১. আবিস্কারঃ
প্রায় ২৫০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দে লিখিত ইবলা শিলা-লিপি সমূহ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসকে তুলে ধরছে । এই শিলা-লিপি সমূহের - যা ১৯৭৫ সালে আবিস্কার করা হয়েছে, তার সব থেকে থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো এই যে, এর মধ্যে নবীদের নাম রয়েছে যা পবিত্র ধর্মগ্রন্হসমূহে রয়েছে ।
১৯৬৪ সালে রোম বিশ্বঃ ইটালীয়ান নৃত্ত্ববিদগণ পাওলো মাথাই এর নেতৃত্বে
সিরিয়ার উত্তরে তিল মারদিক নামক একটি স্হান খনন করেন । ১৯৬৮ সালে তারা প্রাচীন আক্কাডিয়ান রাজ্যের রাজা ইবিত লিম সময়কার পাথরের উপর লেখা কিছু লিপি উদ্ধার করেন । এ শিলালিপিতে রাজা নিজেকে ইবলার রাজা হিসেবে নিজেকে বর্ণনা করেন । ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তারা খনন করে প্রায় ১৫০০ মাটির উপর লেখা ছোট ছোট লিপির সন্ধান পান ।
In 1964 Italian archaeologists directed by Paolo Matthiae of the University of Rome excavated a mound in northern Syria known as Tell Mardikh. In 1968, Matthiae and his team uncovered ancient Akkadian inscriptions of King Ibbit-Lim. In this text the king identified himself as the ruler of Ebla. During excavations in 1974 and 1975, public and royal archives containing over 15,000 clay tablets came to light.
হাজার বছর আগের এই শিলা-লিপি সমূহে কুরআন এবং বাইবেলে বর্ণিত অনেক ভৈাগলিক এলাকার নাম রয়েছে এবং বিশেষ করে ইরাম শহরের নাম উল্লেখ আছে , যা একমাত্র কুরআনে এ শহরের নাম দেয়া আছে, এমন কি বাইবেলে পর্যন্ত এ শহরের নাম নাই । কুরআনের ৮৯ নং সূরার ৭-৮ নং আয়াতে এর উল্লেখ আছে ।
" ইরামের প্রতি যাদের ছিল উচু গঠন, যাদের ক্ষেত্রে ওগুলোর সমতুল্য অন্য কোন শহর তৈরী হয়নি "
যারা বলে কুরআন বাইবেল থেকে কপি করা, তাদের নিকট এ নতুন নাম ছিলো একটা বিরাট প্রশ্নের মত । এই নাম আর কোন ঐতিহাসিক গ্রন্হে পাওয়া যায়নি ।
২. ইবলা সাম্রাজ্যঃ
প্রায় ২৫০০ খ্রীঃ পূর্ব অব্দে ইবলা ছিলো একটা রাজ্য যা সিরিয়ার দামেস্ক এবং তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল। এ রাজ্য অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্হান করছিলো কিন্তু পরে অন্যান্য বড় বড় প্রাচীন সভ্যতার মতো হঠাৎ ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যায় ।
[ইতিহাসের এটা একটা বিস্ময় যে, অনেক চরম উন্নতি প্রাপ্ত সভ্যতাই হঠাৎ করে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে । প্রায়গুলোর বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ । আল-কুরআনে আল্লাহ বলেছেন যে, আমি অনেক সভ্যতাই ধ্বংস করেছি অবাধ্যতার জন্য, যা নিদর্শনরূপে এখনও বিদ্যমান । যেমনঃ সূরা ৩৫-৮]
শিলা লিপি সমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ইহা তখনকার সময়ে ছিল অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র । ইবলা সভ্যতার লোকেরা তথ্য সমূহ সংরক্ষণ করে রাখত , লাইব্রেরী তৈরী করেছিলো এবং বাণিজ্যিক চুক্তিসমূহ লিখিত আকারে রাখতো । তাদের নিজস্ব ভাষাও ছিলো--ইবলেইত ।
৩.প্রাচীন ভাষার মর্মোদ্ধারঃ
ইবলা শিলা-লিপি সমূহের গুরুত্ব হলো যা প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার সত্যিকারের বিরাট সফলতা তা হলো ১৫,০০০ এর মতো লিখিত শিলা-লিপির পাঠোদ্ধার ।
যখন এই শিলা লিপিতে কি লেখা আছে তা উদ্ধার করা হলো ইটালিয়ান
ডিসিফার বা পাঠোদ্বারকারী জিওভানি পেটিনাটো (Giovanni Pettinato) , যিনি রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের epigrapher , তখন এর এতিহাসিক মূল্য বের হল । ফলে এটা শুধুমাত্র প্রত্নতত্ত্ববিদদের আগ্রহের কারণই হলো না বরং ধর্মীয়বেত্তাদের আগ্রহেরও কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো । কারণ সেখানে বাইবেল ও কুরআনে বর্ণিত অনেক নবীর নাম পাওয়া গেলো, যা ইতিপূর্বে ধর্মগ্রন্হ ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি । সেখানে যেসব নবীদের নাম সেখানে পাওয়া গেল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আব্রাহামো (ইব্রাহীম -আঃ), ডেউডাম (দাউদ-আঃ), তালুত যার সম্পর্কে আমার এই পোষ্টে উল্লেখ ছিলো এবং ঈস-মা-ঈল (ঈসমাঈল -আঃ) এর নাম সমূহ ।
এ ছাড়াও পাওযা যায় কুরআনে বর্ণিত আদ ও ছামুদ জাতি (৬৯ঃ৪-৭) সমূহের শহরের কথা যা বাইবেলে বলা হয়েছে Sodom এবং Gomorrah নামে। যা আল্লাহ ধ্বংস করে দেন ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে যা এখন বর্তমান লুত সাগর বা 'ডেড সী ' নামে খ্যাত ।
৪. গুরুত্বঃ
এসব ঐতিহাসিক তথ্য এই ইবলা টেবলেট বা মাটির টুকরোগুলোয় পাওয়ার ফলে এ দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলো যে, পূর্বের বহু দেবদেবী মূলক ধর্ম বা বহু স্রষ্টা ধর্ম থেকে এক স্রষ্টা ভিত্তিক ধর্ম বিবর্তন লাভ করেছে । বরং এটাই প্রমাণিত হলো যে, ধর্মগ্রন্হের ঐসব নবীগণ আসলেই ছিলেন আর এক স্রষ্টা ভিত্তিক ধর্মটাই হলো ধর্মের মূল উৎস ।
The tablets tell of an 'empire' and names many areas under the control of Ebla, such as Sinai, Assyria, Lebanon, Cyprus, Carchemish, Lachish, Gaza, Hazor and others. Bible students will readily recognise that many of these names appear in the Old Testament record and it is interesting to note that of the three languages of the tablets, an hitherto unknown tongue, closely resembling Hebrew is prevalent and many common names recorded by the people of Ebla are easily recognisable to Bible readers.
AB-RA-MU - (ABRAM)
E-SA-UM - (ESAU)
IS-MA-EL - (ISHMAEL)
IS-RA-EL - (ISRAEL)
MI-KA-EL - (MICHAEL)
MI-KA-YAH - (MICAIAH)
YE-RU-SA-LU-UM - (JERUSALEM)
Further, many common Ebla words are the same as Hebrew, such as 'and' (WA), 'perfect' (TAMMIN), 'fall' (NAPAL) and 'good' (TOB).
But perhaps most interesting of all are the quite extensive descriptions of the Creation and of the Flood.
সবশেষে কুরআনের ভাষায় বলতে হয়
" আর যখন তাদের বলা হয় "তোমদের প্রভু কি বিষয় বস্তু অবতীর্ণ করেছেন ?" তারা বলে "সেকেলে গাল গল্প" । ফলে কিয়ামতের দিনে তারা নিজেদের বোঝা পুরোমাত্রায় বহন করবে , আর তাদেরও বোঝার কতকটা , যাদের তারা পথভ্রষ্ট করেছে কোন জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও । তারা যা বহন করে তা কি নিকৃষ্ট নয় ? "
* এখানে ইবলা শিলা লিপি প্রাপ্তি স্হান এবং লিপি সমূহের একটি সুন্দর ফটো গ্যালারী , সবাইকে অবশ্যই দেখার জন্য অনুরোধ করছি , খুবই চমকপ্রদ ।
আরো জানতে নিচের লিংক গুলো দেখুন.....
১. উইকেপিডিয়া
২. ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ম্যাগাজিন
৩. ইরাম শহরের পিলার
৪.আরেকটা লিংক
[যারা পোষ্টটি পড়বেন , অনুগ্রহ করে মন্তব্য করে যাবেন । তাহলে পোষ্টটি প্রথম পাতা থেকে সরে গেলেও সাম্প্রতিক মন্তব্যে দেখা যাবে, ফলে অন্য ভাইরাও এটা দেখে পোষ্টটি সম্পর্কে জেনে পড়তে পারবেন । আমাদের সবার উচিত একে অপরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করা ।]
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০