যদি কেউ মনে কইরা থাকেন যে বিসিবি প্লেয়ারদের মধ্যে ডিসিপ্লিন আনার জন্যে সাকিবকে শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তাহলে কয়েকটা কথা মনে করায় দিতে চাই।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতে ফিরার পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্লেয়ারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বোর্ডের তালবাহানার এগেইনস্টে ন্যায্য কথা বলায় পুরা বোর্ড, ন্যাশনাল টীমের প্লেয়ার, প্রেস আর ইনভাইটেড গেস্টদের সামনে পা ধরে মাফ চাওয়াইতে বাধ্য করা হইছিলো সাকিবকে।
- ওয়ার্ল্ডকাপ থেকে দেশে ফিরার পর ভোর চারটার সময় এয়ারপোর্টের সামনে জাতীয় দলকে জুতার মালা নিয়ে রিসিভ করছে তখনকার বোর্ড প্রেসিডেন্ট লোটাস কামালের চ্যালা-চামুন্ডারা। তারপরেই সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি থেকে রিজাইন।
- বিসিবি নাকি দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে কাজ করে। যখন দুনিয়ার কোন বোর্ডই দলকে পাকিস্তানে পাঠাইতে চায়নাই, তখন বিসিবি নিজের দলকে ঠেলে গুলি-বোমার সামনে পাঠাইতে চাইছে শুধুমাত্র আইসিসি'র সভাপতি পোস্টে লোটাস কামালরে বসানোর জন্য পাকিস্তানের ভোটের আশ্বাসে।
- আইসিসি'তে বিগ থ্রী'র প্রোপোজাল আসার পর বিসিবি'র ইনিশিয়াল স্ট্যান্ড কি ছিল সেইটাও কি মনে করায় দিতে হইবো আবার?!
-সাকিব ক্যামেরার সামনে বিশ্রি অঙ্গভঙ্গী করছে। সেটার শাস্তি কি সিরিজ চলাকালীন তিন ম্যাচের ব্যান? তিন ম্যাচ ব্যান দেওয়ার থেকে তিন ম্যাচের ম্যাচ ফী জরিমানা করলে কি শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপে এমন ভরাডুবি হইতো? মাইটী বোর্ড নো'জ এভরিথিং!!
- বোর্ড প্রেসিডেন্টকে পাঠানো কোচের মেইল প্রেসের সামনে আনছে কে, কোচ নাকি বোর্ড প্রেসিডেন্ট? এটা কি অফিশিয়াল ডকুমেন্ট না? তাইলে আউট অফ নোহোয়ার অফিশিয়াল ডকুমেন্টস প্রেসে লীক কইরা কি পাপন সাহেব এডওয়ার্ড স্নোডেন হইতে চাইতেছেন না চুলকানি মিটাইতেছেন?
- সাকিবরে ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যান দেওয়া হয়। আর ওর পজিশনে মামা-চাচা কোটায় স্যার ফরহাদ রেজারে খেলানো হয়। সবই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে!
- বিসিবি দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে কাজ করে। এইজন্যই গত তিন-চার বছর এবং সামনে আর ৬-৭বছর এফটিপি’তে টেস্ট প্লেয়িং দেশগুলার মধ্যে বাংলাদেশের খেলা সবচেয়ে কম। সাকিবরে নিয়া বোর্ড প্রেসিডেন্টের চুলকানি মিটাইতে গিয়া বোর্ডের যে পরিমাণ সময় নষ্ট হয়, সে পরিমাণ সময় যদি অন্য দেশের বোর্ডগুলার সাথে আলাপ-আলোচনায়ও খরচ হইতো, তাইলেও অন্তত বছরে বাংলাদেশ তিনটা কইরা সিরিজ বেশি খেলতো।
- বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপন সাহেবের যোগ্যতা কি? উনি সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে আর বেক্সিমকো গ্রুপের টপ একজিকিউটিভ বা হাবিজাবি কিছু একটা ছিলেন- এটুকুই? ওনার ক্রিকেট বোর্ড চালানোর যোগ্যতা কতটুকু? কয়েকদিন আগেও ধানমন্ডি মাঠ নিয়া কাপঝাপে পাবলিকের জন্য ওপেন একটা মাঠ সে বেক্সিমকোর পেট্রোনাইজড একটা ক্লাবরে দিয়া দেওয়ার জন্য কি পাড়াপাড়িটা করছিলো সেটা ভুইলা গেছেন এত তাড়াতাড়ি?
সমস্যাটা সাকিবের আচরনে নাকি বোর্ডে আরেকবার ভাইবা দেখেন। হ্যাঁ, সাকিবের সমস্যা আছে। সে দলের বা ক্রিকেটারদের বাইরে বোর্ডের কোন অফিশিয়ালরে গোনায় ধরেনা। কারণ বোর্ডে আসলেই গোনায় ধরার মত কোন অফিশিয়াল আছে বইলা আমার মনে হয় না। সে এত “এরোগ্যান্ট”, “বেয়াদব” একটা প্লেয়ার, অথচ তার এগেইনস্টে তার কোন টীমমেটেরই কোন কমপ্লেইন নাই, কি অদ্ভুত!! তারপরও তারে নিয়া আমরা চুলকাই। কারণ সমস্যাটা আমাদের। একটা প্লেয়ারের সুন্দর বউ আছে, সে ভাল খেলে, হাজার-হাজার কমার্শিয়ালে তারে দেখা যায়, দুইহাতে কোটি-কোটি টাকা কামায় আবার তার খেলাও কখনো খারাপ হয় না। তার ১০-১২টা সেঞ্চুরী নাই কারণ সে স্বার্থপরের মত খেইলা বল খায়া নিজের পারসোনাল রেকর্ডের পিছে ছুটেনা। যতক্ষণ মাঠে থাকে- টীমের জন্য খেলে। তার মত প্লেয়ার আমাদের দরকার নাই এটা বলবো না। আসলে আমরাই তার মত প্লেয়ার ডিজার্ভ করিনা। কারণ আমরা জাতিগতভাবে বাইনচোদ একটা জাতি।