গতো দেড় ঘন্টা যাবত কুমড়োর মতো
ফোলা মুখ নিয়ে আনু ছাদে যাবার
সিড়ির শেষ ছ'নম্বর ধাপে বসে আছে।
পার্থক্য শুধু এই যে কুমড়োর হলুদ রঙের বদলে
তারটা বিশদ লাল হয়ে আছে।
কিভাবে যেন ঠিক সময়মতোই আনু
দোতলায় ওর শোবার ঘরের জানালা
দিয়ে আরাফ ভাইকে ওদের বাড়ির মেইন
গেটে ঢুকতে দেখেছিলো। আর
নিয়মমাফিক প্রতিবারের মতো এই
ছেলেটা ঘরে ঢোকা মাত্রই আনু ছাদে
যাবার নাম করে বেরিয়ে আসে। রোদে
শুকানো কাপড় আনবার ছুতোটাও যুতসই
হলো বটে।
সেদিন দুপুরে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আনু খুব বিশ্রী হাতের লেখায় বেশ
গুছিয়ে একটা চিঠি লিখেছিলো।যদিও
চিঠিটা সে এই বদখত লোকটার হাতে
পৌঁছুবার কোন চেষ্টাই চালায়নি।
সেদিন সামান্যতম আগ বাড়ালেও
হয়তোবা এখন আরাফ ভাইয়ের 'আগেই
বলতে পারতিস যে তোর ঘুমভাঙানি
স্বপ্নগুলোয় আমারও খানিক ভাগ আছে 'এই
ছোট কথাটাতে এইভাবে হড়বড় করে
কেঁদে ফেলতো না।
বিছানার তোষকের নিচে চাপা পড়া সেই চিঠিটা এই বিকেলে প্রাপকের হাতে আলগোছে ধরা পড়ে যাবে তাইই বা আনু কি করে জানবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩০