রাতারগুল নিয়ে অনেক পোষ্ট আছে ব্লগে নুতন করে কিছু লেখার নেই । সত্যিই চমৎকার জায়গা। আমরা চার বন্ধু গিয়েছিলাম।
চেঙ্গার খাল থেকে রাতার গুল বনে ঢুকতে হয় খৈয়ার খাল দিয়ে । প্রবেশ পথে প্রথমেই বাধার সম্মুখীন হলাম
নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে মাছ ধরার জন্য ।
শুনলাম স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা লীজ নিয়েছেন। খবরটা আজ প্রথম আলোতেও আসছে লিংক । প্রথম আলো মনে হয় ছবিটা দুই একদিন আগে নিয়েছে। কি আর করা সবাই মিলে শুকনা দিয়ে নৌকা টেনে নিলাম।
একসাথে ৭/৮ টা নৌকা ছিল। সবাই হৈ-হুল্লুর করে গেলাম। ভালোই লাগছিল। তিনটা নৌকাতে কিছু ললনাও ছিল। নিজেকে “আর ইউ পম গানা” খ্যাত নায়ক ভাবতে লাগলাম আহাহা জঙ্গলেও ললনা ভাবতেই ভালো লাগে । কিন্তু আমার ভাবনায় বাধা দিল মীরজাফর ক্যামেরা । শালার বেটা বেটারী লো দেখানির আর সময় পেলিনা মনের দুঃখে রাতারগুল বনের হাঁটু পানিতে ডুবে মরতে লাগছিলাম হঠাৎ চারিদিক প্রকম্পিত করে বন জঙ্গল কাঁপিয়ে পেত্নির হাসির মত হাসির শব্দ শুনতে পেলাম আমার হৃদকম্পন বন্ধ হবার যোগার, লাফ দিয়ে পানি থেকে উঠলাম । বেঁচে থাকলে অন্য সময় ডুবে মরা যাবে, পেত্নির হাতে মরতে চাইনা কিন্তু না এ যে পেত্নি নয়, এ তো দেখি সিন্দবাদের যাদুকরি খল নায়িকা কেহেরআজমার(নাম ভুল হইতে পারে) মত দুই ললনা উনাদের তিনজন বয়ফ্রেন্ডের সাথে হ্যাপি বার্থডে বানাইতেছে আর হাসিয়া জঙ্গলে শব্দ কম্পন সৃষ্টি করছে যা আমি পেত্নির হাসি বলিয়া ধারনা করিয়াছিলাম গহীন জঙ্গলে ললনাসহ বার্থডে পালন করার মাহাত্য বুঝিতে পারিলাম না, ভাবিলাম জঙ্গলে মঙ্গল যাই হোক বার্থডে কেক দেখিয়া ভাবিলাম একটু কাছে যাই যদি ললনাদের মধ্যে কেউ একজন এক টুকরা কেক মুখে তুলিয়া দেয় কাছে যাইয়া বার্থডে উইশ করিলাম, অবশ্য জানিতে পারিলামনা কাহার বার্থডে উনারা আমাকে হালকা থ্যান্কু দিয়া বিদায় জানাইলেন কেক খাওয়া আর আমাদের হইলনা এমন সময় আমার মোবাইল বাজিয়া উঠিল; বসের ফোন। এমডি মহোদয় আসতেছেন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেভাবে হোক দেখা করতে হবে। মেজাজ বিলা হই গেল ভ্রমন অর্ধসমাপ্ত রাখিয়া চলিয়া আসিতে হইল। মোটরঘাটে টিউবওয়েলে পা ধুইতে যাইয়া একটা সুন্দর জিনিস দেখিলাম
একদিকে মন্দির আরেক দিকে মাজার। কি সুন্দর হিন্দু -মুসলিম সম্প্রীতি
রাতারগুলের পুরোপুরি সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে আমার মনে হয় ভরা বর্ষায় যাওয়াই উত্তম।
প্রায় ৫/৬ ফুট পানি নেমে গেছে।
নৌকা নিয়ে বনে ঢুকা যায়না শুধু খৈয়ার খাল দিয়ে ঘুরতে হয়।
তবে খৈয়ার খালটা পুরাই সাপের মত জিগজ্যাগ।
আর যারা বাঁধে ছিল তারা বলল আর এক সপ্তাহের বেশী এই দিকে যাওয়া যাবেনা। যদি কারো যাওয়ার ইচ্ছা থাকে আগেই তথ্য নিয়ে যাবেন।
রাতারগুল নিয়ে লেখা শামীম ভাইয়ের পোস্ট
ব্লগার মাথাল এর পোস্ট
শামসীর ভাইয়ের পোস্ট
আরো অনেক পোস্ট আছে এই ব্লগেই। সবাই ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৯