somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যর্জুবেদে মোহাম্মদ (সাঃ)- মুন্ডিত কেশ রুদ্র নেড়ে -২

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নমঃ ধৃষ্ঞবে চ প্রমৃশায় নমো নিষঙ্গিণে চেষুধিমতে ।
নমস্তীক্ষেষবে চায়ুধিনে চ নমঃ স্বাষূধায় চ সুধন্বণে চ । ৩৬

অনুবাদঃ

দ্বিধাহীন নির্ভীক, বিচারকরূপী রূদ্রকে নমস্কার,
বাণ ও তুণীর্ধারী রূপী রূদ্রকে নমস্কার, তীক্ষ্ণবাণ ও আয়ুধধারী রূদ্রকে নমস্কার ।।৩৬

বিশ্লেষণঃ

হযরত মোহাম্মদ সাহেব ছাড়া এমন ঋষি দৃষ্ট হয় নাই; যিনি পৃথিবীতে প্রশাসক রাজা; বিচারক ও অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি ছিলেন । এইগুলি একমাত্র তাহার-ই পরিচয় ।

নমঃ পার্যায় চাবার্যায় চ ।
নমঃ প্রতরণায় চোত্তরণায় চ ।
নমস্তীর্থায় চ কুলায় চ ।
নমঃ শষ্পায় চ ফেন্যায় চ ।। ৪২

অনুবাদঃ
সংসারের পরপারে ও সংসারে জ্ঞাতরূপী রূদ্রকে নমস্কার
পাপ তারণের কারণরূপী রূদ্রকে নমস্কার
তীর্থে ও কুলে জ্ঞাতরূপী রূদ্রকে নমস্কার
কুশাদিতে ও ফেনায় জ্ঞাতরূপী রূ্দ্রকে নমস্কার ।। ৪২

বিশ্লেষণঃ

এখানে ভবিষ্যতে আর্বিভূত রূদ্রের পরিচয় ব্যক্ত হইয়াছে যে, ঋষিগণ সাধারণতঃ বৈরাগী ও সংসারত্যাগী হন, কিন্তু উক্ত রূদ্র একাধারে সংসারে অনাশক্ত ও সংসারাী হইবেন, তীর্থ ও সমাজে সর্বত্রই তাহার অধিকার ও কর্মক্ষেত্র হইবে । এই ক্ষেত্রে হযরত মোহাম্মদ সাহেবই চিহ্নিহ হইলেন ।

---এক্ষণে তাহার ভৃত্য তথা শিষ্যগণকেও রূদ্র বলা হইয়াছে.......

নম আতন্বানেভ্যঃ প্রতিদধানেভ্যশ্চ বো নমো ।
নম আবচ্চদ্ভ্যো হসদ্ভ্যশ বো নম ।।
নমো বিস্বজদ্ভ্যো বিদ্ব্যদ্ভ্যশ্চ বো নমো ।
নমঃ সভান্ত্যঃ সভাপতিভ্যশ্চ বো নমো ।
নমোহশ্বেভ্যো হশ্ব পতিভ্যশ্চ বো নমো ।
নম আব্যাধিনীভ্যো বিবিধ্যন্তীভ্যশ্চ বো নমো ।
নব উগণাভ্য স্তংহতীভ্যশ্চ বো নমঃ ।।

নমঃ সেনাভ্যঃ সেনানিভ্যশ্চ বো নমো ।
নমো রথিভ্যো অরথেভ্যশ্চ বো নমো ।
নমঃ ক্ষত্তৃত্ত্যঃ সংগ্রহীতৃভ্যশ্চ বো নমো ।
নমো মহদ্ভ্যো অর্ভকেভ্যশ্চ বো নমঃ ।। [২২-২৬]

অনুবাদঃ
ধনুর্ধারীরূপ হে রূদ্র, তোমায় নমস্কার ধনুতে জ্যা ও বান যোজনকারী রূদ্রদের নমস্কার ।
ধনুর আকর্ষণ ও বাণ নিক্ষেপকারী রূদ্রদের নমস্কার !!
শত্রুর প্রতিবান নিক্ষেপকারী ও তাহাদের তাড়নাকারী রূদ্রদের নমস্কার;
স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্হা অনুভবকারী রুদ্রদের নমস্কার,
নিদ্রা ও উপবেশন অবস্হায় অবস্হানকারী রূদ্রদের নমস্কার, স্হির ও ধাবিত রূদ্রদের নমস্কার
সভা ও সভাপতিরূপে স্হিত রূদ্রদের নমস্কার, অশ্ব ও অশ্বপতিরূপে স্হিত রূদ্রদের নমস্কার,
সমন্তত ও বিবিধ প্রকারে আঘাতকারী দেবসেনারূপ রূদ্রদের নমস্কার;
সানুচর মাতৃগণ ও হনন সমর্থা - রমণীগণকে নমস্কার ।।

সেনা ও সেনাপতি রূপ রূদ্রদের নমস্কার, রথী ও অরথীদের নমস্কার,
রথাধিষ্ঠাতা ও অশ্বসংগ্রহক সারথিদের নমস্কার, মহৎ ও ক্ষুদ্রদের নমস্কার ।।

বিশ্লেষণঃ

এখানে ঐ সকল মানবীয় রূদ্রদের সম্পর্কে বলা হইয়াছে যে, তাহারা-ও তাহাদের গুরু রুদ্রের ন্যায় ধনুধারী শত্রুদের প্রতি অস্ত্র নিক্ষেপকারী হইবে, তাহারা শত্রুগণকে বিবিধ প্রকারে আঘাত করিবে । তাহারা ঐশী জগতের রাজ্যলিপ্সু সম্রাটের অধীনস্হ কোন সৈন্য নয়, তাহারা ধর্মের উদ্দেশ্যে কলির বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সেনানী হইবে , সেজন্য তাহাদিগকে দেবসেনা আখ্যা দেওয়া হইয়াছে ।

হযরত মোহাম্মদ সাহেব যদ্রুপ ধনুর্ধারী ঋষি ছিলেন, তদ্রুপ তাহার শিষ্য গণও ধনুর্ধারী যুদ্ধরত সেনানী ছিলেন । তাহারা বিভিন্ন যুদ্ধে বিবিধ প্রকারে শত্রুদের আঘাত করিয়া পরাজিত করেন এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন । পৃথিবীর কোন নবী পয়গম্বর, ঋষি, অবতার কেহ যুদ্ধের দ্বারা ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন নাই । যর্জুবেদের রুদ্র এবং কল্কিপূরাণে কল্কি অবতার সম্পর্কেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হইয়াছে যে তিনি অশ্বপতি হইবেন এবং যুদ্ধ দ্বারা ধর্ম শত্রু ও কলির বিনাশ সাধন করিয়া ধর্ম প্রতিষ্ঠা করিবেন । পৃথিবীর ইতিহাসে হযরত মোহাম্মদ সাহেব ছাড়া অন্য কাউকে সেইরূপ দেখা যায় না । যাহার কারণে খৃষ্টানগণ বিদ্বেষবশতঃ তাহার সম্পর্কে বলিয়া থাকেঃ
The Koran with one hand and the Sword with the other (History of the Arabs, ch xi) " একহাতে কোরআন , অন্য হাতে তরবারী ।"

কিন্তু তিনি ব্রক্ষ-প্রেরিত হইয়া ব্রক্ষ-ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে আর্বিভূত হইয়াছেন । সুতরাং তাহার শত্রুগণ, বিদ্বেষীগণ যাই বলুক না কেন, তিনি তারা দায়িত্ব অবশ্যই সমাধা করিবেন এবং তিনি তাহাই করিয়া গিয়াছেন ।

২৪শ মন্ত্রে সবিশেষ ও অদ্ভুত লক্ষণ দেওয়া হইয়াছে যে, উক্ত ধর্মযুদ্ধে মাতা ও নারীগনও যোগদান করিবেন ।
২৬শ মন্ত্রে উল্লেখিত "মহৎ ও ক্ষুদ্র" বলিতে পদমর্যাদাসম্পন্ন এবং সাধারণ ব্যাক্তিগণ অথবা বয়স্ক ও বালকগণ বোঝায় ।

হযরত মোহাম্মদ সাহবে মক্বাবাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া নিরূপায় হইয়া মাতৃভূমি ত্যাগ করিয়া তিনশত মাইল দূরবর্তী মদীনায় হিজরত করেন । তথাপি মক্কাবাসীগণ পরবর্তী বৎসরে একহাজার সশস্ত্র সৈণ্যবাহিনী নিয়া মদীনা আক্রমণে উদ্যত হয় । হযরত মোহাম্মদ সাহেব তিনশত তেরো জন শিষ্য নিয়ে বদর নামক প্রান্তরে সম্মূখীন হন । সে যুদ্ধে সাধারণ মুসলিমদের সঙ্গে হযরত মোহাম্মদ সাহেব, আবু-বকর, হযরত উমর প্রভৃতি মহৎ ব্যাক্তিগণকে যোগদান করিতে হয় ; আবার সৈণ্য সংখ্যার স্বল্পতা হেতু বয়স্ক মানুষের সঙ্গে বহু কিশোর বালকগণকেও অস্ত্র ধারণ করিতে হয় । ২৬ শ মন্ত্রে উহারই উল্লেখ করা হইয়াছে ।


উপরোক্ত পরাজয়ের কারণে মক্কাবাসীগণকে ক্ষিপ্ত হইয়া তৎপরবর্তী বৎসরে তিন হাজার সৈণ্য নিয়া ধাবিত হয় এবং ওহোদ নামক পর্বতের পাদদেশে উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয় । এই যুদ্ধে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মাত্র সাত শত । এই যুদ্ধে মদীনার বহু মুসলিম নারীও যুদ্ধে যোগদান করেন । ২৪শ মন্ত্রে তৎপ্রতি ভবিষ্যদ্বাণী করা হইয়াছে ।

ওহোদ যুদ্ধে মুসলিমগণের কিছূ ক্ষয় ক্ষতি হইলেও চূড়ান্ত ফয়সালা হইল না । সেইজন্য মক্কাবাসীগণ পুনরায় দশ হাজার সৈণ্য বাহিণী নিয়া আক্রমণ করিতে অগ্রসর হয় । তখন মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র এক হাজার । তাহারা এই যুদ্ধে পরীখা খনন করিয়া আত্নরক্ষা করিতে সচেষ্ট হন । ইতিমধ্যে তাহাদের প্রতি ঐশ্বরিক সাহায্য স্বরূপ ঝড়বায়ু আসিয়া বিপক্ষগণের সৈণ্যশিবির সমূহ মুলোৎপাটিত করিয়া দেয় । ৬৫শ মন্ত্রে তৎসম্পর্কে বলা হইয়াছে- "অন্তরীক্ষ লোকে যে রূদ্রগণ আছেন, বায়ুই যাহাদের বাণতুল্য আয়ুধ, তাহাদের প্রতি নমস্কার ।"

উক্ত যুদ্ধে মুসলিম সৈণ্যগনের প্রতি ঐশ্বরিক সাহায্যস্বরূপ বৃষ্টি বর্ষিত হয় । ফলে বিপক্ষের বিরাট সৈণ্য বাহিণীকে পরিচালনা করা কষ্টকর হয় এবং মুসলিম ক্ষুদ্র বাহিণী তৎপরতার সহিত তাহাদেরকে পরাজিত করে । সেই দিকে ইঙ্গিত করিয়া ৬৪শ মন্ত্রে ব্যক্ত হইয়াছে - দ্যুলোকে যে রূদ্রগণ আছেন, বৃষ্টিই যাহাদের বাণতূল্য আয়ুধ, সেই রূদ্রদের প্রতি নমস্কার । কত অপূর্ব মিল !

হযরত মোহাম্মদ সাহেব ও তাহার মুসলিম বাহিনী হইল পৃথিবীর রূদ্র, ৬৬শ মন্ত্রে তাহাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতঃ ব্যক্ত হইয়াছে- "পৃথিবীতে যে রূদ্রগণ আছেন, অন্নই যাহাদের বাণতুল্য আয়ুধ, তাহাদের প্রতি নমস্কার । তাহাদের উদ্দেশ্যে পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর ও উর্দ্ধদিকে অন্জলী বদ্ধ করিয়া নমস্কার করি ।"

এই বলিয়া শতাধিক নমস্কার সম্বলিত ১৬ শ অধ্যায় সমাপ্ত করা হইল । আশ্চর্য হইতে হয় যে , এই অধ্যায়ে যত নমস্কার জ্ঞাপন করা হইয়াছে, চারি বেদের কোথাও কারো প্রতি এত শ্রদ্ধা, ভক্তি, নমস্কার জ্ঞাপন করা হয় নাই । পৃথিবীর রূদ্রগণ যে মানব জাতীয় হইবেন, 'অন্নই যাহাদের বাণতুল্য আয়ুধ ' দ্বারা তাহা নির্দ্দেশ করা হইয়াছে ।

-------


সূত্রঃ ---বেদ - পুরাণে আল্লাহ ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) - ধর্মাচার্য অধ্যাপক ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়, ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়, ৪৫, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০.
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×