নিঃশব্দে আসে রাত।
কথা বলে স্মৃতিরা।
কারো পথ চেয়ে থাকা তেতালার বারান্দা।
লম্বা বেনী করা একটা মুখের ছায়া পড়ে আয়নায়
আজ সে আয়নাটা নেই।
খুলে নিয়ে গেছে পড়শিরা
হয়তো বেচে দিয়েছে সস্তায়, কিংবা বিপ্রতীপ কোণে ঝুলিয়ে রেখেছে চুন করা দেয়ালে
উল্টো আয়নায় ঝুলন্ত বিম্ব দেখে এখন টিকটিকি।
ঝমঝম বৃষ্টিতে নির্বিবাদ ভিজে ভিজে কারো ঘরে ফেরার দৃশ্যটা রচিত হয়না গভীর রাতে।
দারোয়ানটা আয়েশে টকশো গেলে, গালাগালিও করে আরামসে
দরজা ঝাঁকিয়ে অসময়ে উৎপাত করেনা কেউ।
আপদ বিদায়।
পৃথিবীর অন্য প্রান্তে আপদের অপেক্ষায় নির্ঘুম আরেকটা আয়না
সেখানে ছায়া ফেলে কুঁচকানো ভ্রু আর আগোছালো চুল
আহ্নিক গতির হিসেব রাখে না সে ছায়া
নাটকের অংকের মত স্মৃতির পট গোণে কেবল-
প্রথমাংক,দ্বিতীয়াংক, ...ঊনবিশাংক...একবিশাংক...
যেদিন ফুরোবে গণনা সেদিন সে আবার আসবে নিশ্চয়ই
নতুন কিছু দৃশ্য নিয়ে?
ঘামে ভেজা হাসি মুখ কিংবা পাঁচ মেশালি সবজির ব্যাগ হাতে?
উথাল পাথাল ঝড়ের আছড়ি বিছড়ি রাতে প্রশ্ন করে একা ল্যাম্পপোস্ট-
কী আসে যায় তাতে,
সে ঘরের অক্ষাংশ কত আর
দ্রাঘিমাংশ কত
যে ঘরে দিন শেষে কেউ ফেরে না শান্তিতে ঘুমাতে?