হবুর দেশের আইন
লিখা আছে গঠনতন্ত্রে মস্ত মস্ত লাইন
সিনহা বাবু, করেন কাবু জানো
বন্ধ করেন মানিক মিয়াঁর বদ্ধ ঘরের খেলো;
লিখবে কেন রায়ের কথা অবসরে নুলো?
ফাঁসির আদেশ দেবেন কেন, জ্বালিয়ে ঘরে আলো?
মানিক মিয়া বসে থাকার পাত্রটি নন কোন
হাত গুটিয়ে পট পটিয়ে কথা বলেন ভালো;
মিটিং মিছিল সবই করেন বক্তিমা দেন জালো
পলিট্রিকসের মাঠে গাড়েন বিরাট বিরাট থালো।।
বিচারালয়ের দেয়ালগুলো গুমরে মরে আজো
কষ্ট করে বইছে যেন হাজার দিনের কালো
এই ত মোদের সোনার দেশের সোনায় মোড়া কূলো
এইত মোদের সোনার দেশের সোনার ছেলের কর্মকান্ড নমো।।
সিনহা বাবু, বিচারপতি প্রধান,
সভা করেন হাটে ঘাটে অতিথি হয়ে নিলাম
দেখতে লাগে রাজনীতিরই মঞ্চে যেন, আস্ত কোন ধীমান;
বিচার কাজে বসে যখন বক্তিমা দেন, নিয়ে মুখে শ্রী-নাম
হুশ থাকেনা, কলকলিয়ে শব্দ বেরোয়, লিকলিকিয়ে কৃপাণ,
বলেই বসেন হিজড়ার দল, কাজ করেনা ইমান!
এইত ফিচার, বিচার করার দীর্ঘ খিস্তি বিলান।।
শুনেই খেপেন হবুর বাড়ির আর্দালী দুই মিলান
খুলেই বলেন অবশেষে, বিচারপতির গুষ্ঠি নাকি কিলান
বিচারপতির পশম খাড়া, লাগে বিষম গোষ্মা
ধরতে হবে আর্দালীদের মস্ত শিরের কেশটা;
মুখের উপর পড়েছে যেন মস্ত বড় ফেষ্টা
কিলায়ে এবার ভূত বানাবেন হবুর বাড়ির নষ্টা!
বিষম জোরে হাঁক দিয়েছেন সিনহা বাবু শেষটা;
হাঁকের জোরে বাক নিয়েছে হবু রাজের দেশটা
রক্ষে বটে বেচে গেছে হবু রাজের ঠানটা
ধন্য ধন্য বিষম হন্য রাজ্য কাজীর কাজটা
পঞ্চাশ হাজার গুনতে হল কেষ্টা দুটোর গাট্টা
কান গিয়েছে তাই বলে কি চলে গেল মানটা?
মান যাওয়া কি এতই সহজ থাকতে নিজের প্রাণটা
শক্ত করেই ধরতে হবে মন্ত্রী সভার ঠ্যাঙটা।।