- মেডাম, বড় সাহেব সালাম দিসেন
- হুম, ওয়ালাইকুম সালাম।
- না মেডাম, সাহেবের রুমে যাইতে বলছেন।
- ও আচ্ছা আসছি আমি।
রিতুর পাশের রুমেই বড় সাহেব ফারুক সাহেবের রুম। রিতু পরনের কাপরটা আর চুল্গুলো একটু ঠিক করে ফারুক সাহেবের রুমে চলে গেল।
- স্যার আসব?
- হুম। আচ্ছা কাজ করার সময় আপনাদের মন কোথায় থাকে বলেন তো। চাকরি নেয়ার সময় সিভিতে তো লিখেছিলেন ১ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। অভিজ্ঞতার ধরন এমন হয়?? কি করেছেন বলেন তো? ইংলিশে মাস্টার্স অথচ ১ পেইজ এ ৫ টা বানান ভুল। মানা যায়।
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আবার শুরু করলেন ফারুক সাহেব।
- আপনাদের বয়সের ছেলেমেয়েদের তো এখন কাজে কোন মন ই থাকে না। কাজ যদি করতে ভালই না লাগে তবে বিয়ে করে ফেলুন। কেন সুধু সুধু সময় নস্ট করছেন। বিয়ের বয়স তো হয়েছে নাকি? আর আমাদের সমাজে তো এমন কোন নিয়ম এখনও হয় নি যে পাত্রির চাকরি ছাড়া বিয়ে হবে না।
এবার ফারুক সাহেব চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে রিতুর দিকে আর চোখে তাকিয়ে শেষ বারের মত এমন ভুল মেনে নিয়েছেন, পরের বার মানবেন না এমন আল্টিমেটাম দিয়ে রিতুকে তার নিজের রুমে যেতে বললেন।
বড় সাহেবের রুম থেকে বের হয়ে রিতু জুবায়েরকে ফোন করল,
- কোথায় তুমি? আজকে তোমাকে একটা সুখবর দেয়ার জন্য ফোন করলাম।
- কি খবর?
- তোমার বাবা আমাকে বিয়ে করতে বলেছেন। অনুমতি পেয়ে গেছি। তুমি তারাতারি কাজি অফিস চলে আস।
- মানে?
- মানে কিছু নেই, আমি গুছিয়ে বের হচ্ছি, তুমি ১ ঘন্টার ভেতর রেডি হয়ে তেজগাও চলে আস। আজ আমাদের বিবাহ।
বলেই ফোনটা রেখে দিল রিতু। অফিস থেকে বের হবার সময় টেবিলের উপর রিতুর বায়োডাটা রেখে এসেছিল সে।