বেশ। আপনার কথাগুলোর পয়েন্ট টু পয়েন্ট জবাব দেবার চেষ্টা করছি।
৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬
১. "লেখক বলেছেন:
আপনি যে ভালো কিছু লেখা লিখতে পারছেন তার জন্য ধন্যবাদ। সেটা আমার উপর রাগ করে হলেও সমস্যা নাই।"
আমার বক্তব্যঃ
হা হা হা। আপনি কি ভেবেছেন আপনার উপর রাগ করে আমি লেখালেখি শুরু করেছি! হা হা হা। হো হো হো। ....বলেন কই যাই এত রাইতে?

নিজেকে কি ভাবেন আপনি জনাব আহমেদ ফারুক?
২. এর পর আপনি বলেছেনঃ
"আর হ্যাঁ আপনি আমার যে পোস্টটাকে বাল সার বলছেন তা মোটেও বার সার নয়। কারণ আমি যে লিংকটা দিয়েছি তা এক জাতীয় দৈনিকের পৃষ্ঠা। আর তার পাঠকও অনেক।" ---
আমার বক্তব্যঃ
কই??? আমি কিন্তু আপনার পোস্টাকে কিছু বলিনি। আমার কমেন্টা আবার পড়ুন দরকার হলে।
আপনি যে "জাতীয় দৈনিকের" লিংক দিয়েছেন আমার ধারনা তার পাঠক সংখ্যা এই ব্লগের মোট পাঠক সংখ্যার চে বেশী হবে বলে মনে হয় না। এইখানকার রেজিস্টার্ড ইউজারদের সংখ্যা কত জানেন? হাহ। আর আনরেজিস্টার্ড ইউজারের কথা না হয় বাদই দিলাম।
৩. তারপর বলেছেন-
অনেকে ওয়েবে পৃষ্ঠাটা পড়তে চায়। কিন্তু ওয়েবের ঠিকানা না জানায় খুঁজে পায় না।
আমার বক্তব্যঃ
এইজন্য আপনি আপনার লেখার ঠিকানা ব্লগে দেন? বাহ দারুন তো! তা আপনার সব ভক্তই বুঝি আপনার ব্লগ নিয়মিত পড়ে জনাব আহমেদ ফারুক!

আপনি তো অনেককেই আপনার লেখা পড়ার জন্য এখানে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। অনেককেই আপনার ব্লগ ঠিকানা দিয়েছেন। ওয়েবের ঠিকানাটা কি সেভাবেই দেয়া যেত না? সেটা কিন্তু আপনার ব্লগ ঠিকানার চে কম জটিল এবং কম সময় সাপেক্ষ। সুতরাং সেটা দেয়াই তো স্বাভাবিক ছিলো।
৪. তারপর বলেছেনঃ
আর আমি যেহেতু ওই পাতার বিভাগীয় পরিচালক, তাই অন্যকে জানানোর অধিকার আমার আছে।
আমার বক্তব্যঃ
তাই নাকি? এই তো জান্তাম না যে কোন "পাতার" বিভাগীয় সম্পাদক হলেই সেটার নির্লজ্জ প্রচার যত্রতত্র করা যাবে?

আপনার চেয়ে ঢের বড় বড় পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগীয় পরিচালক, সাংবাদিক, লেখক, কলাম লেখক, এই ব্লগে লেখে। এটা জানেন? আর এটাও জেনে রাখুন যে, তারা কখনই তাদের পত্রিকায় লেখার প্রচার ব্লগে এসে করে না। ব্লগের জন্য আলাদা করে লেখে। আলাদা করে নিজ হাতে টাইপ করে লেখে। কখনই তারা তাদের পত্রিকার লিংক ব্লগে এসে বিলিয়ে বেড়ায় না। কারন, এটা যে এক ধরনের ছ্যাবলামো, এটুকু বোঝার মত ধী শক্তি তাদের আছে। কিন্তু আপসোস, অনেকেরই সেটা থাকে না।

আপনি কেন এটা করেছেন সেটা স্বীকার করতে এত কুন্ঠিত কেন? আপনি জানাতে চাচ্ছেন যে, আপনার লেখা ভাল মানের, পত্রিকায় ছাপা হবার মত ভাল মানের। এবং , আপনি যে একটা ছোটখাট বিভাগীয় সম্পাদক, সেটাও এক ফাকেঁ আমাকে জানিয়ে দেবার সুযোগটা ছেড়ে দিলেন না। বাহ। আপনার বুদ্ধির প্রসংশা করতেই হয় জনাব আহমেদ ফারুক।

আর ব্লগে বেশী সময় দেয়াটা আপনার হয় না। তাই লিংক দিয়েই ভাগলেন। এটা যে একটা অভদ্র আচরন, সেটা বুঝতে পারছেন? আপনি কি ভেবেছেন যে লিংক দেয়া মাত্রই আপনার লেখা পড়ার জন্য সব ব্লগাররা হুমড়ি খেয়ে পড়বে সেই "আপনার ওয়েব সাইটের পাতায়?"
কয়জন ব্লগার সেটা পড়ে কমেন্ট করেছে দেখুন তো। আর কয়জন সে লিংকটাতে গিয়েছে? আপনি আপনার পত্রিকার আইটি সেকশনে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন যে, লিংকটি দেবার পর থেকে ব্লগ থেকে আপনার পত্রিকার সাইটে কয়টি হিট পড়েছে। পরিসংখ্যানটা আপনার কাজে লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।

তারপর বলেছেনঃ
তর্কের জন্য না জেনে কোন মন্তব্য করবেন না। এটা মূর্খের লক্ষন।
আমার, আমি না জেনে করিনি। আমার ধারনা হয়েছিলো, পত্রিকায় আপনার লেখাটা যেমন সমাদৃত হয়েছিলো, তেমনি ব্লগেও হতো। তাই বলেছিলাম সেটা। একটা ক্লিকও কিন্তু করেছিলাম আপনার দেয়া লিংকে।

আর আমি মূর্খ হবার মত একটা লক্ষন দেখালেও, আপনি কিন্তু আমার চেয়ে অনেকবেশী দেখিয়ে ফেলেছেন!
চালুনি বলে সুচঁ কে, তোমার পিছনে ছিদ্র কেন? নিজের যে সারা গায়ে ছিদ্র সেদিকে তার খেয়ালই নেই। এই হচ্ছে এই মূর্খদের দশা।

৫. তারপর বলেছেনঃ
আমি জানি এই জবাবের পর আপনি মূর্খের মতো আবারো গালাগালি করবেন।
মূলতঃ, আপনার এই কথাটার রিপ্লাইয়েই আমি এই পোস্টের ৪ নং কমেন্টা করেছিলাম। সরি। সেটা করা আসলে আমার ঠিক হয়নি। দয়াকরে কিছু মনে করবেন না। আর ইচ্ছা হলে কমেন্টা মুছে দিতে পারেন। ধন্যবাদ।
৬. তারপর বলছেনঃ
মূর্খরা এমনই, নিজের ভূল ধরতে পারে না। নাম পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়ায়। পিছন থেকে বাজে কথা বলে।
আমার বক্তব্যঃ
নিজের ভুলটা বুঝতে না পেরে নিজের পরিচয়টা এখানে একেবারে তুলেই ধরলেন জন সম্মুখে।

নাম পরিবর্তন করে পালাবার কি কোন কারন আছে? আপনি কি এমন ডাকসাইটে লোক যে আপনার জন্য নাম পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াতে হবে?
৭. তারপর বলছেনঃ
তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। সচেতন ব্লগার এ বিষয়টা সহজেই ধরতে পারে।
আমার বক্তব্যঃ
তাতে আপনার কিছু না যাওয়া আসাটাই স্বাভাবিক। ব্লগে আসেন কালে ভদ্রে। আপনাকে গালি দিলেও সেটা টের পান কয়েকমাস পরে। খুব কাছের একজন বন্ধু তাকে উদ্দেশ্য করে কটু একটা কমেন্ট মুছে ফেলতে অনুরোধ করার পরও ব্লগে আসার মত যথেষ্ঠ সময় আপনার হয় না। দরকার হলে ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিতে রাজী, তবু ব্লগে দুদন্ড বসে কমেন্টা মুছার মত সৌজন্যতা দেখাতেও আপনি রাজি নন মোটেও। আপনার মত এহেন লোকের যে তাতে কিছু যায় আসে না, সেটা তো বলাই বাহুল্য।
নিজেকে সচেতন ব্লগার হিসেবে দাবী করে বসলেন মনে হলো।

যার ব্লগে হিট সংখ্যা ১ বছরে মাত্র ২৬ হাজার, (যেখানে আমার প্রায় সবগুলা নিক স্বাতন্ত্রভাবে আপনার চেয়ে অল্প সময়ে বেশী হিট প্রা্প্ত), পোস্ট দিলে কমেন্ট-রেটিং কিছুই হয় না , বছরে ৪/৫ বার ব্লগে আসেন, সে যদি নিজেকে সচেতন ব্লগার বলে দাবী করে বসে, তাহলে কিন্তু একটা কথাই বলতে হয় তখন- পাগলের সুখ নাকি মনে মনে।

এবার আমার নিজ থেকে কিছু কথা বলিঃ
আমি আপনাকে সব সময়ই ভাল জানতাম। একজন ভাল এবং রুচিবান লেখক হিসেবে দেখতাম। ব্লগে আপনার কিছু কিছু মন্তব্যে রিপ্লাইয়ে সে ভাবনায় কিছুটা হলেও চির ধরেছিলো। যাইহোক, আমার মত "মূর্খ" ব্লগারের ভাবনায় আপনার মত "সচেতন" ব্লগারের কিছুই আসা যাওয়ার কথা না। কিন্তু, যখন দেখলাম, বিনা উস্কানিতে আপনি আমার একটা নিরীহ পোস্টে এসে আজে বাজে কথা বলে চলে গেলেন, তখন থেকেই কিন্তু আপনার ব্যাপারে ভাল ধারনা বজায় রাখাটা আমার জন্য নিতান্তই কঠিন হয়ে দাড়িঁয়েছে। এমন না যে আপনি আমার ব্লগে গিয়েই সেই পোস্টে কমেন্টা করেছেন। ঐ পোস্টাকে আপনার খুজেঁ বের করতে হয়েছে অনেক পোস্টের ভীড় থেকে। তাইনা?
ঐ পোস্টা ছাড়াও আরো ভালো ভালো পোস্ট ছিলো আমার আর্কাইভে। সেখানে কোন কমেন্ট পাই নি কখনো আপনার কাছ থেকে। কেন পাইনি জনাব আহমেদ ফারুক? তারমানে কি ধরে নেব যে ফালতু পোস্টে কমেন্ট করে ব্লগারদের সাথে পায়ে পা বাধিঁয়ে ঝগড়া করতে আপনি পছন্দ করেন?
নতুবা কি ধরে নেব পূর্ব শত্রুতার জের? কিন্তু আপনাকে বা ঝুমীকে উদ্দেশ্য করে কখনই আমি অন্য সবার মত অযথা সন্দেহ করে আজে বাজে কথা বলিনি। যখন আপনাদেরকে নিয়ে ব্লগে কানাঘুষা চলছিলো, এমনকি তখনো না। তাহলে কেন আপনি আমার পেছনে লাগলেন, বিষয়টা আমার কিছুতেই বুঝে আসছে না। দয়াকরে একটু বুঝিয়ে বলবেন কি জনাব আহমেদ ফারুক?
আচ্ছা, নতুন ব্লগাররা তো আপনাদের সেই গুজবের কথা জানে না। তাহলে তারাও কেন আপনার পোস্ট পড়ে না। কেউ আপনাকে প্রথম থেকেই কেন পছন্দ করে না, সেটা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? ব্লগে কেউ আপনার লেখা পড়ে না কেন? এমন তো নয় যে আপনার লেখার কোন সাহিত্য মান নেই। কারনটা হলো, আপনার অহমিকা এবং ব্লগারদের সাথে আপনার উদ্ধত আচরন। যত ভাল লেখকই হন না কেন, নুন্যতম ভদ্রতা জ্ঞান যার ভেতরে নেই, তাকে সবাই অপছন্দ করবে এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? বাস্তব জীবনে আপনার যত প্রতিপত্তিই থাকুক না কেন, ব্লগের ভার্চয়াল জগতে আপনি একজন অবহেলিত ব্যক্তি। অবশ্য, সচেতন ব্লগার বলে এখানেও আপনার কোন কিছু আসবে যাবে বলে মনে হয় না।

আপনাকে আরো অনেক কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। যদি কখনো সামনা সামনি দেখা হয়, তখন না হয় বলা যাবে। কি বলেন?

স্টে ফাইন। ওভার এন্ড আউট।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:০৪