সফেদ চাদরে মোড়ানো বাটির ভিতর-
দু'মুঠো ভাত, আলুভর্তা আর
দুটো কাঁচামরিচ!-ধনিয়ার ঘ্রাণেন্দ্রিয় চেনা স্বাদ!
খাবার শেষে,চৈতালি তপ্ত দুপুরে
শঙ্খ চিলের ডানায় ভর করে আলস্য নামে-
কালিমদ্দির ক্লান্ত শরীরে।
ওদিকে বাগানের বড়কর্তা,
অত্যাধুনিক রেস্তোরা'য় লাঞ্চ সেরে
বিশ্রাম নেন নাতিশীতোষ্ণ কক্ষে--
তারপর,
পড়ন্ত বিকেলে চুপিসারে
এক এক করে ক্যামেরা বন্দি করেন---
"মেহগনির ছায়ায় কিংবা
শীতল ঘাসের বুকে বিশ্রামরত এক একটি
হাড্ডিসর বিদীর্ণ শরীরের প্রতিচ্ছায়া।"
নৈসর্গিক নিয়মে বেলা বাড়ে....
অতঃপর,
দিনশেষে, কাজ ফাঁকি দেওয়ার
অভিযোগে 'জরিমানা' নামে কিছু অর্থ
কালিমদ্দিদের পারিশ্রমিক থেকে কাটা পড়ে,
জমা হয় বড়কর্তার একাউন্টে!!
--নির্বিণ্ণ, বোকাসোকা কালিমদ্দি'রা
অক্লেশে মেনে নেয় বড়বাবু'দের গাণিতিক হিসেব।
২৭ এপ্রিল ১৬...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৬