জগতের সব ধর্মেই পাপের ও পুণ্যের হিসাবের কথা সমান ভাবে বলা হয়েছে। সেখানে ভালো কাজ করলে যেমন স্বর্গবাস বা বেহেস্ত আবার খারাপ কাজ করলেও নরক বা দোযখ বাসের বিষয়টি বলা হয়েছে। কোন ধ্মই বলে নাই পাপ পূর্ণের বিচার নাই ।
ঠিক সেভাবেই হিন্দুধর্মে কোন পাপের কী শাস্তি তা যেমন উল্লেখ আছে তেমন আছে মুসলিম ধর্মেও আবার তেমনই কোন প্রায়শ্চিত্ত করলে কোন পাপ থেকে ইহজগতেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব তেমন কথাও বলা হয়েছে।যেমন বাইবেল সাতটি কাজকে সবচেয়ে বড় পাপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি হলো বিভিন্ন প্রকারের লোভ। তাছাড়াও রয়েছে ঈর্ষা অহঙ্কার ইত্যাদির কথা।
ইসলামে কর্তব্যে অবহেলা, পৌত্তলিকতা, ডাকিনীবিদ্যার অভ্যাস, হত্যা, অহংকার করা এবং অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ইত্যাদিকে কঠিন পাপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে এবং সেই সংক্রান্ত পাপ যারা করেন তারা নরকে যাবে সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলাম, হিন্দু বা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা সেগুলোতে বিশ্বাসও করেন। যেহেতু ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে পুনর্জন্ম নেই, সেহেতু সব ফয়সালাই পরকালে, স্বর্গ অথবা নরকে।
কিন্তু হিন্দুধর্মে কোন পাপের কী শাস্তি এবং কী ধরনের পাপ করলে পুনর্জন্মে ঠিক কী হয়ে জন্ম নিতে পারে এই ধরাধামের মানবাত্মা তা অনেকটা স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে। তাই আসুন আমরা দেখি এই জন্মের কোন পাপের ফলে পরজন্মে কী অবস্থায় পতিত হতে হবে তার একটি তালিকাঃ
১। ব্রহ্মহত্যাঃ নরকে মেয়াদ খাটার পরে ব্রহ্মহত্যাকারীকে পরজন্মে কুকুর, শুয়োর, গাধা, উট, গরু ইত্যাদি হয়ে জন্মাতে হয়।
২। সোনা চুরিঃ হিন্দুধর্মে বেশ ঘোরঘট্ট পাপ। পরজন্মে মাকড়সা, কুমির, সাপ হয়ে জন্মাতে হয়।
৩। গুরুপত্নীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কঃ পরজন্মে ঘাস হয়ে জন্মাতে হতে পারে। অথবা মাংসাশী পশু।
৪।অতিরিক্ত মদ্যপানঃ নরকে মেয়াদ খাটার পরে পোকা হয়ে জন্মগ্রহণ পরজন্মে।
৫।নিষিদ্ধ খাদ্য ভক্ষণঃ নরকে মেয়াদ খাটার পরে কৃমি হয়ে জন্মাতে হবে
৬। ব্রাহ্মণের সম্পত্তি আত্মসাৎঃ পরের জন্মে ব্রহ্মরাক্ষস হতে হবে।
৭। শস্য চুরিঃ ইঁদুর হয়ে পরের জন্ম কাটাতে হবে।
৮।গুপ্তধন আত্মসাৎঃ পরের জন্মে নির্বংশ হতে হবে।
৯।বাজে তর্ক করলেঃ পরের জন্মে বিড়াল হয়ে জন্ম নিবে।
১০।খাদ্যের অন্যায্য দাম নেন যে ব্যবসায়ীঃ পরের জন্মে অবশ্যই কচ্ছপ হয়ে জন্ম নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৩