somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিন্ডলার্স লিস্ট: মানবতা ও যুদ্ধের ভয়াবহতা

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জার্মান নাৎসি ব্যবসায়ী অস্কার শিন্ডলার্স হলোকস্টের সময় এগারশো ইহুদির একটি লিস্ট করেন। এই ইহুদিরা তখন অস্কার শিন্ডলার্সের কারনে বেচে যায়। তার সেই লিস্টের নামেই মুভির নামকরন করা হয়েছে শিন্ডলার্স লিস্ট। মুভিটি তৈরি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ঔপন্যাসিক টমাস কিনেলির লেখা উপন্যাস শিন্ডলার্স আর্ক অবলম্বনে। ঔপন্যাসিক টমাস একদিন একটি বইয়ের সাইনিং করে অস্ট্রেলিয়া ফিরছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় এয়ারপোর্টে নেমে তিনি একটি বই কিনতে যান পাশেই। বই কিনতে গিয়ে সেখানে তার অনেক ধেরি হয়ে যায়। কারন, সেই বইয়ের দোকানের মালিক হলেন পলডেক পেফারবার্গ যাকে অস্কার শিন্ডলার্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাচিয়েছিলেন। যিনি ছিলেন অস্কারের সেই এগারশো ইহুদির তালিকার একজন। পেফারবার্গ-এর দোকানে যারাই বই কিনতে যেতেন তাদেরকেই তিনি অস্কার শিন্ডলার্স সম্পর্কে বলতেন। লেখক টমাস এই গল্প শুনার পরই লেখেন শিন্ডলার্স আর্ক উন্যাসটি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত শিন্ডলার্স আর্ক বইটির রিভিউ পড়ে জনপ্রিয় ডিরেক্টর স্টিভেন স্পিলবার্গ মুভি নির্মানে উৎসায়ী হন। তবে তিনি এজন্য অপেক্ষা করেন দীর্ঘ দশ বছর। কারন তখন তার বয়স ছিলো সাইত্রিশ এবং তিনি হলোকস্টের উপর মুভি নির্মানে নিজের পরিপক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সময়ে তিনি কয়েকজন ডিরেক্টরের সাথে যোগাযোগ করাও শুরু করেন। খ্যাতিমান ডিরেক্টর রোমান পোলনস্কির সাথেও যোগাযোগ করেন স্পিলবার্গ। বিষয়বস্তু খুবই ব্যক্তিগত অযুহাতে রোমান পোলনস্কি স্পিলবার্গকে ফিরিয়ে দেন। কারন হলোকস্টের সময় রোমান পোলনস্কির বয়স যখন আট তখন তিনি পোল্যান্ডের ক্রাকো থেকে পালিয়ে বেচে যান। কিন্তু দুখজনক হলো তখন তার মা সেখানে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিহত হন। অবশ্য পরে তিনি ২০০২ সালে হলোকস্টের উপর দি পিয়ানিস্ট মুভিটি নির্মান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্পিলবার্গ নিজেই শিন্ডলার্স লিস্ট মুভিটি তৈরি করার সিদ্বান্ত নেন। তবে এজন্য স্পিলবার্গ নিজে হলোকস্টের উপর প্রচুর পড়ালেখা করেন এবং ঐ সময় বেচে যাওয়া কিছু মানুষের সাথে কথাও বলেন। যেমন তিনি ১৯৮৩ সালে পলডেক পেফারবার্গের সাথেও দেখা করেন। এজন্য মুভিটিতে পেফারবার্গকে অ্যাডভাইজর হিসেবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই জার্মান বাহীনি কর্তিক পোল্যান্ড দখল হয়ে যায়। তারপর সেখানে ঘোষণা করা হয় সকল ইহুদিদের শহরে এসে নাম এন্ট্রি করার জন্য। এই ঘোষণার পর প্রতিদিনই দলে দলে ইহুদিরা শহরে নাম এন্ট্রি করার জন্য আসতে থাকে। পরে তাদেরকে একসময়ে নিয়ে যাওয়া হয় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। সেখানে তাদের উপর ক্রমাগত চলতে থাকে নির্যাতন, অপমান এবং এসএস বাহীনির খেয়ালখুশিমত ইহুদিদের হত্যা। এখান থেকে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত্যু কুপ গ্যাস চেম্বারে। সেখানে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধসহ সকল ইহুদিদেরকে হত্যা করা হয়। পৃথিবী জুড়েই তখন ইহুদি নিধন চলছিলো গণহারে। তখন পৃথিবী জুড়ে প্রায় ছয় মিলিয়ন ইহুদি হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এই জঘন্য হত্যাকান্ড হলোকস্ট নামে পরিচিত।

এদিকে পোল্যান্ড যখন জার্মান বাহীনি কর্তৃক দখল হয়ে যায় তখন এক জার্মান নাৎসি ব্যবসায়ী আসেন সেখানে ব্যবসা করার জন্য। তার নাম অস্কার শিন্ডলার্স। তিনি পোল্যন্ডে এসেই এসএস বাহীনির সদস্যদেরকে ঘুষ দিয়ে হাত করে ফেলেন। এবং এর ফলে তিনি সেখানে যে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন সেখানে ইহুদিদেরকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করেন। আর এজন্য অস্কার শিন্ডলার্সকে সব সময়ই ঘুষ দিতে হতো এসএস বাহীনির অফিসারদেরকে। কিন্তু অন্যদিকে জার্মান বাহীনি কর্তৃক প্রতিদিন ইহুদি নিধনের মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে অস্কার শিন্ডলার্স এগারশো ইহুদির একটি তালিকা করেন। পরে অস্কার শিন্ডলার্স এসএস বাহীনির অফিসারদেরকে প্রচুর ঘুষ দিয়ে সেই তালিকায় থাকা ইহুদিদেরকে তিনি তার ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি এই এগারশো ইহুদিদেরকে বাচাতে সক্ষম হন।

১৯৮৩ সালে লেখক টমাস কিনেলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মুভির স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য। তিনি ২২০ পাতার স্ক্রিপ্ট লেখেন যেখানে তিনি মূলত ফোকাস করেন শিন্ডলার্সের মেয়ে সম্পর্কিত বিষয়ের উপর। পরে স্পিলবার্গ নতুন করে দায়িত্ব দেন কার্ট লুৎকে। তিনি দীর্ঘ চার বছর পর তার অপারগতা প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত স্প্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব পরে স্টিভেন যিলিয়ানের উপর। প্রথমে তিনি ১১৫ পাতার স্ক্রিপ্ট লেখেন যা দেখে স্পিলবার্গ তা বাড়িয়ে ১৯৫ পাতা করার জন্য বলেন।

মুভির শুটিং শুরু হয় পোল্যান্ডের ক্রাকোতে ১৯৯৩ সালের ১ মার্চ এবং চলে টানা ৭১ দিন। মূল বইটিতে যে স্থানের কথা উল্লেখ ছিলো মুভির শুটিং সেখানেই করার চেষ্টা করা হয়েছে যদিও অচবিজের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ভিতরে তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা সেই ক্যাম্পের বাইরে তার একটি রেপ্লিকা তৈরি করে শুটিং-এর কাজ চালিয়ে নেয়। মুভটি শুটিং-এর সময় স্পিলবার্গ খুবই ইমোশনাল হয়ে পড়েন বিশেষত অচবিজে যখন বয়স্ক মহিলারা বিবস্র অবস্থায় দৌড়াচ্ছিলেন। শুধু স্পিলবার্গ নয় যারাই মুভিটি দেখবেন তারাই ইমোশনাল হয়ে পড়বেন। এখানে দেখা যায় ইহুদি মহিলারা বেচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। তবে যখন ছোট ছোট ফুটফুটে বাচ্চারা গান গেয়ে অপেক্ষারত গাড়িতে উঠার জন্য আসতে থাকে এবং তাদের মা-বাবারা সেই গাড়ির পেছনে পেছনে দৌড়াতে থাকে তখন চোখের পানি ধরে রাখা কষ্টকর।

শিন্ডলার্স এর ভূমিকায় কেভিন কস্টনার এবং মেল গিবসন অভিনয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে হেরিসন ফোর্ডকে অফার দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু হেরিসন ফোর্ড তা ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সিলেক্ট করা হয় লায়াম নিসনকে। তার অভিনয় দেখে সবাই প্রশংসা করেন। এবং এর ফল সরুপ তিনি অস্কারে বেস্ট অ্যাক্টরের নমিনেশন পান। শুধু তাই নয় মুভিটি অস্কারে বেস্ট মুভি এবং বেস্ট ডিরেক্টরসহ মোট সাতটি পুরস্কার পেয়েছিলো। যাই হোক, অস্কার শিন্ডলার্সের চরিত্রে ভালো-মন্দ উভয় দিকই এসেছে। শিন্ডলার্স পোল্যান্ডে আসেন মূলত ব্যবসা করার জন্য। তিনি ছিলেন জার্মান নাৎসি। সেই পরিচয় তিনি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করতে এসেছিলেন। তার সাথে যোগ হয়েছিলো তার বুদ্ধিমত্ত্বা, ঘুষ দেওয়ায় পারদর্শিতা এবং একজন বুদ্ধিমান অ্যাকাউন্টেন্ট। শিন্ডলার্সের বাবা বলতেন জীবনে তিনটি বিষয় দরকার হয়। এক. ভালো ডাক্তার, দুই. ক্ষমাপরায়ণ ধর্মযাজক এবং তিন. বুদ্ধিমান অ্যাকাউন্টেন্ট। শিন্ডলার্স পেয়েছিলেন বুদ্ধিমান অ্যাকাউন্টেন্ট। শিন্ডলার্সের অ্যাকাউন্টেন্ট ছিলেন ইহুদি ইৎজেক স্টের্ন যেখানে অভিনয় করেন বেন কিনসলে। শিন্ডলার্স যে শুধু অর্থ লোভী ছিলেন তাই না তিনি ছিলেন নারী লোভীও। মুভিটিতে এর কিছুই বাদ যায়নি। তিনি যে এগারশো ইহুদি বাচালেন নিজের জমানো পয়সা খরচ করে সেজন্য তাকে একজন পারফেক্ট হিরো বানানোর চেষ্টা করা হয়নি। তার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র বানানো হয়নি। তার মহৎ কাজের জন্য তার জীবনের খারাপ বৈশিষ্টগুলো মুভিটিতে বাদ যায়নি। তার সবই মুভিটিতে এসেছে। তাকে অর্ধেকভাবে নয় পূর্ণভাবেই মুভিটিতে আনা হয়েছে। এটাই হলো একজন মানুষের পূর্ণ ইতিহাস। একজন মহান মানুষের দুষ দেখালেই মানুষ তাকে ঘৃণা করবে তা নায়। যখন তার খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে শুধু তার ভালো ভালো দিকগুলো দেখানো হবে তখনই সেটা বিকৃত ইতিহাস হবে।

মুভি জুড়েই ইমোশনাল দৃশ্য থাকলেও মুভির শেষের দৃশ্যটি সবচেয়ে বেশি টাচিং। শিন্ডলার্স এক রাতে তার ফ্যাক্টরিতে ইহুদি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রেডিওতে আজ মধ্যরাতে যুদ্ধ শেষ হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তোমরা মুক্ত। আর আমি নাৎসি বাহীনির সদস্য। আমি ক্রিমিনাল। আগামীকাল থেকেই আমাকে অ্যারেস্ট করার জন্য খোজা শুরু হবে। আমি বন্ধি ইহুদিদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। আমি একজন মুনাফাখোর ব্যবসায়ী। তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। এখানে তিনি আস্ফালন করে বলেননি যে তোমরা একমাত্র আমার কারনেই বেচে গেছো। তিনি নিজেকে নিয়ে গর্ব করেননি। তিনি তা করতে পারতেন। কারন বস্তুতই তার কারনে এতোগুলো ইহুদি প্রাণে বেচে গেছে। বড় মনের হতে হলে শুধু কাজ করেই হওয়া যায়না। এর সাথে আরো অনেক গুণাবলীর সমন্বয় ঘঠাতে হয়। আর এসব মানুষের জন্য ভাড়া করে লোক এনে গুণকীর্তন করার প্রয়োজন পড়ে না। তাদের কাজ দেখেই মানুষ আজীবন তাদেরকে নিস্বার্থভাবে ভালোবেসে যাবে।

যখন শিন্ডলার্স বক্তৃতা করছিলেন তখন পাশেই ছিলো হত্যাকারী এসএস গার্ডের কিছু সংখ্যক সদস্য। ইচ্ছে করলে তখন সবাই মিলে এই এসএস গার্ডের সদস্যদের হত্যা করতে পারতো। তারা তাদের নিকটজনদের হত্যার বদলা নিতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। মাথা নিচু করে এসএস গার্ডের সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এটাই হলো তাদের জন্য চরম লজ্জ্বার, অপমানের।

যখন অস্কার শিন্ডলার্স বিদায় নিচ্ছিলেন তখন সকল ইহুদিরা পাশে দাড়িয়েছিলেন। তারা তাকে সোনার একটি রিং উপহার দেন। হিব্রু মতে এর অর্থ হলো, ‘যে একটা জীবন বাচালো সে যেন পুরো পৃথিবীটা বাচালো’। তখন তিনি উচ্চশিত না হয়ে সামনে থাকা নিজের গাড়ির দিকে তাকিয়ে বলেন, আমি আরো অনেক কিছুই করতে পারতাম। কিন্তু করিনি। কি হবে এই গাড়ি দিয়ে? আমিতো এটা দিয়ে আরো দশজন মানুষ বাচাতে পারতাম। নিজের কোর্টে পরা নাৎসি বাহীনির গোল্ড পিন দেখিয়ে বলেন, এটা দিয়েওতো দুইজনকে না হলেও একজনকেওতো বাচাতে পারতাম। এই কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর সাথে যারা মুভিটি দেখবেন তাদেরও ভিতর থেকে কখন যে হো হো করে কান্না চলে আসবে তা বুঝাই যাবেনা। এই একটি দৃশ্যই শিন্ডলার্সের পূর্বের অর্থ লোভ, নারীর প্রতি লোভ ভুলিয়ে দেবে। তার প্রতি সম্মান বহুগুণে বেড়ে যাবে। অন্তরের ভিতর থেকে তার জন্য মমতা আসবে। খারাপ কাজগুলো ভালো কাজের স্রোতে বেসে যাবে।

তবে মুভিটি সম্পর্কে কিছু সমালোচনাও হয়েছে। কিছু ইতিহাস ঠিকভাবে উপস্থাপন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যারা তখন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ছিলেন তারা বলেছেন সেখানকার ভয়াবহতা হালকাভাবে দেখানো হয়েছে। তবে সমালোচনার পরিমান খুবই নগন্য। পজিটিভ সমালোচনার পরিমান অনেক বেশি। তবে এই কথা সবাই স্বীকার করেন যে হলোকস্টের উপর শীর্ষ কয়েকটি ভালো মুভির মধ্যে এটি একটি। তাই সবার এই মুভিটি দেখা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×