১৮ বছরের কলেজছাত্রী আসমাউল হুসনার মন জয় করেছেন সাত সন্তানের জনক ৭০ বছরের প্রেমিক মাতুব্বর। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়া গ্রামে। প্রেমিক মাতুব্বর প্রেমিকা আসমার দূর-সর্ম্পকের বৃদ্ধ নানা। বৃদ্ধ নানার হাত ধরে তরুণী নাতনির ঘরছাড়া নিয়ে এলাকায় রীতিমত আলোচনার ঝড় তুলেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ফরিদপুর সদর উপজেল...ার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের
হঠাৎবাজার এলাকার আসলাম মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে আসমাউল হুসনা প্রেমে পড়েন গোয়ালন্দ উপজেলার দুদুখানপাড়া গ্রামের (৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক) ৭০ বছরের বৃদ্ধ তাইজদ্দিন শেখ ওরফে তারা মাতুব্বরের। তরুণী নাতনীর প্রেমের প্রস্তাবটা যে নিছক ঠাট্টা না সত্যি, তা বুঝতে দেরি হয়নি বৃদ্ধ নানা তারা মাতুব্বরের। একপর্যায়ে লোকলজ্জা আর অপবাদের ধার না ধেরে মাতুব্বর সাহেব ঝাঁপিয়ে পরেন প্রেম-যমুনায়।
এরপর থেকে অসম বয়সী এই প্রেমিক-প্রেমিকার সর্ম্পক ক্রমশ গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে বিয়ে করে নতুন ঘরবাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পরেন উভয়। অবশেষে গত অক্টোবর মাসে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা দুজন রাজবাড়ির আদালতে গিয়ে বিচারকের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কনেপক্ষের লোকজন বিয়েতে আপত্তি জানায়।
এসময় আসমাকে বাবার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এসময় গৃহবন্দী আসমা স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে নিজ হাতে দুই পাতার একটি চিঠি লিখে। চিঠিটি প্রচারের জন্য গোপনে পাঠিয়ে দেয় তারা মাতুব্বরের কাছে। পরে তারা মাতুব্বর তার নব পরিনীতা স্ত্রীর লেখা চিঠি ফটোকপি করে গ্রামের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিলি করেন এবং নতুন বৌকে ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
এদিকে, গ্রামের লোকজন আসমার অনুরোধে সারা দিয়ে এগিয়ে এলেও তারা আসমাকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর ঘরে নিয়ে আসতে ব্যার্থ হয়। অবশেষে স্বামীর ঘর করতে ব্যকুল নববধূ আসমা সুযোগ বুঝে ২২ডিসেম্বর বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে।‘অন্য কোনও কারণে নয়, একমাত্র ভালোবাসার মূল্য দিতেই আমি আমার বৃদ্ধ প্রেমিককে বিয়ে করেছি’ বলেন প্রেমিকা আসমাউল হুসনা।
অন্যদিকে তারা মাতুব্বর বলেন, ‘আমার স্ত্রী আসমা এইবার ফরিদপুরের একটা কলেজ থিকা আইএ পরীক্ষা দিবো। তারে বৌ করতে পাইরা আমি অনেক খুশি হইছি। তয়, বিয়ার পরে বৌডারে ঘরে তুলতে বহুত ঝামেলা পোহাইতে হইছে। আপনেরা অহোন আমাগো লিগা দোয়া কইরেন।’
সূত্র : গুতা মারেন
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৮