকার ফুঁড়ে আলোয় বেরিয়ে এসে শব্দেরা দিক হারায়। মুখ থুবড়ে পরে আলোর আলোয়।
সেই এক ঘর, বিছানা, বালিশ। আর এক টুকরো আকাশ। মনের বাতায়ন। যত ব্যথা বেদনা, যত এক চিলতে হাসি আনন্দ তার আনাগোণা ঐ এক চিলতে আকাশে। অথবা, সেই এক ঘর চারকোণা দেয়ালে।
কতকিছু বলার থাকে। কত কথা জমা হয়। সময়ের পরতে পরতে। প্রতিটি মুহুর্তে। এক থালা ভালোবাসা অথবা, পাতলা চাদরে মোড়ানো সুখ-স্বপ্ন মনের নিভৃত কোণে অন্ধকারে বাঁধে বাসা। মাকড়শার জাল বুনে বুনে ভরে যায় ভেতরটা।
এক বুক অভিমান ছুঁয়ে লিখবো বলে সেই যে কলম ধরে বসে আছি। প্রতিটা সম্পর্কের সুতো শুধু উপন্যাসের পাতায় এক একটি চরিত্রে প্রাণ পাওয়ার আশায় আমার হৃদয়ে গেঁথে থাকতে চায়। আর হৃদয় গুমড়ে মরে ভালোবাসার অপেক্ষায়। কবে আসবে ভোর, হবে সমস্ত অপেক্ষার অবসান!
মুক্তগদ্য/ ০৬।০৪।২০১৩ ইং ৭টা ৭ মিনিট
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪