জীবন ও জগতের মতোই দালালী অনস্বীকার্য! এর অস্তিত্ব সবত্রই ও সর্বব্যাপী – যুগে যুগে দালাল ছিল, দালাল আছে, দালাল থাকবে। স্বার্থপরতাই এর মুল বিষয় – ব্যক্তিস্বার্থ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্র দেশপ্রেম, আগ্রাসী ও বলদর্পী মনোভাব ও সাম্রাজ্যবাদ থেকেই দালালী বা তাবেদারী উৎসারিত। অত্যন্ত পদ্ধতিগতভাবে মানুষের আবেগ ও চাহিদাকে নিয়ন্ত্রিত করে প্রভাব বিস্তার করাই এর মুল মেকানিজম।
দালালীর নগদ লাভঃ
আনুকুল্য ও ক্ষমতা,
অর্থ-বিত্ত,
প্রভাব-প্রতিপত্তি,
র্যাঙ্ক ও প্রমোশন,
বিদেশ ভ্রমণ ও উন্নত দেশের নাগরিক হবার সুযোগ,
বৃত্তি ও উচ্চ শিক্ষার সাথে মগজ ধোলাই,
আত্মতৃপ্তি, একাত্মতা ও নিরাপত্তার বোধ।
দালালীর দীর্ঘমেয়াদী প্রতিফলঃ
অসম্মান ও অপমান,
অবজ্ঞা ও অবহেলা,
ধিক্কার ও ঘৃণা,
প্রভুদের হাতে অপদস্তি ও প্রয়োজনে শেষে গার্বেজ হওয়া।
চিহ্নিত দালালদের পরিনাম সবারই জানা আছে – ইতিহাস সাক্ষী। দেশ, মাটি আর জনগণের সাথে যারা সজ্ঞানে দালালী করে তারা যেন তাদের পরিণতির কথা আরেকবার ভেবে দেখে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:০৮