জেনে নিন মাথা নষ্ট করার মতো আজব কিছু থেরাপি বা চিকিৎসা
পৃথিবীতে যত রকমের রোগ আছে তার সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতিও নাকি দিয়ে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। তবে সেটা বুদ্ধি, মেধা ও গবেষণার মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।এমনকী মরণঘাতী ক্যানসার, এইডসেরও সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে মানুষ।তবে এমন বিচিত্র কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে যা শুনলে বোধহয় অনেকেরই অসুখ সেরে যাবে আবার অনেকে অসুস্থও হতে চাইবেন স্বেচ্ছায়।
চলুন আজ সে আজব ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো জেনে নিইঃ
(১) হপোনপোনঃ হাওয়াই দ্বীপের এই বিচিত্র থেরাপি মতে সব অসুখের মূলে রয়েছে কোনো রাগ, পাপবোধ এবং মতবিরোধ। তাই ক্ষমা এবং পুনর্মিলনের মাধ্যমে রোগ নিরাময় সম্ভব। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছু শব্দ ব্যবহার করে সেই রাগ-তাপকে শান্ত করা হয়।
(২) মূত্র চিকিৎসাঃ ঘেন্না করলেও পৃথিবীর বহু দেশে মূত্র দিয়ে ত্বকের চিকিৎসা করা হয়, বিশেষ করে চীন দেশে।
(৩) ইয়ার ক্যান্ডলিংঃ একটি জ্বলন্ত মোমবাতির তলার দিকটি কানে গুঁজে দেওয়া হয়। একে বলা হয় থার্মাল অরিকুলার থেরাপি। অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে বহু স্বাস্থ্য সংস্থা এই পদ্ধতি থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলে।
(৪) বিয়ার স্পাঃ বিয়ার ভর্তি টাবে গা ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। ইচ্ছে করলে সেখান তেকে একটু বেয়ার পানও করতে পারেন। চেক রিপাবলিক জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ায় প্রচুর বিয়ার স্পা রয়েছে।
(৫) সাইকিক সার্জারিঃ ছুরি, কাঁচি, স্টিচিং কিছুই নেই তবু সার্জারি। শুধুই রোগ শরীরের যে অংশটিতে রোগ সেখানে বিশেষভাবে স্পর্শ করা। ব্রাজিল ও ফিলিপাইনসের বেশ কিছু অংশে প্রচলিত।
(৬) ভার্চুয়াল ডলফিন থেরাপিঃ বিছানায় অথবা সোফায় শুয়ে ইন্টারনেটে ডলফিনের ভিডিও দেখুন এবং ডলফিনের গলার আওয়াজ শুনুন। এতেই নাকি দূর হবে স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন। বিদেশে অর্থনৈতিক মন্দার সময় থেকেই নাকি চালু হয়েছিল এই থেরাপি।
(৭) মৌমাছির হুলঃ একে বলে বি স্টিং থেরাপি। যারা এই থেরাপি করেন তাদের ধারণা মৌমাছির হুল ফোটালে যন্ত্রণা হয় ঠিকই কিন্তু হুলের ডগায় থাকা অ্যাসিড নাকি আর্থারাইটিস এবং কিলয়েডের মতো রোগ সারাতে পারে।
(৮) পাস্ট লাইফ রিগ্রেশনঃ হিপনোসসিসের মাধ্যমে রোগীকে ঘুম পাড়িয়ে নাকি নিয়ে যাওয়া হয় পূর্বজন্মে। সেই জন্মের স্মৃতি তার মধ্যে জাগিয়ে তোলা হয়। এই থেরাপিস্টদের ধারণা, এই জন্মের রোগ-ব্যাধির মূলে নাকি পূর্বজন্মের কিছু সমাধান না হওয়া সমস্যা। তাই ঘুম পাড়িয়েই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা।
(৯) স্নেক মাসাজঃ শরীরে একগাদা বিষ নেই এমন সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপেরা খেলা করে বেড়ায় এবং শরীরে যে শিহরণ জাগে তাতেই নাকি স্ট্রেসজনিত রোগ দূর হয়।
তথ্য ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫